ছাতকে মানবাধিকার কর্মীর সহায়তা বাল্য বিয়ে থেকে রক্ষা
এখনও গোপনে বিয়ে দেয়ার অশঙ্কা
ফকির হাসান ছাতক থেকে: ছাতকের দিঘলী রাহমানীয়া মহিলা দাখিল মাদরাসার ৭ম শ্রেণির ছাত্রী বাল্য বিয়ে থেকে রক্ষা পেয়েছে। সে উপজেলার গোবিন্দগঞ্জ সৈদেরগাঁও ইউনিয়নের দিঘলী দক্ষিণ চাকলপাড়া গ্রামের তোয়াইদ আলীর কন্যা জানি ওরফে রানী বেগম।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দিঘলী রাহমানিয়া দাখিল মাদরাসার একের পর এক বাল্য বিবাহ ঘটে যাচ্ছে। এখানের এসব অভিভাবকরা জোরপূর্বক বাল্যবিয়ে সম্পন্নে মহোৎসবে মেতে উঠেছে। পাশাপাশি স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের সমন্বয়ে বয়স বৃদ্ধি করে সাধারণত এসব বাল্য বিয়ে সম্পন্ন হচ্ছে। এর ধারাবাহিকথায় আজ শুক্রবার মাদরাসার ৭ম শ্রেণির ছাত্রী জানি ওরফে রানী বেগমকে তার পিতা-মাতা ও অন্যান্যদের সহযোগিতায় বিয়ের তারিখ নির্ধারণ করা হয়। মাত্র ১৩বছর বয়সী ওই ছাত্রীকে জন্ম নিবন্ধনে আটারোর উর্ধে বয়স দেখিয়ে উপজেলার কালারুকা ইউনিয়নের কালারুকা খালপাড় গ্রামের আইয়ূব আলীর ছেলে শামীম হোসেন’র কাছে বিয়ে দিতে যাবতীয় কাজ সম্পন্ন হয়ে গেছে। বাল্য বিয়ের খবর পেয়ে এবং এটিকে প্রতিরোধের জন্য স্থানীয় ব্র্যাক’র মানবাধিকার ও আইন সহায়তা কর্মসূচীর মাঠ কর্মী সুমি রানী দাস এবং একই প্রতিষ্ঠানের সামাজিক ক্ষমতায়ন কর্মসূচীর মাঠ কর্মী মো. আবদুর রহিম ঘটনাস্থলে যান। তারা কনের পিতা-মাতা ও আত্মীয় স্বজনদের বিয়ে বন্ধের আহবান করেন। পরে স্থানীয় সাংবাদিক ও জনপ্রতিনিধিরা বিয়ে বাড়িতে গিয়ে এ বাল্য বিয়ে বন্ধের দাবি জানালে কৌশলে বিয়ের গেইটসহ অন্যান্য আলামত বিলুপ্ত করে নেয় কনের পক্ষ। তবে একটি সূত্রে জানায়, বিয়ে তাৎক্ষনিক বন্ধ করা হলেও গোপনে এ বাল্য বিয়েটি সম্পন্ন করতে গোপনে বিয়ের কাজ চলছে। কোন প্রকান আনুষ্ঠানিকতা ছাড়াই এ বিয়ে সম্পন্ন হবে। এব্যাপারে ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সুন্দর আলী জানান, উভয় পক্ষকে ডেকে এ বিয়ে বন্ধের আহবান জানিয়েছি। জন্মনিবন্ধনে তিনি বয়স কেন বাড়ালেন এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি এড়িয়ে যান। মানবাধিকার কর্মী সুমি রানী দাস জানান, মাদরাসা ছাত্রীকে তার পিতা-মাতা ও অন্যান্যরা জোরপূর্বক বিয়ে দিচ্ছে কিন্তু জানি ওরফে রানী বেগম বলছে, সে লেখা পড়া করবে।