বিশ্বনাথে সোনালী রঙ্গে মাঠে দোল খাচ্ছে ধান : কৃষকের মুখে হাসি
তজম্মুল আলী রাজু, বিশ্বনাথঃ বিশ্বনাথে বোরো ধান পাকতে শুরু হয়েছে। সোনালী ধানে ভরে গেছে মাঠ। সেই ধান যখন সোনালী রঙ্গে মাঠে দোল খায়, তখন কৃষকের মুখের হাসিটা বিস্তীর্ণ হয়ে ওঠে। সব কষ্ট ভুলে নতুন উদ্যমে পাকা সোনালী ধান কেটে ঘরে তুলতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে তারা। কৃষকদের জন্যও সেই সময় এসেছে। উপজেলা জুড়ে ফসলের মাঠে বোরো ধান এখন সোনালী রূপ ধারণ করেছে। সেই সাথে কৃষকের মুখে ফুটে ওঠেছে অমলীন হাসি।
বিশ্বনাথ উপজেলা জুড়ে এবার বোরোর বাম্পার ফলন হওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করছেন কৃষক ও সংশি¬ষ্ট কৃষকরা। ফলে কৃষকের মনে বইছে আনন্দের ফল্গুধারা। অনেকেই এবার প্রথমবারের মতো বোরো ফসল চাষ করেছিলেন। ফসলের বাম্পার ফলন হওয়ার সম্ভাবনা দেখে তারা বেশ খুশি। অনেকেই ইতিমধ্যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এখন থেকে নিয়মিত বোরো ধানের চাষ করবেন। তাদেরই একজন লেবু মিয়া বলেন, এবারই প্রথম বোরো ধান চাষ করলাম। ভালোই ফসল হবে আশা করছি। সেইসাথে এখন থেকে নিয়মিত বোরো ধান চাষের চেষ্টা করবো।
এদিকে পাকা ধান কাটতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন বিশ্বনাথের কৃষকরা। প্রবল উৎসাহে চলছে হাওর বিলে ধান কাটা। তবে এবার আগাম শিলাবৃষ্টির কারণে বোরো ধানের কিছুটা ক্ষতি হবে বলে ধারণা করছেন সংশি¬ষ্টরা।
বিশ্বনাথের বিভিন্ন হাওরে চাষ করা বোরো ধানের মধ্যে রয়েছে উচ্চ ফলনশীল বি-আর ২৯, ব্রি-ধান ২৮, ব্রি-২৯, ময়নাশাইল, জাগরণ, সোনার বাংলা, আলোড়ন এবং স্থানীয় জাতের মধ্যে রয়েছে টেপি, খৈয়া, গর্বি প্রভৃতি ধান। এবার উৎপাদিত ধানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে প্রায় ২৫ হাজার মেট্রিকটন।
খাজাঞ্চী ইউনিয়নের মাধবপুর কর্মকলাপতি গ্রামের কৃষক রাহিদুজামান বলেন, বোরো ধান কাটা শুরু করে দিয়েছি। ফসল ভালোই হয়েছে।
দেওকলস ইউনিয়নের রামকৃষ্ণপুর গ্রামের কৃষক নরেদ্রনাথ দত্ত বলেন, ফসল বেশ ভালো হলেও আগাম শিলাবৃষ্টি নিয়ে শংকায় আছি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা খায়রুল আমিন বলেন, উপজেলা জুড়ে বোরোর বাম্পার ফলন হওয়ার আশা রাখছি। যদি কালবৈশাখী ঝড় আর শিলাবৃষ্টি ক্ষতি না করে তবে বোরোর বাম্পার ফলন হবে এবার।