মেয়র আরিফের অবস্থার উন্নতি : বুধবার পর্যন্ত থাকবেন সিসিইউতে
সুরমা টাইমস রিপোর্টঃ সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তিনি বর্তমানে ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালের নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (সিসিইউ) বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে রয়েছেন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন আগামী বুধবার পর্যন্ত তাকে সিসিইউতে থাকতে হবে। এরপর অবস্থার আরো উন্নত হলে তাকে পুরো বিশ্রামে থাকতে হবে আরো দুইসপ্তাহ। চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে সিলেটভিউ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে এমন তথ্য জানিয়েছেন সিলেট সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা (পিআরও) মঈন উদ্দিন মঞ্জু।
জানা যায়- সকালে ইউনাইটেড হাসপাতালে হার্টের ব্লক অপসারণ করে রিং বসানোর পর থেকে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী কিছুটা সুস্থবোধ করতে থাকেন। বিকেলের দিকে তার শারীরিক অবস্থার আরো কিছু উন্নতি হয়। চিকিৎসকরা তার অবস্থা আশঙ্কামুক্ত বলে জানিয়েছেন মেয়রের পরিবারের সদস্যদের।
তবে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীকে আগামী বুধবার পর্যন্ত সিসিইউতে সার্বক্ষনিক পর্যবেক্ষণে থাকতে হবে। এই সময়ের মধ্যে তার শারীরিক অবস্থার আরো উন্নতি হলে তাকে সিসিইউ থেকে রিলিজ দেয়া হবে। এরপর পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ওঠতে তাকে আরো দুইসপ্তাহ বিশ্রামে থাকতে হবে।
এদিকে, শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে আরিফকে দেখতে ইউনাইটেড হাসপাতালের সিসিইউতে যান অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তিনি প্রায় ১০ মিনিট কথা বলেন আরিফের সাথে। তিনি তার চিকিৎসার খোঁজখবর নেন এবং আশু সুস্থতা কামনা করেন।
অর্থমন্ত্রী ফিরে আসার পর বিকেল ৫টার দিকে হাসপাতালে যান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এসময় দলের কেন্দ্রীয় নেতা শিমুল বিশ্বাসও ছিলেন। এছাড়া বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস প্রেসিডেন্ট শমসের মুবীন চৌধুরী, কেন্দ্রীয় নেতা আবদুল আউয়াল মিন্টু ও ইনাম আহমদ চৌধুরীও মেয়র আরিফকে দেখতে হাসপাতালে যান।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার রাতে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার পর সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীকে ভর্তি করা হয় নগরীর নয়াসড়কস্থ মাউন্ট এডোরা হাসপাতালে। সেখানে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সমন্বয়ে গঠিত বোর্ড তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষন কেন্দ্রে (সিসিইউ) রেখে চিকিৎসা সেবা দেন। তবে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় চিকিৎসকরা তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন।
চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী শনিবার সকাল সোয়া ৭টার দিকে সিলেট জেলা স্টেডিয়াম থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সযোগে মেয়র আরিফকে নিয়ে যাওয়া হয় ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে। ওই সময় আরিফকে বিদায় দিতে স্টেডিয়ামে তার শুভাকাঙ্খি অনেকেই উপস্থিত হন। আরিফকে বিদায় দিতে গিয়ে অনেকে কান্নায়ও ভেঙে পড়েন।