তিস্তার পানি নিয়ে আপস নয় : যোগাযোগমন্ত্রী
সুরমা টাইমস রিপোর্টঃ যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘তিস্তার নায্য পানির হিস্যা নিয়ে কারও সাথে আপস করব না। রক্ত দিয়ে দেশ স্বাধীন করেছি। কারও কাছে মাথা নত করব না। ক্ষমতার জন্য আমরা দেশের সার্বভৌমত্ব জিম্মি করব না।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের সাথে ভারতের অনেক বিরাজমান সমস্যা রয়েছে। যেমন পানি বণ্টন, সীমান্ত চুক্তি ও করিডোর। আগামীতে ভারতে যে সরকারই ক্ষমতায় আসুক আমাদের সম্পর্কের কোনো অবনতি হবে না। দেশের স্বার্থে জনগণের স্বার্থে আমরা তাদের কাছে আমাদের সমস্যা তুলে ধরে সমাধানের আহ্বান জানাব।’
বঙ্গবন্ধু সেতু-টাঙ্গাইল মহাসড়ক পরিদর্শনকালে শনিবার দুপুরে টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ডে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ সব কথা বলেন মন্ত্রী। ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘গাজীপুরের জয়দেবপুর থেকে টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা পর্যন্ত প্রায় ৭০ কিলোমিটার মহাসড়ক চারলেনে উন্নীতকরণ প্রকল্পের দরপত্র মে মাসে আহ্বান করা হবে।’ সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে সেপ্টেম্বরেই প্রকল্পের কাজ শুরু করা যাবে বলেও জানান তিনি। যোগাযোগমন্ত্রী বলেন, ‘উত্তরাঞ্চলের সাথে অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নীতকরণ এবং প্রতিবেশী দেশসমূহের সাথে সড়ক যোগাযোগ উন্নীতকরণের লক্ষ্যে প্রকল্পটি হাতে নেওয়া হয়েছে। প্রায় তিন হাজার ৬৬ কোটি টাকা ব্যয়ে এ প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে পাঁচটি ফ্লাইওভার, ২৬টি সেতু ও ৬০টি কালভার্ট নির্মাণ। এ প্রকল্পের জন্য টাঙ্গাইল ও গাজীপুর জেলায় প্রায় ৩৫ হেক্টর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। অনেকেই জমি অধিগ্রহণের কথা শুনে রাস্তার দু’পাশে হুরো করে অবৈধভাবে ছোট বড় মিল-কারখানার ভান ধরে স্থাপনা গড়ে তুলেছেন। ইহা অতিসত্বর উচ্ছেদ করা হবে। ২০১৮ সালের মার্চে এ প্রকল্পের কাজ শেষ হবে।’
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- যোগাযোগ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সংসদ সদস্য একাব্বর হোসেন, সংসদ সদস্য মনোয়ারা বেগম, মহাসড়ক চারলেনে উন্নীতকরন প্রকল্পের পরিচালক দিলীপ কুমার গুহ, প্রকল্প ব্যবস্থাপক মো. জিকরুল হাসান, টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক মো. আনিছুর রহমান মিয়া, পুলিশ সুপার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর, টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র শহিদুর রহমান খান, কালিহাতী উপজেলা চেয়ারম্যান মোজাহারুল ইসলাম তালুকদারসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।