আল্লাহর আইন-বিধান দ্বারা সমাজ-রাষ্ট্র পরিচালিত না হলে শান্তি ও কল্যাণ লাভ অসম্ভব

মানুষের নয়! আল্লাহর সার্বভৌমত্বের প্রতিনিধিত্বকারী নেতার নেতৃত্বে আল্লাহর আইন-বিধান দ্বারা সমাজ-রাষ্ট্র পরিচালিত না হলে শান্তি ও কল্যাণ লাভ অসম্ভব।

আবু জাফর মুহাম্মাদ ইকবাল: সার্বভৌম ক্ষমতার একমাত্র মালিক, মানব জাতিসহ বিশ্ব জগতের সকল কিছুর সৃষ্টিকর্তা, সকল সৃষ্টির জন্য একমাত্র আইনদাতা-বিধানদাতা ও নিরংকুশ কর্তা আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মানব জাতির সমগ্র জীবন পরিচালনার জন্য একমাত্র জীবন ব্যবস্থা ‘ইসলাম’ প্রদান করেছেন এবং তাঁর সর্বশেষ নাবী ও রাসূল হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ)এর নিকট আল কুরআন নাযিলের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ও কল্যাণকর আইন-বিধানসহ একমাত্র জীবন ব্যবস্থা ‘ইসলাম’কে পরিপূর্ণ করে দিয়েছেন। সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ প্রদত্ত একমাত্র পরিপূর্ণ জীবন ব্যবস্থা ইসলাম’এর যারা অনুসারী বা আনুগত্যকারী তারাই হলো ‘মুসলিম’। কাজেই, ‘ইসলাম’ হলো সার্বভৌম ক্ষমতার একমাত্র মালিক বিশ্বজগতের সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর পক্ষ থেকে মানব জাতির সমাজ ও রাষ্ট্রসহ সমগ্র জীবন পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় ও কল্যাণকর আইন-বিধান সম্বলিত পরিপূর্ণ একমাত্র জীবন ব্যবস্থা। আমাদের সকলকে মনে রাখতে হবে যে, সার্বভৌম ক্ষমতার একমাত্র মালিক বিশ্ব জগতের সকল কিছুর সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ আমাদের সৃষ্টিকর্তা, আল্লাহ আমাদের পালনকর্তা, রিযিকদাতা, রক্ষাকর্তা, জীবন ও মৃত্যুদাতা, আমাদের কর্মফল প্রদানকর্তা। আল্লাহর সৃষ্ট খাদ্য, পানীয়, আলো, বাতাস, আগুন ভোগ করেই আমরা জীবন ধারন করছি এবং আল্লাহরই দয়ার দান আমাদের কর্মশক্তি, বাকশক্তি, দৃষ্টিশক্তি, শ্রবনশক্তি, মেধাবুদ্ধি তাঁরই অনুগ্রহে ব্যবহার করেই আমরা যে যার পেশায় নিয়োজিত হয়ে উন্নতি সাধন করছি; একদিন আমরা আবার মৃত্যুবরন করতে এবং আল্লাহর কাছে ফিরে যেতে বাধ্য হবো। যেই আল্লাহ আমাদের সৃষ্টি করলেন, খাদ্য, পানীয়, আগুন, আলো, বাতাস, মাটি ইত্যাদি সৃষ্টির মাধ্যমে আমাদের রিযিকের ব্যবস্থা করলেন, শ্বাস প্রশ্বাস এবং রক্ত সঞ্চালনের জন্য সর্বোত্তম ব্যবস্থা করে দিলেন আর সমগ্র জীবন পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় ও কল্যাণকর আইন-বিধান সম্বলিত পরিপূর্ণ জীবন ব্যবস্থা হিসাবে মনোনীত করে দিলেন ‘ইসলাম’; সেই আমরা ‘মানুষ’ আল্লাহর সৃষ্টি হয়ে আল্লাহর দেয়া রিযিক ভোগ করে তাঁর দয়ার দান ব্যবহার করে জীবন ধারন ও যাপন করছি, আর আল্লাহর নির্দেশ মেনে তাঁর প্রদত্ত ব্যবস্থা ও তাঁর আইন-বিধানের আনুগত্য করার মাধ্যমে তাঁর দাসত্ব করবো, এটাই তো স্বাভাবিক। কিন্তু আমরা তা না করে আমাদের সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে আমরা মানুষকে সার্বভৌমত্ব, আইন-বিধান ও কতৃতের্র মালিক স্বীকার করে মানুষকে আল্লাহর সমকক্ষ গণ্য করে মানব রচিত ব্যবস্থার মাধ্যমে মানুষের মনগড়া আইনের আনুগত্য করে দাসত্ব করছি আমাদের মতো মানুষের। আল্লাহর চরম অকৃতজ্ঞতা অর্থাৎ আল্লাহর সাথে কুফরী এবং আল্লাহর সাথে শির্ক করার এ অপরাধ কি ক্ষমার যোগ্য হতে পারে? এ অপরাধ ক্ষমার যোগ্য নয় বিধায়; আল্লাহ শির্কের অপরাধ ক্ষমা করবেন না বলে জানিয়েও দিয়েছেন এবং আল্লাহর অবাধ্যতা অর্থাৎ তাঁর সাথে কুফরী ও শির্ক করার অপরাধের শাস্তি হিসাবে দুনিয়াতে আল্লাহর আযাব-গযবে জাতির মানুষকে দলে দলে বিভক্ত করে সংঘাত সংর্ঘষে মাধ্যমে পরস্পরকে র্শিকের স্বাদ আস্বাদন করাবেন, উপরের দিক ও নিচের দিক থেকে আযাব গযব দিবেন। ফলে দুনিয়াতে দুভোর্গ ও অশান্তিতে জীবন কাটাতে হবে এবং আখিরাতের স্থায়ী জীবনে জান্নাত হারাম করে চিরস্থায়ীভাবে জাহান্নামের আগুনে নিক্ষেপ করবেন ঘোষণা করেছেন। বর্তমানে জাতির মানুষ দলে দলে বিভক্ত হয়ে সংঘাত সংর্ঘষে লিপ্ত, এটা আল্লাহর আযাব গযবেরই অংশ।

উপরোক্ত আলোচনা থেকে স্পষ্টভাবে প্রতিয়মান হয় যে, আমরা দেশের মানুষ সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচালনায় মানব রচিত ব্যবস্থা ‘গণতন্ত্র’এর মাধ্যমে মানুষের সার্বভৌমত্ব, আইন-বিধান ও কর্তৃত্ব মেনে নেয়ায় সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর সার্বভৌমত্ব, আইন-বিধান ও নিরংকুশ কর্তৃত্বের সাথে শির্ক ও আল্লাহর চরম অবাধ্যতা করে ক্ষমার অযোগ্য মহা পাপে নিমজ্জিত হয়ে জাতিগতভাবে ভয়াবহ কঠিন বিপদ ও মহা ক্ষতির মধ্যে অবস্থান করছি। যার কারণে আমাদের ব্যক্তি, সমাজ ও জাতীয় জীবনে সমস্যা ও পাপাচার ক্রমে শুধু বৃদ্ধিই পাচ্ছে। এই অবস্থা থেকে আমাদের মুক্ত হতে হবে, তা নাহলে আল্লাহর চরম অবাধ্যতা এবং তাঁর সাথে শির্ক করার অপরাধে দুনিয়াতে আল্লাহর আযাব গযবের শিকার হয়ে দুর্ভোগ ও অশান্তিতে জীবন কাটানোর পর আখিরাতের জীবনেও চিরস্থায়ীভাবে জাহান্নামের আগুনে জ্বলতে হবে, যেখানে সাহায্য বা রক্ষা করার কেহ থাকবে না। এই মহা ক্ষতি থেকে বাঁচতে হলে ব্যক্তিগতভাবে আমাদের সকলকে অসীম দাতা ও দয়ালু এবং ক্ষমাশীল আমাদের সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে তওবা করতে হবে এবং সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচালনায় মানুষের সার্বভৌমত্ব, আইন-বিধান ও কর্তৃত্বকে অস্বীকার অমান্য করে সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচালনাসহ জীবনের সর্বক্ষেত্রে একমাত্র আল্লাহকেই সার্বভৌমত্ব, আইন-বিধান ও নিরংকুশ কর্তৃত্বের মালিক স্বীকার করে তাঁর প্রদত্ত ব্যবস্থা ‘ইসলাম’এর আইন-বিধান সমাজ ও রাষ্ট্রে প্রতিষ্ঠার জন্য “আল্লাহর সার্বভৌমত্বের প্রতিনিধিত্বকারী নেতার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে” এবং নিজের অর্থ ও সময় ব্যয়ের মাধ্যমে জাতির অন্যান্য সকলকে আল্লাহর সার্বভৌমত্বের ভিত্তিতে ঐক্যবদ্ধ করার জন্য আন্তরিকভাবে চূড়ান্ত চেষ্টা করতে হবে সাথে সাথে ধৈর্য্য ও ছালাত (নামাজ)এর মাধ্যমে আল্লাহর সাহায্য প্রার্থনা করতে হবে এবং সকল প্রকার বিরোধীতা ও ষড়যন্ত্রের মোকাবিলা করার দায়িত্ব আল্লাহর উপর ছেড়ে দিয়ে নিজে উত্তম ধৈর্য্য ও ক্ষমার নীতিতে অটল থাকতে হবে। তাহলেই মিলবে সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর ক্ষমা, মিলবে রাষ্ট্রীয় শাসন ক্ষমতা (খিলাফাত) এবং আখিরাতের স্থায়ী জীবনে চির সুখের স্থান জান্নাত। কাজেই, আমরা যদি সুশাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার মাধ্রমে সকল অধিকার নিয়ে দুনিয়াতে শান্তি কল্যাণ ও কল্যাণ এবং আখিরাতে জাহান্নামের কঠিন শাস্তি থেকে রক্ষা পেয়ে জান্নাতে যেতে চাই, তাহলে সমাজ ও রাষ্ট্রসহ জীবনের সকল ক্ষেত্রে একমাত্র সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর আইন-বিধানের আনুগত্য করার মাধ্যমে আল্লাহরই দাসত্ব করতে হবে এবং সে লক্ষ্যে সমাজ ও রাষ্ট্রে ‘ইসলাম’ প্রতিষ্ঠা করে ইসলামের আইন-বিধান দ্বারা সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচালনার ব্যবস্থা করতেই হবে। শান্তি, কল্যাণ এবং জান্নাত লাভের আর কোন বিকল্প ব্যবস্থা নেই। তবে, মানব রচিত ব্যবস্থা গণতন্ত্রের অধীনে নির্বাচনে অংশগ্রহন করতে হলে আল্লাহর সাথে কুফর ও শির্ক করেই করতে হয় বিধায়; গণতন্ত্রের অধীনে নির্বাচনে অংশগ্রহন করে ইসলাম প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করা ইসলাম প্রতিষ্ঠার পদ্ধতি নয়। আবার সমাজ ও রাষ্ট্রে ইসলাম প্রতিষ্ঠিত না থাকাকালীন সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে ইসলাম প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করা কুরআন সুন্নাহ বিরোধী অপতৎপরতা বিধায় সশস্ত্র সংগ্রাম বোমাবাজি করে মানুষের জান মালের ক্ষতিসাধন করে ইসলাম প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করাও সমাজ ও রাষ্ট্রে ইসলাম ইসলাম প্রতিষ্ঠার পদ্ধতি নয়। আল্লাহর রাসূল হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রদর্শিত শান্তিপূর্ণ কর্মসূচীর মাধ্যমে আল্লাহকেই একমাত্র সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক, আইনদাতা-বিধানদাতা ও নিরংকুশ কর্তা অর্থাৎ একমাত্র ‘রব’ স্বীকার করে মেনে নিয়ে ইমানের ঘোষণা দিয়ে ঈমান আনা, একমাত্র আল্লাহরই দাসত্ব তাঁরই আইন-বিধানের আনুগত্য এবং তাঁরই উপাসনা করার অঙ্গীকার করা এবং এর বাস্তবায়নের আল্লাহর রাসূল হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর শর্তহীন আনুগত্য-অনুসরণ ও অনুকরণের অঙ্গীকার করা এই তিনটি মহা সত্যের দাওয়াত দানের মাধ্যমে আল্লাহর সার্বভৌমত্বের প্রতিনিধিত্বকারী নেতার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হয়ে জাতির অন্যান্য সকলকে এই দাওয়াত দানে নিজের অর্থ ও সময়ের চূড়ান্ত কুরবানী করা এবং দাওয়াত কবুলকারীদেরকে নিয়ে ‘ইসলামী সমাজ গঠন’ আন্দোলন চালিয়ে যেতে থাকাই সমাজ ও রাষ্ট্রে ইসলাম প্রতিষ্ঠার একমাত্র পদ্ধতি।

তথাকথিত কিছূ পন্ডিত ব্যক্তি এই বলে জাতিকে বিভ্রান্ত করছেন যে, ইসলামেও ‘গণতন্ত্র’ আছে। তাদের এই বিভ্রান্তি থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য বলছি ‘গণতন্ত্র’ শব্দটি ‘গণ’ এবং ‘তন্ত্র’ এ দুটি শব্দ মিলে হয়েছে গণতন্ত্র। ‘গণ অর্থ ‘মানুষ’ এবং ‘তন্ত্র’ অর্থ ‘আইন’। অতএব ‘গণতন্ত্র’ অর্থ হচ্ছে ‘মানুষের আইন’।- গণতন্ত্র হচ্ছে এমন একটা ব্যবস্থা, যে ব্যবস্থায় মানুষের সার্বভৌমত্বের ভিত্তিতে মানুষের মনগড়া আইন-বিধান দ্বারা সমাজ ও রাষ্ট্র গঠন এবং পরিচালনার জন্য সরকার গঠন করা হয়। গণতন্ত্র ব্যবস্থায় সমাজ ও রাষ্ট্র গঠন ও পরিচালনায় ‘জনগণকে সকল ক্ষমতার উৎস’ এবং জনগণের ভোটে নির্বাচিত ‘সংসদ সদস্যদের আইনদাতা বিধানদাতা’ এবং ‘জনগণের প্রতিনিধি হিসাবে নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের মনোনীত বা নির্বাচিত ব্যক্তি দ্বারা রাষ্ট্রপ্রধান, সরকার প্রধান ও মন্ত্রী পরিষদ গঠিত হয়, যাদেরকে শাসন ক্ষমতা ও কর্তৃত্বের মালিক’ স্বীকার করা হয়। গণতন্ত্রে সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক মানা হয় জনগণকে, আইনদাতা স্বীকার করা হয় সংসদ সদস্যদের এবং মানব রচিত ব্যবস্থার ধারক বাহক নেতা নেত্রী বা সরকারকে কর্তৃত্বের মালিক মানা হয়। জনগণ মানুষ, জনগণের প্রতিনিধি সংসদ সদস্যগণ এবং সরকারও মানুষ। অথচ মানুষ সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক নয়। সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক হওয়ার কোন যোগ্যতাই সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ মানুষকে দান করেন নি। সা্রবভৌম ক্ষমতার মালিক হওয়ার জন্য চিরন্তন ও চিরস্থায়ী সত্তা হওয়া অপরিহা্র্য। সৃষ্টিকর্তা আল্লাহই একমাত্র চিরন্তন ও চিরস্থায়ী সত্তা, মানুষ নয়। কাজেই, ইসলামে সার্বভৌমত্ব, আইন-বিধান ও নিরংকুশ কর্তৃত্ব একমাত্র সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর; মানুষের নয় অর্থাৎ আল্লাহই হলেন একমাত্র ‘রব’। ফলে দাসত্ব, আইনের আনুগত্য ও উপাসনা একমাত্র আল্লাহর; অন্য কারো নয় অর্থাৎ আল্লাহই হলেন একমাত্র ‘ইলাহ’-দাসত্ব, আইনের আনুগত্য ও উপাসনা পাওয়ার অধিকারী একমাত্র সত্তা। সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচালনায় সার্বভৌমত্ব, আইন-বিধান ও কর্তৃত্ব মানুষের স্বীকার করলে মানুষকে ‘রব’ মানা হয় এবং মানব রচিত ব্যবস্থা ও মানুষের মনগড়া আইন-বিধানের আনুগত্য স্বীকার করলে মানুষের দাসত্ব করা হয়, মানুষকে ‘ইলাহ’ মানা হয়; যা সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর সাথে শির্ক ও কুফুরী। এমতাবস্থায় গণতন্ত্রের সাথে ইসলামের মিল বা ইসলামের মধ্যে গণতন্ত্র আছে এ কথা যারা প্রচার করেন তারা কে বা কারা তা পাঠক মাত্রই উপলব্ধি করতে সক্ষম হবেন বলে আশা করছি।

বাংলাদেশসহ সমগ্র বিশ্বে বর্তমানে যা কিছু ঘটছে এ ব্যাপারে শুধু এ কথাই বলা যায় যে, সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচালনায় মানুষের জন্য সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ প্রদত্ত কল্যাণকর ও পরিপূর্ণ একমাত্র জীবন ব্যবস্থা ‘ইসলাম’ প্রতিষ্ঠিত না থাকায় দুর্ভোগ ও অশান্তির জন্য যা ঘটার তাই ঘটছে। সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচালনায় ‘ইসলাম’ প্রতিষ্ঠিত হলেই জাতীয় জীবনের সকল সমস্যার সমাধানসহ সকল মানুষের সকল প্রকার মৌলিক অধিকার সমূহ আদায় ও সংরক্ষণ হবে, দুর্নীতি ও সন্ত্রাসমুক্ত সমাজ গঠিত হবে, শোষণমুক্ত অর্থনীতি এবং সুশাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হবে। একমাত্র তখনই জাতি, ধর্ম, বর্ণ, গোত্র ও দল মত নির্বিশেষে জাতির সকল মানুষের জীবনেই সুখ, শান্তি, সমৃদ্ধি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে। দুনিয়াতে কল্যাণ ও শান্তি এবং আখিরাতের জীবনে জাহান্নাম থেকে মুক্তি পেতে হলে আমাদের সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচালনাসহ জীবনের সকল ক্ষেত্রে সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর দাসত্ব করা উচিত, কল্যাণ ও শান্তি লাভের জন্য এর কোন বিকল্প নেই।

দেশের জ্ঞানী, গুনী, বুদ্ধিমান, শিক্ষিত ও সুশীল সমাজের নারী, পুরুষ, ধর্ম, বর্ণ ও দল মত নির্বিশেষে সকলকে নিজের এবং জাতির কল্যাণে বিষয়টি গভীরভাবে ভেবে দেখার জন্য আন্তরিক আহ্বান জানাচ্ছি।

জাতি, ধর্ম, নারী, পুরুষ দল, মত নির্বিশেষে সকল মানুষের কল্যাণে সমাজ ও রাষ্ট্রে ‘ইসলাম’ প্রতিষ্ঠার পক্ষে-
আবু জাফর মুহাম্মাদ ইকবাল
লেখক/সংকলক: “আল কুরআনে আল্লাহর পরিচয়, নিদের্শ ও প্রতিশ্রুতি”
যোগাযোগঃ E-mail: [email protected],