বাসের চাপায় স্কুল ছাত্রী নিহত : জেলা প্রশাসক ও উপজেলা চেয়ারম্যানের মধ্যস্থতায় নিস্পত্তির উদ্যোগ
উত্তম কুমার পাল হিমেল,নবীগঞ্জ(হবিগঞ্জ)থেকেঃ ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নবীগঞ্জ উপজেলার জনতার বাজারে রাস্তা পারাপারের সময় হবিগঞ্জ থেকে সিলেটগামী বেপরোয়া বাসের চাপায় শান্তা চৌধুরী (১০) নামের এক স্কুল ছাত্রী নিহত হওয়ার ঘটনায় সুষ্ট বিচার দাবী করে এলাকার বিক্ষোব্দ জনতা মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ করে অচল করে দেওয়ার ঘটনার নিস্পত্তির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোঃ জয়নাল আবেদীন এবং নবীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আলমগীর চৌধুরীর মধ্যস্থতায় এলাকাবাসী ও পরিবহন মালিকদেও মাঝে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে দিনারপুর কলেজের বিষয়টি নিস্পত্তির জন্য এ বৈঠক অনুষ্টিত হয়। বৈঠকে অন্যান্যেও মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এ এসপি নাজমুল ইসলাম,নবীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ আলমগীর চৌধুরী, হবিগঞ্জ মটর মালিক সমিতির সভাপতি মোঃ ফজলুর রহমান,সাধারন সম্পাদক সফিক আহমদ,জেলা শ্রমিক পরিবহন সমিতির সাধারন সম্পাদক সজীব আলী,নবীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ইমদাদুর রহমান মুকুল,সাধারন সম্পাদক আলহাজ্ব সাইফুল জাহান চৌধুরী,ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ ইজাজুর রহমান,ইউপি চেয়ারম্যান আবুল খয়ের গোলাপ,ইউপি চেয়ারম্যান এডঃ জাবেদ আলী,নবীগঞ্জ থানার ওসি জাহাঙ্গীর আলম প্রমূখ। এ সময় জেলা প্রশাসক স্থানীয় বিক্ষোব্দ জনতা ও শ্রমিক পরিবহনের উপস্থিতিতে আগামী ২ দিনের মধ্যে দূর্ঘটনায় নিহত শিশুর ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের সাথে আলোচনাক্রমে নিস্পত্তির আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
উল্লেখ্য ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নবীগঞ্জ উপজেলার গজনাইপুর ইউনিয়নের জনতার বাজারে গত বুধবার সকাল ১১টায় স্কুল ছাত্রী শান্তা চৌধুরী রাস্তা পারাপারের সময় হবিগঞ্জ থেকে সিলেটগামী বেপরোয়া হবিগঞ্জ এক্সপ্রেস ঢাকা মেট্রো ব-১১-১৪৫৬ তাকে সজোরে চাপ দেয় সাথে সাথে শান্তা চৌধুরীকে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তবরত ডাক্তার মৃত ঘোষনা করেন। । নিহত স্কুল ছাত্রী গ্রামের বাড়ি উপজেলার পৌর এলাকার গন্ধা গ্রামের লিটন মিয়ার কন্যা। সে তার নানার বাড়ী দেওপাড়া থেকে গাবদেব সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণীতে লেখা পড়া করত । বিক্ষোব্দ জনতা ও হাইওয়ে পুলিশ ঘাতক বাসটিকে আউশকান্দি বাজারে আটক করলেও চালক পালিয়ে যায়। এ সময় ঢাক-সিলেট মহাসড়কটি পায় ২ ঘন্টা যান চলাচল বন্ধ ছিল।