‘পাল্টে গেছে বিশ্বনাথ থানার চেহারা’

Bishwanath Thana Complexতজম্মুল আলী রাজু, বিশ্বনাথঃ দালালের আনাগোনা নেই। আগের মত চোঁখে পড়েনি তাদের। ওসি রফিকুল হোসেন এর ধারে কাছে যেতে সাহস নেই দালালদের। এনিয়ে প্রায় সময় আলোচনা-সমালোচনা শুনা যায় রফিক কে নিয়ে। এসব তিনি কোনভাবে পছন্দ করেননি। এক শ্রেণীর লোক (দালাল) থানায় বসার সুযোগ না পেয়ে চায়ের দোকানে বসে বদলী হচ্ছে ওসি বলে আলোচনা করতে শুনা যায়। তাই বলে অনেকেই বলেন ওসি রফিকের বিশ্বনাথ থানা।
মো. রফিকুল হোসেন যোগদানের পর পাল্টে গেছে থানার চেহারা। দালাল মুক্ত, ধুমপান মুক্ত, করেছেন তিনি। এর পূর্বে এ চেহারা ছিল না কোনদিন। সুন্দরভাবে সাজিয়েছেন স্টাফ। যে কোন সময় যে কেউ সহজে সেবা পেয়ে যাচ্ছেন। থানায় যাওয়া মাত্র ওসি রফিক গুরুত্ব দিয়ে সেবা নিতে আসা মানুষ কে নিজেই সহযোগিতা করেন।
ময়লা-অবর্জনা সেখানে লেগে থাকত সব সময়। এখন আর থানা কমপাউন্ডে এসব নেই। নিজের মত করে সাজানোর চেষ্ঠা চালিয়ে যাচ্ছেন রফিক। পুরো ভবন রং করেছেন। ভাঙ্গা গাড়ি গেইটের সম্মুখ থেকে সরিয়ে নিয়ে অন্য জায়গায় সুন্দরভাবে রেখেছেন। লাগানো হয়েছে ভবনে বাল্ব। ভবনের প্রতিটি রুমে সাটাঁনো হয়েছে ধুমপান নিষেদ সম্বলিত বোর্ড। ঢুকার প্রবেশ মুখে ফুলের ঢব দিয়ে লাগিয়েছেন ফুলের গাছ। ওসি রুমে ঢুকার সামনে দেয়াল ঘড়ি লাগানো হয়। এছাড়া কমপাউন্ডের ভিতরের আঙ্গিনা ও আশপাশ এলাকা আগাছা মুক্ত করেছেন।
প্রাক্তণ ওসি আবুল কালাম আজাদ এতসব না করলেও কিছুটা কাজ করে গেছেন বিশ্বনাথ থানার। তিনি অফিস রুম, পুকুরে যাওয়ার রাস্তাসহ বেশ কাজ করে গেছেন। তবে ওসি রফিকের মত কেউ এত কাজ করতে পারেননি।
এ ব্যাপারে থানার অফিসার ইনচার্জ মো. রফিকুল হোসেন সবুজ সিলেট কে বলেন, যতদিন থাকব ততদিন আমার কাজ অব্যাহত থাকবে। তিনি বলেন, বিশ্বনাথ নয় গোলাপগগঞ্জসহ যেসব থানায় ছিলাম সব থানায় এভাবে কাজ করার চেষ্ঠা করেছি।