ওসমানীনগরে গৃহবধু সুমি হত্যা : পুলিশের ভূমিকা রহস্যজনক!
সুরমা টাইমস রিপোর্টঃ সিলেটের ওসমানীনগরে গৃহবধু সুমির রহস্যজনক মৃত্যু নিয়ে থানা পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এ ঘটনায় থানা পুলিশ মামলা না নেওয়ায় নিহতের ভাই বাদি হয়ে শাশুরী,ননদও দেবরকে আসামী করে আদালতে মামলা দায়ের করলেও তদন্তকারী কর্মকর্তার ভূমিকা রহস্যজনক বলে অভিযোগ উঠেছে। সুমির মৃত্যুর ঘটনায় ২০দিন অতিবাহিত হলে পুলিশ নিহত সুমির ব্যবহৃত মোবাইল ফোন , মেমরী কার্ড উদ্ধারসহ মৃত্যুর রহস্য বের করতে কাউকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে না। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার সাথে সুমির পরিবারের লোকজন বার বার যোগাযোগ করলেও তিনি কোন কিছুর তোয়াক্কা করছেন না। এনিয়ে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে একাধিক সংবাদ পরিবেশন হলেও টনক নড়ছে না থানা পুলিশসহ প্রশাসনের উধ্ধর্তন কর্মকর্তাদের।
মামলার বাদি রুবেল মিয়া সুরমা টাইমসকে বলেন, আমার বোন সুমিকে দেবর ,শাশুড়ি ও ননদ মিলে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। কিন্তু তদন্তকারী কর্মকর্তা মোস্তফা স্যার এলাকায় পুলিশের দালাল নামে পরিচিত দয়ামীর ইউনিয়নের সিদ্দেক মিয়ার মাধ্যমে আসামীদের কাছ থেকে বড় অংকের টাকা আদায় করে হত্যাকে আতœহত্যার নাটক সাজিয়েছেন।
উল্লেখ্য, ওসমানীনগর থানার ঘোষগাঁও গ্রামের সৌদী প্রবাসী আব্দুস সালাম দুই বছর পূর্বে বিয়ে করেন একই থানার গোয়ালাবাজার ইউনিয়নের তেরহাতি গ্রামের মৃত সাজিদ উল্লার মেয়ে সাম্মী আক্তার সুমীকে। বিয়ের ৬মাস পর স্বামী সালাম বিদেশ চলে গেলে শাশুরীসহ পরিবারের অন্যান্য লোকজন যৌতুকের দাবিতে সুমীকে বিভিন্ন ভাবে নির্যাতন করে আসছিলো তার শশুর বাড়ীর লোকজন। নির্যাতনের ঘটনায় সুমির শশুর বাড়ির চাতাতো ভাসুর রিপন মিয়ার মাধ্যমে একাধিকবার সালিশ হলেও শাশুরী, দেবর ও ননদের নির্যাতনের হাত থেকে কখনোই নিস্তার পায়নি সুমী। ১৯ মার্চ বুধবার সকালে সুমীকে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ ময়না তদন্তের জন্য সিলেটের ওসমানী হাসপাতালে প্রেরণ করে। কিন্তু লাশ উদ্ধার করা হলেও সুমীর ব্যহৃত মোবাইল নং ০১৭৬৬৯০৮৮২৬ পাওয়া যায়নি। পরিবারে দাবী বহৃত ফোনও মেমোরি কার্ড উদ্ধার করা হলে মোবাইল ফোনের আলাপ ও সেটের মেমোরিতে সুমির হত্যার অনেক অজানা তথ্য পাওয়া যাবে। কিন্তু পুলিশ তা উদ্ধার করছে না। অবশেষে সুমির ভাই বাদি হয়ে সিলেট নারীও শিশু নির্যাতন আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে ওসমানীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জুবের আহমদ বলেন, সুমির মৃত্যুর নিয়ে আদালতে দায়ের করা মামলাটি তদন্তের জন্য থানায় এসেছে। এ ব্যাপারে অনুসন্ধানি তদন্ত হচ্ছে। তদন্তক্রমে ও ময়না তদন্তের রিপোট পাওয়ার পর এটা হত্যা না আত্মহত্যা তা নির্দিষ্ট করে বলা যাবে।