সিলেটে বালুমহাল ইজারা নিয়ে টানাপোড়ন

sand kushiaraসুরমা টাইমস রিপোর্টঃ সিলেটে বালুমহাল ইজারা প্রদান নিয়ে টানাপোড়েন চলছে। এক্ষেত্রে নিয়ম না মানার অভিযোগ উঠেছে জেলা প্রশাসনের বিরুদ্ধে। ইজারা প্রদানে কৌশলে আদালতের স্থিতাবস্থা লংঘন করা হচ্ছে। চলতি বাংলা সনে সিলেটের সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর বালুমহাল ইজারা প্রদানে এমন ঘটনা ঘটেই চলেছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
জানা গেছে, সিলেটের কয়েকটি বালু মহালগুলো ইজারা প্রদানে সম্প্রতি তিনটি টেন্ডার আহ্বান করা হয়। প্রথম দফা টেন্ডারে হাইকোর্টের স্থিতাবস্থা লংঘন করে সুরমা নদীর রাজাগঞ্জ বালু মহাল ইজারা প্রদানের প্রক্রিয়া শুরু হয়। পরে দুই ইজারাদারের প্রতিদ্বন্দ্বিতা পড়ে এ ইজারা প্রক্রিয়া ঝুলন্ত অবস্থায় থেকে যায় । পদ্বয়কে হাইকোর্টের রিট বাতিল করানো পর্যন্ত সময় দেয়া হয়েছে। দ্বিতীয় দফায় বালু মহাল ইজারা বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হলে এ টেন্ডারে হাইকোর্টের রিটভুক্ত কুশিয়ারা নদীর আঙ্গুরা মোহাম্মদপুর বালু মহালটি অন্তর্ভুক্ত করা হয়। টেন্ডারে এক প সরকারী মূল্য ৫লাখ ৭২হাজারের স্থলে সর্বোচ্চ মূল্য ১০লাখ টাকা ডাক দেয়। এ টেন্ডারেও জেলা প্রশাসন ‘রিট ঝামেলা’ পরিস্কার না করা পর্যন্ত টেন্ডার রেজুলেশন ঝুলিয়ে রেখেছে। ইজারা বিজ্ঞপ্তি বিধিমালার ১৫ নং শর্ত অনুযায়ী কোন বালু মহালের উপর আদালতের স্থগিতাদেশ, স্থিতাবস্থা অথবা নিষেধাজ্ঞা থাকলে এবং তা উল্লেখ না থকলেও ওই বালু মহাল ইজারা বহির্ভুত বলে গন্য হবে। কিন্তু সিলেটের জেলা প্রশাসন সম্পূর্ন হাইকোর্টের রিটভুক্ত বালুমহালগুলোর ইজারা প্রক্রিয়া অব্যাহত রেখেই চলেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। জেলা প্রশাসনের এহেন বিধিবহির্ভূত ইজারা প্রক্রিয়া বন্ধ রাখতে বিভন্ন মহল থেকে আবেদন করা হলেও তা আমলে নেয়া হচ্ছেনা । সিলেটের বিয়ানীবাজারের জনৈক আবুল হাছনাত এ ধরনের একটি আপত্তি গত ২৮এপ্রিল অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) বরাবরে দাখিল করেছেন।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) হাসান মাহমুদ গণমাধ্যমকে জানান, কুশিয়ার নদীর আঙ্গুরা মোহাম্মদপুর বালুমহালে হাইকোর্টে রীট রয়েছে। তবে কয়েকজনের আবেদনের প্রেক্ষিতে এর ইজারা প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।