ট্রাক চালককে মারধর : ধর্মঘটের ডাক : লালাবাজারে মহাসড়ক অবরোধ : পুলিশের লাঠিচার্জ, গুলি
সুরমা টাইমস রিপোর্টঃ সিলেটের দক্ষিণ সুরমায় এক ট্রাক চালককে মারধরের প্রতিবাদে সিলেট-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করেছে শ্রমিকরা। গতকাল শুক্রবার সকাল ৯ টা থেকে বেলা ২ টা পর্যন্ত লালাবাজার এলাকায় মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে তারা। এসময় আইসিসি ও প্রশাসনিক গাড়িসহ শত শত যানবাহন উভয় পাশে আটকা পরে। প্রশাসনের অনুরোধে শ্রমিকরা অবরোধ তুলে না নিয়ে পুলিশ লাঠিচার্জ ও শতাধিক রাউন্ড টিয়ারসেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে শ্রমিকদের তাড়িয়ে দেয়। এদিকে পরিবহণ শ্রমিক হত্যা ও নির্যাতনকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে আজ শনিবার থেকে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট ডেকেছে সড়ক পরিবহণ শ্রমিক ঐক্য পরিষদ। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টায় পরিষদের জরুরি সভায় এ ঘোষনা দেওয়া হয়।
জানা গেছে, ১৪ মার্চ লালাবাজারে এলাকার ট্রাক চালক শফিক ও লালগ্রামের কয়েক ব্যাক্তির মধ্যে মারামারি হয়। বিষয়টি তাৎক্ষনিক সমাধান করে দেন বাজারের লোকজন। গতকাল শুক্রবার সকালে চালক শফিককে কে বা কারা মারধর ও ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। লালা গ্রামের লোকজন তাকে হামলা করেছে-এমন অভিযোগ এনে ট্রাক শ্রমিকরা সকাল ৯ টায় লালাবাজারে মহাসড়ক অবরোধ শুরু করে। খবর পেয়ে ১০ টার দিকে উপজেলা চেয়ারম্যান আবু জাহিদ ও থানার ওসি রঞ্জন সামন্ত ঘটনাস্থলে পৌছে অবরোধ তুলে নেওয়ার অনুরোধ করলে শ্রমিকরা আমলে নেয়নি। পরে পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তারাও ঘটনাস্থলে গিয়ে আইসিসির গাড়িসহ আটকেপড়া যানবাহন ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ করেন। কিন্তু শ্রমিকরা না মানায় পুলিশ লাঠিচার্জ ও শতাধিক রাউন্ড রাবার বুলেট ও টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে।
দক্ষিণ সুরমার ওসি রঞ্জন সামন্ত জানান, তুচ্ছ ঘটনায় শ্রমিকরা যা করেছে তা দু:খজনক। পুলিশ বাধ্য হয়ে তাদের উপর চার্জ করেছে। তিনি জানান, অবরোধের কারণে ঢাকাগামী শ্যামলী পরিবহনের একটি বাস বিকল্প পথে যেতে গিয়ে দূর্ঘটনার শিকার হয়।
সিলেট জেলা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সেলিম আহমদ ফলিক জানান, গতকাল শুক্রবার সিলেটের দণি সুরমার তেলিবাজারে চালক শফিকের উপর নির্যাতন করা হয়। তাকে দুষ্কৃতিকারীরা মারধর করে আহত করে। এর আগে মঙ্গলবার রাতে শহরতলীর ধোপাগুল এলাকায় দুর্বৃত্তরা কুপিয়ে হত্যা করে পিকআপ চালক সায়েম আহমদকে। পৃথক ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারের দাবিতে এ ধর্মঘট আহবান করা হয়েছে।