ছাত্রলীগ নেতা হেভেন হত্যা মামলার প্রধান আসামী হাবিবকে ঢাকায় গ্রেপ্তার

pic heven nabiagnjউত্তম কুমার পাল হিমেল,বীধস(হবিগঞ্জ)থেকে॥ নবীগঞ্জের বহুল আলোচিত ছাত্রলীগ নেতা হেভেন চৌধুরী হত্যা মামলার প্রধান আসামী নবীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের বহিস্কৃত আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান হাবিবকে ঢাকার ডিবি পুলিশ গ্রেফতারের পর গতকাল শুক্রবার হবিগঞ্জ জেল হাজতে প্রেরণ করেছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত বৃহস্পতিবার রাত ১১ টার সময় ঢাকার ফকিরাপুল এলাকার একটি আবাসিক বাসা থেকে ডিবি পুলিশ অভিযান চালিয়ে থাকে গ্রেফতার করে। পরে হাবিব গ্রেফতারের খবর ঢাকা থেকে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে জানানো হয়। খবর পেয়ে হাবিবকে হবিগঞ্জ নিয়ে আসার জন্য রাতেই হবিগঞ্জের এএসপি নাজমুল হাসান ও নবীগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) রাতেই ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন। নিহত হেভেন চৌধুরীর পিতা মকবুল হোসেন চৌধুরীর সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি হাবিব গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গ্রেফতারের বিষয়টি তাকে অবহিত করেছেন।
উলে¬খ্য, গত ২৪ ফেব্র“য়ারি রাত সাড়ে ১০ টার দিকে পাওনা টাকা চাওয়ার জের ও ছাত্রলীগের কলেজ কমিটি নিয়ে আভ্যন্তরীন কোন্দলের জের ধওে প্রতিপক্ষের হামলায় ছাত্রলীগ নেতা হেভেন চৌধুরী (২৬) গুরুতর আহত হলে তাকে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপে¬ক্সে ভর্তি করা হয়। পরে তাকে অজ্ঞান অবস্থায় সিলেট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। উপজেলার বোরহানপুর গ্রামের মকবুল হোসেন চৌধুরীর একমাত্র পুত্র হেভেন চৌধুরী। সিলেট মেডিকেলে মাথায় আঘাত প্রাপ্ত হেভেন চৌধুরীর একাধিক অস্ত্রোপচার করা হলেও কোন উন্নতি হয়নি। ফলে গত ২৬ ফেব্র“য়ারি সকালে হেলিকপ্টার যোগে ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে পরদিন এ্যাপোলো হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে তার মাথায় একাধিক অস্ত্রোপচার শেষে তাকে এ্যাপোলো হাসপাতালের আইসিইউতে রাখা হয়। কিন্তু চিকিৎসকদের প্রাণান্তকর চেষ্টা ব্যর্থ হয়ে যায় ২৮ ফেব্র“য়ারি বিকেলে হেভেন চৌধুরী শেষ নিশ্বাস ত্যগ করে এ পৃথিবীর মায়া ছেড়ে চলে যান না ফেরার দেশে। হেভেন মারা যাবার খবরে এলাকার মানুষ প্রতিবাদ মুখর হয়ে উঠে। এ নিয়ে একাধিকবার মানবন্ধন, প্রতিবাদ সভা, মিছিল, স্মারকলিপি প্রদান করে খুনিদের গ্রেফতারের দাবী জাননো হয়।
নিহত হেভেন চৌধুরীর পিতা বোরহানপুর গ্রামের মকবুল হোসেন চৌধুরী বাদী হয়ে হাবিবুর রহমান হাবিবকে প্রধান আসামী করে ১৫ জনের নাম উলে¬খ করে অজ্ঞাতনামা আরো ৯/১০ জনের বিরুদ্ধে গত ২ মার্চ গভীর রাতে নবীগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এদিকে হেভেন হত্যার ঘটনার পর থেকে আসামীরা আত্মগোপনে চলে।
নিহত ছাত্রলীগ নেতা হেভেন চৌধুরীর পিতা মকবুল হোসেন চৌধুরী এ প্রতিনিধিকে জানান,আমার রড-সিমেন্টের দোকান থেকে উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক হাবিবুর রহমান হাবিব ২ লাখ ৭০ হাজার টাকার মালামাল নিয়ে মাত্র ৫০ হাজার টাকা প্রদান করে। বাকী ২ লাখ ২০ হাজার টাকা চাইতে গিয়ে আমার পুত্র হেভেনের সাথে ঘটনার ২ দিন আগেও কথাকাটাকাটি হয়। এরই জের ধরে ঘটনার দিন রাত ১০টার দিকে আমার ছেলেকে হাবিবের নেতৃত্বে প্রাণে হত্যার জন্য অস্ত্র দিয়ে উপর্যপরি আঘাত করে কিন্তু কোন লোক এ ঘটনা প্রত্যক্ষ করেও তাকে বাচাঁতে গেল না।