বালাগঞ্জে ঘুষ ছাড়া বেতন পাননা শিক্ষকরা!

এসএম হেলাল, বালাগঞ্জঃ বালাগঞ্জ হিসাবরক্ষণ ও প্রাথমিক শিক্ষা অফিস ঘুষ ছাড়া শিক্ষকদের বেতন পাওয়া যায়না। ওসমানীনগর ও বালাগঞ্জে কর্মরত ২০১৩ সালে চাকুরি জাতীয় করণ হওয়া ১১৩জন শিক্ষক সংশ্লিষ্ট অফিসে ঘুষ প্রদান করে ছয় মাসের বেতন উত্তোলন করেছে বলে অনুসন্ধানে জানা গেছে। তবে হয়রানীর ভয়ে ঘুষ প্রদানের বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ শিক্ষকরা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক শিক্ষক এ ব্যাপারে সংবাদ মাধ্যমের সাথে বথা বলতে রাজি হয়েছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০১৩ সালে ওসমানীনগর ও বালাগঞ্জের ৩৩টি রেজিষ্ট্রার প্রাথমিক বিদ্যালয় সরকারিকরণ করা হলে এসব প্রতিষ্ঠটানের ১১৩জন শিক্ষকের চাকুরি জাতীয়করণ করা হয়। কিন্তু চাকুরি জাতীয়করণ হলেও ২০১৩ সাল পর্যন্ত কোন বেতন পাননি এসব শিক্ষকরা। ২০১৪ সালে বিভিন্ন উপজেলার শিক্ষকদের বেতন ছাড় দেয়া হলেও এসব শিক্ষকরা পাননি। অবশেষে বেতন না পেয়ে শিক্ষকরা বাধ্য হয়ে ১১৩জন শিক্ষক জন প্রতি ৫’শত টাকা হারে চাঁদা উত্তোলন করে সংশ্লিষ্ট অফিসের কর্মকর্তাদের ঘুষ দেবার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। সম্প্রতি শিক্ষকরা ঐ চাদার টাকা বালাগঞ্জ প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা গকুল চন্দ্র দেবনাথকে ১০ হাজার, অফিস কর্মচারিদের ৬হাজার এবং হিসাবরক্ষণ অফিসের অডিটর কুতুব উদ্দিনকে ১০হাজার টাকা দেয় শিক্ষকরা। ঘূষ প্রদানের পর পরই অক্টোবর ২০১৩ থেকে মার্চ ২০১৪ পর্যন্ত ৬মাসের বেতন শিক্ষকদের প্রদান করা হয় উপজেলা হিসাবরক্ষণ অফিস থেকে। ঘুষ দিয়ে ছয় মাসের বেতন পাওয়া গেলেও আরো মাসের বেতন এখানো বকেয়া রয়েছে বলে জানা গেছে।
প্রাথমিক শিক্ষা ও হিসাবরক্ষণ অফিসে ঘূষ প্রদানকারী প্রধান শিক্ষক আপ্তাব উদ্দিন বলেন, দীর্ঘ দিন ধরে আমরা বেতন না পেয়ে বাধ্য হয়ে শিক্ষরা চাদাঁ তুলে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে ১০হাজার, শিক্ষা অফিসের স্টাফদের ছয় হাজার টাকা, হিসাবরক্ষণ অফিসে ১০ হাজার টাকা প্রদান করি। এর পর আমরা ৬মাসের বেতন পাই। হিসাবরক্ষণ অফিসের অডিটর কুতুব উদ্দিন টাকা নেয়ার কথা অস্বীকার করে বলেন, শিক্ষকদের মধ্যে কিছু দালাল রয়েছে যারা স্বার্থসিদ্ধি আদায়ের জন্য বিভিন্ন পরিচয় দিয়ে থাকে। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা গকুল চন্দ্র দেবনাথ ঘুষ গ্রহনের কথা অস্বীকার করে বলেন এ ব্যাপারে কোন শিক্ষকের সাথে তার কোন লেনদেন হয়নি।