নবীগঞ্জে একটি ব্রিজের অভাবে ৫ গ্রামের মানুষের দুর্ভিসহ জীবনযাত্রা
বাশের সাকোঁই তাদের একমাত্র অবলম্বন দেখার যেন কেউ নেই
উত্তম কুমার পাল হিমেল,নবীগঞ্জ: ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নিকটে নবীগঞ্জ উপজেলার দেবপাড়া ইউনিয়নের ইসলাম গ্রামের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া গোপলা নদীতে একটি ব্রীজের অভাবে ওই এলাকার অন্তত ৫টি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। প্রতিদিন স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসায় যাতায়াতকারী শত শত ছাত্র/ছাত্রী জীবনের ঝুকি নিয়ে একটি সাকোর উপর নির্ভর করে নদী পারাপার করছেন। ওই সাকোয়ই হল তাদের একমাত্র যাতায়াত মাধ্যম। অনেক সময় সাকো ভে্েঙ্গ দুর্ঘটনা ঘটছে অহরহ। তাছাড়া অতিরিক্ত যাত্রী পারাপারের ফলে অনেক সময় সাকোটি ভেঙ্গে গেলে মানুষের যাতায়াত বন্ধ হয়ে যায়। এ ছাড়া ও উপজেলার বৃহত্তম হাওর দিনারপুর অঞ্চলের বড় হাওরসহ কয়েকটি হাওরে কৃষকদের কৃষিকাজ ও ধান উৎপাদন, পরিবহন ছাড়া ও ওই এলাকার বৃহত্তম বিল কাটমা বিল, ঘাটিয়া বিল, চাউলি বিল ও খইয়া পুড়া বিল প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ টাকায় সরকারের কাছ থেকে বিল লীজ নিয়ে মৎজিবী লোকজন মৎস্য শিকার করে দেশের বিভিন্ন স্থানে বাজারজাত করে। কিন্ত ওই ব্রীজের অভাবে মৎস্যজিবীদের মারাত্মক দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে।
সরেজমিনে গিয়ে এলাকাবাসীর সাথে আলাফ করে জানা যায়, স্বাধিনতার পর থেকেই বিভিন্ন রাজনৈতি দলের নেতারা সুবিধা বঞ্চিত ওই এলাকার মানুষকে নির্বাচন আসলেই ইসলামপুর গ্রামের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া গোপলা নদীতে ব্রীজ নির্মান করে দেয়ার আশ্বাস দিয়ে প্রতি বারই ভোট আদায় করে থাকেন। কিন্তু নির্বাচন শেষ হয়ে গেলে কে আর কার খবর রাখে। এর পরে ও থেমে তাকেনি নির্ভৃত এই পল্লী এলাকার মানুষের জীবনযাত্রা। থেমে তাকেনি তাদের জীবিকা নির্বাহ কাজ কর্ম স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসায় ছাত্র/ছাত্রীদের লেখা পড়া। দুর্ভিসহ চলছে তাদের জীবন। এ ব্যাপারে দিনারপুর এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তি উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি ডাঃ শাহ আবুল খায়ের বলেন, নির্ভৃত এই পল্লী এলাকার মানুষের জীবন মান উন্নয়নে তাদের দুঃখ দুর্দশা লাগবে এই ব্রীজটি খুবই জনগুরুত্বপুর্ণ তাছাড়া এই নদীর অপর পাড়ে উপজেলার অতিহ্যবাহী দুটি হাওড় থেকে প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ মেট্রিক টন ধান উৎপাদন হচ্ছে কিন্তু ব্রীজ না থাকার কারনে কৃষকরা খুবই কষ্ট করে ধান উৎপাদন করছে। এতে কৃষকদের ধান পরিবহনে ব্যাপক খরচ হচ্ছে। তাছাড়া উপজেলার অন্যতম মৎস্য ভান্ডার থেকে জেলেদের মৎস্য আহরনে ও ব্যাপক বেগ পোহাতে হয়। তাই সরকারের নিকট অতি সত্তর ব্রীজটি নির্মানের জন্য জোর দাবী জানাই।