জগৎজ্যোতি হত্যামামলা সহ আলোচিত পাঁচ মামলার নতি তলব
সুরমা টাইমস রিপোর্টঃ ছাত্রলীগ নেতা জগৎজ্যোতি হত্যা মামলাসহ আলোচিত ৫ মামলার অগ্রগতি প্রতিবদেন তলব করেছে আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের স্থায়ী কমিটি। আগামী ২৯ এপ্রিল বিকেল ৪ টায় অনুষ্টিতব্য এই বৈঠকে হাজির থাকার জন্য সিলেট জেলা জজ, পাবলিক প্রসিকিউটর, পুলিশ সুপার ও মহানগর পুলিশ কমিশনারকে চিঠি দেয়া হয়েছে। আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের সিনিয়র সহকারি সচিব উৎপল চৌধুরী স্বাক্ষরিত এই চিঠি বৃহস্পতিবার সংশ্লিষ্টদের হাতে এসে পৌঁছায়। চিঠি পাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন সিলেট জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ। তিনি বলেন, গুরুত্বপূর্ণ প্রতিটি মামলা জন্য জবাব দিহীতা ও অগ্রগতি পর্যবেক্ষনে থাকা প্রয়োজন। এ কারণে সংসদীয় কমিটিতে প্রতিটি মামলার বর্তমান অবস্থা তুলে ধরা হবে।
অনুষ্ঠিতব্য বৈঠকে সিলেটের যে পাঁচটি আলোচিত মামলার কথা চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে-সেগুলো হলো সিলেট কোতোয়ালি থানা এলাকায় সংঘটিত জগৎজ্যোতি হত্যা মামলা (৩(৩)১৩)। -এছাড়া অন্য চারটি মামলার দু’টি কোতোয়ালি ও দু’টি দক্ষিণ সুরমা থানায় দায়েরকৃত। ছাত্রলীগ নেতাদের উপর জামায়াত শিবিরের হামলার ঘটনায় এসব মামলা দায়ের করা হয়। মামলা গুলো হলো-কোতোয়ালি থানায় মামলা (নং-৩৩(১০)১৩) ও (নং-১৪(১০)১৩), দক্ষিণ সুরমা থানার মামলা (নং-০৭(২)১৩) ও (নং-৬(১২)১৩)।
গত বছরের ২ মার্চ রাত ৯ টায় সিলেট গণজাগরণ মঞ্চ থেকে ফেরার পথে নগরীর আখালিয়ায় ছাত্রশিবির ক্যাডাররা জগৎজ্যোতিকে কুপয়ে খুন করে। এ ঘটনায় তার সঙ্গী জুয়েল গুরুতর আহত হন। পরবর্তীতে ৫ মার্চ জগৎজ্যোতির সহকর্মী সাব্বির আহমদ বাদি হয়ে কোতোয়ালি থানায় শিবির ক্যাডার গাজি নাসিরসহ ২৫ জনের নামোল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ২০/২৫ জনকে আসামি করে কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটি বর্তমানে তদন্তাধীন রয়েছে। এছাড়া কোতোয়ালি থানায় মামলা (নং-৩৩(১০)১৩)।- বাদি তাজ উদ্দিন বাবর। একই বছরের ২৯ অক্টোবর রাত ১১ টায় যুবলীগ নেতা দুলাল মিয়ার উপর হামলার ঘটনায় তার ভাই তাজ উদ্দিন বাদি হয়ে জামায়াত শিবির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে এই মামলাটি করেন। মামলা (নং-১৪(১০)১৩) দায়ের করেন শিবিরের হামলায় আহত শাবি ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি অঞ্জন রায়। একই বছরের ৯ অক্টোবর রাত সাড়ে ৯টায় নগরী থেকে শাবি ক্যাম্পাসে ফেরার পথে শিবির ক্যাডারদের হামলার শিকার হন তিনি। এ ঘটনায় ৭ শিবির নেতাকর্মীর নামোল্লেখ করে অজ্ঞাত ৫/৬ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়। মামলা (নং-০৭(২)১৩) বাদি মদন মোহন কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি অরুণ দেবানাথ সাগর। ওই বছরের ২২ এপ্রিল রাতে বাড়ি ফেরার পথে জামায়াত শিবির ক্যাডারদের হামলার শিকার হন তিনি। এ ঘটনায় ১৪ জনের নামোল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ৮/১০ জনকে আসামি করে দক্ষিণ সুরমা থানায় এই মামলা দায়ের করা হয়। তাছাড়া সিলেট পলিটেকনিক্যাল কলেজ ছাত্রলীগ নেতা সৈকত চন্দ্র রিমির উপর হামলার ঘটনা ঘটে একই বছরের ১৭ ডিসেম্বর দুপুর সাড়ে ১২ টায়। শিবির নেতাকর্মীরা কলেজ ছাত্রবাসের সামনে তাকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। এ ঘটনায় রিমি বাদি হয়ে শিবিরের অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জন নেতাকর্মীকে আসামি করে দক্ষিণ সুরমা থানায় মামলা (নং-৬(১২)১৩) দায়ের করেন। এসব মামলাগুলো তদন্তাধীন রয়েছে। অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ আরও জানান, শুধু এসব মামলা-ই নয়, প্রতিটি মামলার একটি নির্দিষ্ট সীমারেখা আছে। ন্যায় বিচারের স্বার্থে তা পর্যবেক্ষণ প্রয়োজন।