মিলানে যুবলীগের স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে বাক বিতন্ডা ,সভা পন্ড

j-3নাজমুল হোসেন,মিলান ইতালি থেকেঃ ইতালির মিলানে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে মিলান যুবলীগের আয়োজনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। ৩০ মার্চ রবিবার বিকাল ৫ টায় স্থানীয় গান্ধী রেস্টুরেন্টে আয়োজিত আলোচনা সভা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও যুবলীগের সভায় মিলান আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দদের অতিথি করা নিয়ে যুবলীগের কয়েকজন নেতৃবৃন্দ একে অপরের সাথে বাক বিতন্ডা চলতে থাকে। দীর্ঘক্ষণ বাক বিতন্ডা চলার পরে যুবলীগের সভাপতি ও সম্পাদক আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দদের সাথে আলাপচারিতা করে সভা শুরু করেন নির্ধারিত সময়ের প্রায় ঘন্টা খানেক পর। 

যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সফি এর পরিচালনায় যুবলীগের সভাপতি মামুন খান এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভা শুরু হয়। সভায় যুবলীগের সভাপতি আলোচনা সভা ও নির্ধারিত সময়ে শুরু করতে না পারা সহ সার্বিক দিক আলোচনা করেন এবং সকল যুবলীগের নেতৃবৃন্দদের শান্তি পূর্ণ ভাবে এই সভায় অংশগ্রহন করার আহবান জানান। পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত শেষ করে আলোচনা পর্বের পূর্বে অনুষ্ঠানের বাইরে থাকা কয়েকজন যুবলীগ নেতা এই অনুষ্ঠানে প্রবেশ করে যুবলীগের সভাপতি সম্পাদক কে মিলান আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ ছাড়া কি ভাবে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয় প্রশ্ন করেন। তখন যুবলীগের সভাপতি ও সম্পাদক জানান ,এই অনুষ্ঠান যুবলীগের। এখানে শুধু যুবলীগ আলোচনায় অংশ নিবে। এক পর্যায়ে উভয় যুবলীগ নেতারা একে অপরকে এই আলোচনা সভা সম্পর্কে বুঝাতে ব্যর্থ হলে আবার শুরু হয় বাক বিতন্ডা ও উচ্চস্বরে কথা কাটা কাটি। অনুষ্ঠান স্থল হয়ে উঠে বেশ উত্তেজনাকর। নেতা কর্মীরা একে অপরের টেলা টেলি শুরু করলে অনুষ্ঠান থেকে নেতা কর্মীরা রেস্টুরেন্টের বাইরে চলে আসেন এবং বাক বিতন্ডা শেষ পর্যন্ত মারা মারিতে রূপ নেয়। পন্ড হয়ে যায় যুবলীগের আলোচনা সভা।
মিলান আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দদের উপস্থিতিতে যুবলীগের নেতৃবৃন্দরা একে অপরের সাথে মারা মারি শুরু করেন। বেশ কিছুক্ষণ চলে একে অপরকে দাওয়া পাল্টা দাওয়া। উত্তেজনা চড়িয়ে পরে গোটা এলাকা জুড়ে। স্থানীয় পুলিশ আসার পর এই উত্তেজনার কমতি দেখা দেয় এবং নেতা কর্মীরা চড়িয়ে ছিটিয়ে চলে যেতে দেখা যায়।
এই গঠনা নিয়ে প্রবাসী বাংলাদেশীদের মধ্যে উত্কন্ঠা লক্ষ্য করা যায় এবং অনেকে নিন্দা জানান।