ধর্মবাবার হাতে ধর্ষণের শিকার গৃহবধূ
দিনাজপুরঃ পিতৃত্বের অভাব পূরণে এক মধ্যবয়সীকে বাবা ডেকেছিলেন এক গৃহবধূ (২৫)। -পেতে চেয়েছিলেন স্নেহ-মমতার স্পর্শ। খানিকটা মায়ায় জড়িয়ে চেয়েছিলেন একটুখানি ভরসার জায়গা পেতে।
কিন্তু বিধি বাম। সেই ভরসার সুযোগ নিয়েই ধর্মবাবা একদিন ধারণ করে অন্যরূপ। কামনা আর লালসার থাবায় ক্ষতবিক্ষত করেন সেই তরুণী গৃহবধূকে। শুধু কি তাই, বিচার চাইতে গিয়ে ধর্মবাবার পরিবারের লোকজনের বেধড়ক লাঠিপেটাও হজম করতে হয়েছে।
ঘটনাটি বিরামপুর উপজেলার রানীনগর গ্রামের। রোববার বিরামপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন নির্যাতিতা গৃহবধূ। মামলা দায়েরের পর পুলিশ তাকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়। মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তি বিরামপুরের বিনাইল ইউনিয়নের রানিনগর গ্রামের মৃত নজর উদ্দীন মণ্ডলের ছেলে মছলে উদ্দীন (৫০)।- তিনি তিন সন্তানের জনক আর অভিযোগকারিনী দুই সন্তানের জননী ও একই গ্রামের বাসিন্দা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কয়েক মাস আগে পিতৃহীন ওই গৃহবধূ বাবা হিসেবে ডাকতে শুরু করেন মছলে উদ্দীনকে। এরপর মেয়ের মতোই পাতানো বাবার বাড়িতে আসা যাওয়া শুরু করেন। এতে দুই পরিবারের সবার মধ্যে সম্পর্কও গড়ে ওঠে। মেয়ে হিসেবে গৃহবধূর বাড়িতেও প্রায়ই যাতায়াত করতেন মছলে উদ্দীন। সম্প্রতি স্বামীর অনুপস্থিতিতে গৃহবধূর বাড়ি গেলে ধর্মবাবার মধ্যে জেগে ওঠে লালসা। এক পর্যায়ে মেয়েকে ধর্ষণ করেন তিনি।
ঘটনার পর গৃহবধূ তার ধর্মবাবার বাড়িতে গিয়ে পরিবারের লোকজনকে বিষয়টি জানান। এরপর বিচার দাবি করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন বাড়ির লোকজন। তার কথা উড়িয়ে দিয়ে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে তাকে গুরুতর আহত করে।