চোরাই গরু উদ্ধার করতে গিয়ে সালিশদের উপর হামলা : কানাইঘাট থানায় মামলা
কানাইঘাট প্রতিনিধিঃ কানাইঘাটের সীমান্তবর্তী লক্ষীপ্রসাদ পূর্ব ইউপির কান্দলা মুলাগুল নয়াবাজারে চোরাই গরু ছিনিয়ে নেওয়ার সময় উদ্ধার করতে গিয়ে এক কুখ্যাত গরু চোর ও তার সহযোগীরা কর্তৃক হামলার ঘটনায় কানাইঘাট থানায় গরু চোরসহ ১৩জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। স্থানীয় লোকজনদের কাছ থেকে জানা যায় মুলাগুল নয়াবাজারের খসাই ফখর উদ্দিন (৪০) ও তার সহযোগীরা কয়েক দিন পূর্বে পার্শ্ববর্তী জকিগঞ্জ উপজেলার কাজলশাহ ইউপির চরি গ্রামের মৃত নজিব আলীর পুত্র আব্দুল খালিকের অর্ধ লক্ষাধিক টাকা মূল্যের এক জোড়া গাভী চুরি করে কানাইঘাট মুলাগুল সীমান্ত এলাকায় নিয়ে আসে। এর মধ্যে একটি গাভী কসাই ফখর উদ্দিন জবাই করে নয়াবাজারে বিক্রিও করে। চুরি হয়ে যাওয়া গরুর মালিক আব্দুল খালিক তার গরু চুরির সন্ধান পেয়ে গত শুক্রবার লক্ষীপ্রসাদ পূর্ব ইউপির সাউদ গ্রামের বশির উদ্দিনের বাড়ি থেকে তার একটি গরু উদ্ধার করেন। পরে তিনি এলাকায় এ ঘটনায় বিচারপ্রার্থী হলে স্থানীয় ইউপি সদস্য তমিজ উদ্দিনসহ গণ্যমান্য ব্যর্ক্তিবর্গের উপস্থিতিতে বশির উদ্দিন সালিশগণকে জানান গরুটি তিনি ১৭হাজার টাকা দিয়ে কাগজ মূলে কসাই আব্দুল খালিকের কাছ থেকে কিনেছেন। পরে সালিশগণ বশির উদ্দিনকে সাথে নিয়ে ঐদিন বিকেল ৪টায় উদ্ধার হওয়া চোরাই গরুটিসহ মুলাগুল নয়াবাজারে উপস্থিত হয়ে খসাই ফখর উদ্দিনের কাছে এব্যাপারে জানতে চাইলে সে এবং তার সহযোগী ২০/২৫জন সঙ্গবদ্ধ হয়ে সালিশগণের উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে উদ্ধার হওয়া গরুটি জোরপূর্বক ভাবে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে স্থানীয় লোকজন তা প্রতিরোধ করেন। খবর পেয়ে কানাইঘাট থানা পুলিশ সন্ধ্যা ৭টায় ঘটনাস্থলে গিয়ে গরুটি ইউপি সদস্য নুর উদ্দিনের জিম্মায় দেওয়া হয়। এঘটনায় বশির উদ্দিন বাদী হয়ে গরু চোর খসাই ফখর উদ্দিন ও তার সহযোগীসহ ১৩জনের নাম উল্লেখ করে আরো অজ্ঞাতনামা বেশ কয়েকজনকে আসামী করে গতকাল রবিবার থানায় মামলা দায়ের করেছেন। অপর দিকে গরুর মালিক আব্দুল খালিক তার একজোড়া গরু চুরির ঘটনায় ফখর উদ্দিন গংদের বিরুদ্ধে জকিগজ্ঞ থানায় আরো একটি মামলা করেছেন বলে জানা গেছে। স্থানীয় এলাকা বাসী জানিয়েছেন গরু চোর ফখর উদ্দিনের বাড়ি দিঘিরপার ইউপির কোনা গ্রামে। সে দীর্ঘ দিন থেকে ডাউকেরগুল গ্রামে তার শশুড়বাড়িতে থেকে মুলাগুল নয়াবাজারে গরু ও মহিষ জবাই করে বিক্রি করে আসছে। একাধিক চোরাই গরু জবাই করে বিক্রি করার অপরাধে পূর্বে সে কয়েক বার জেল কেটে এবং গণপিটুনীর স্বীকার হয়। সম্প্রতি জকিগঞ্জের জনৈক এক ব্যক্তির আরো ২টি চুরি হয়ে যাওয়া গরু তার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়। এ গরু চোর ও তার সহযোগীদের দ্রুত গ্রেফতার করে গরু চুরি বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের প্রতি আহবান জানিয়েছেন স্থানীয় লোকজন।