তাহিরপুরের পাটলাই নদীপথ চাঁদাবাজদের দখলে

river wayকামাল হোসেন, তাহিরপুর: দেশের সর্ববৃহৎ কয়লা আমদানি কেন্দ্র সুনামগঞ্জের অর্থনৈতিক জোন খ্যাত তাহিরপুর উপজেলার ৩টি (বড়ছড়া-চারাগাঁও-বাগলী) শুল্কবন্দর থেকে নৌপথে কয়লা-চুনাপাথর পরিবহনের সময় চাঁদাবাজ ও চোরচক্রের দৌরাতেœ বর্তমানে ব্যবসার অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। প্রশাসন চাঁদাবাজ ও চোরদের বিরোদ্বে জরুরী ভিত্তিতে কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে বন্দর গুলো দিয়ে স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে যাবে আমদানী জানান ব্যবসায়ীরা। জানা গেছে, উপজেলার ৩টি বন্দর দিয়ে প্রায় ৮ শতাধিক আমদানিকারক ১৯৮৯ সাল হতে ভারতীয় কয়লা-চুনাপাথর আমদানি কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। সরকার প্রতিবছর আদায় করছে লক্ষ্যমাত্রার দ্বিগুন রাজস্ব। কয়লা বাংলাদেশের সীমান্তে আনার পর এক জায়গায় স্তুুপ করে রাখা হয় ডিপো কিংবা অফিস ঘরের সামনে। পরে নৌ-পথে পরিবহন করে দেশের বিভিন্ন ইট ভাটায় পাঠানো হয় এসব পণ্যসামগ্রী। এসময় সংঘবদ্ধ স্থানীয় প্রভাবশালী একটি চোরচক্র স্তুপিকৃত কয়লা ইঞ্জিন নৌকা-কার্গোতে লোড করার সময় জোরপূর্বক কয়লা সরিয়ে ফেলে। অনেক সময় লোড করা নৌকা থেকেও কয়লার বস্তা রাতের আঁধারে চুরি করে নিয়ে যায় তারা। অপরদিকে কয়লা লোড করা শেষে স্থানীয় পাটলাই নদী দিয়ে পরিবহনের সময় এক শ্রেণীর চাঁদাবাজ নামে-বেনামে চাঁদা তুলছে দেদারছে। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় প্রশাসন কার্যকরী ব্যবস্থা না নেয়ার ফলে দিন দিন আরও বেপরোয়া হয়ে উঠছে চাঁদাবাজরা। এদিকে চাঁদাবাজ ও চোর চক্রের উপদ্রপে প্রতিকার না পেয়ে ইতোমধ্যেই বহিরাগত অনেক ব্যবসায়ীরা এ অঞ্চল ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছেন বলে জানান তাহিরপুর কয়লা আমদানীকারক গ্রপের সদস্য মোস্তাক এন্ড ব্রার্দাসের স্বত্তাধিকারী ও জেলার শ্রেষ্ট করদাতা মোস্তাক আহমদ,মেসার্স মোরাদ ট্রেডলিংক এর স্বত্তাধিকারী মোরশেদ আলম সাদ্দামসহ অনেকেই। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যবসায়ী জানালেন, এসকল অভিযোগ স্থানীয় প্রশাসনকে বারবার জানালেও তারা কার্যকর কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিতপুর নৌকা মালিক সমিতির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম বলেন, চাঁদাবাজদের কথামতো চাঁদা না দিলে নৌকা আটক রাখাসহ মাঝিদের মারধর করে মালামাল লুট করে নিয়ে যায় তারা। এব্যাপারে আমরা বারবার প্রশাসনে দ্বারস্থ হলেও সহযোগীতা পাইনা। তাহিরপুর থানার ওসি আনিসুর রহমান খাঁন বলেন, ব্যবসায়ীদের সবরকমের নিরাপত্তা দিতে তারা সর্বদাই প্রস্তুত। চুরি ও চাঁদাবাজীর বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন তিনি। আমদানি করা কয়লা-চুনাপাথর সুষ্টভাবে পরিবহন করতে নদী থেকে চাঁদাবাজদের উৎখাত ও সংঘবদ্ধ চোরদের চিহ্নিত করে ব্যবসা নির্বিঘœ করার দাবি জানিয়েছেন বন্দরের ব্যবসায়ীরা