অবৈধ ফি প্রত্যাহারের দাবিতে এমসি কলেজের শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ ও আল্টিমেটাম

VLUU L100, M100  / Samsung L100, M100সুরমা টাইমস রিপোর্টঃ এমসি কলেজের ২০১১ সালের মাস্টার্স শেষ পর্বের আইসিটি বিভাগের ফরম পূরণ কার্যক্রমে অবৈধ ফি প্রত্যহারের দাবিতে কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীরা ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তারই প্রেক্ষিতে গতকাল বুধবার তারা কলেজের অধ্যক্ষ ভবন ঘেরাও করে এবং কলেজ সংলগ্ন সিলেট-তামাবিল সড়ক প্রায় ১ ঘন্টা অবরোধ করে রাখেন। তখন দুই দিকে ব্যাপক যানজট সৃষ্টি হলে জন-দুর্ভোগ দেখা দেয়। কলেজ সুত্রে জানা যায়, ১লা এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া মাষ্টার্স শেষ পর্বের ফরম পূরণে কলেজের অধ্যক্ষ সম্পন্ন মনগড়া ভাবে আইসিটি ফরম পূরনে বেতন বাবদ ২৪০০ টাকা নির্ধারিত করেন। এছাড়া ১০০ টাকা করে নিয়ম বহির্ভতভাবে ফি নির্ধারন করেন। এতে করে কলেজের শিক্ষার্থীদের মনে ব্যাপক ক্ষোভ দেখা দিলে তারা গত মঙ্গলবার আইসিটি বিভাগের আহবায়ক সহকারী অধ্যাপক গিয়াস উদ্দিনের সাথে সাক্ষাৎ করে কোন সদুত্তর না পেয়ে কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ধীরেশ চন্দ্র সরকারের সাথে দেখা করেন। তখন অধ্যক্ষ তাদেরকে গতকাল বুধবার তার সাথে দেখা করতে বলেছিলেন। তারা গতকাল দেখা করলে অধ্যক্ষ তাদেরকে দুটি অপশন জানিয়ে দেন। তিনি বলেন, “আইসিটি বিভাগ থেকে তাদের নাম প্রত্যাহার করতে হবে, না হলে বেতন বাবদ পুনঃনির্ধারিত ফি প্রদান করিতে বাধ্য থাকিতে হবে।” এ বিষয়ে কলেজের শিক্ষার্থীরা একমত না হতে পেরে তারা সিলেট-তামাবিল সড়ক অবরোধ করেন। কলেজের ছাত্র রিফাত বলেন, “জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্ধারিত ফি ৭৫০ টাকার উপর অতিরিক্ত আর কোন ফি আমরা দেব না। তিনি আরও বলেন, আমরা সরকারী কলেজে পড়ি হিসাবে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত বেতন পরিশোধ করে আসছি। এরপর কেন আমরা অতিরিক্ত ২৫০০ টাকা ফি দেব।” আন্দোলনকৃত শিক্ষার্থীরা দাবি জানান, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্ধারিত ৭৫০ টাকা ব্যতীত আমরা অতিরিক্ত কোন টাকা দেব না। আমাদের দাবি আগামী ৫ তারিখের মধ্যে কলেজ কর্তৃপক্ষ মেনে না নিলে আমরা ঐ দিনই আইসিটি বিভাগের টিউটোরিয়েল পরীক্ষা বর্জন করে পরীক্ষা হলের সামনে অবস্থান ধর্মঘট কর্মসূচি পালন করব। তারপরও যদি দাবি মানা না হয় তাহলে আমরা আগামী ৬ তারিখের ফরম পূরণ বর্জন করে কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হব। মাস্টার্সের ছাত্র শাহীন ও সজীব চৌধুরী জানান, প্রতি পরীক্ষার্থী থেকে বেতন ও ফি বাবদ ২৫০০ টাকা হারে ৭৫০ জন পরীক্ষার্থী থেকে আহরিত হবে প্রায় ১৯ লক্ষ টাকা। কিন্তু এই টাকা সরকারী কোষাগারে জমা হবে না। তাহলে এই টাকা কারা নিবেন তা নিয়ে আমাদের মধ্যে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এছাড়াও কলেজের শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন ফরম পূরণ কার্যক্রমে কলেজের অধ্যক্ষ অনলাইন কার্যক্রমের প্রসেসিং ফি হিসাবে মনগড়া আরও ৫০ টাকা অতিরিক্ত ফি ধার্য্য করেন যা সম্পূর্ণ অবৈধ। তারা আরও বলেন, আইসিটি বিভাগে ভর্তি হবার পর থেকে কোন ক্লাস হয় না। তাই আমরা এখান থেকে কোন কিছু শিখতে পারিনি। এ ব্যাপারে কলেজের আইসিটি বিভাগের আহ্বায়ক সহকারী অধ্যাপক গিয়াস উদ্দিনের সাথে ফোনে যোগাযোগ করলে সাংবাদিক পরিচয় শোনে ফোন কেটে বন্ধ করে দেন। কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ধীরেশ চন্দ্র সরকার জানান, “আগে এই প্রজেক্টটি সরকারের অধীনে ছিল। এখন সরকার আমাদের কলেজ কর্তৃপক্ষের অধীনে দিয়ে দিয়েছেন এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতি মাসে দুইশত টাকা ফি নির্ধারণ করে দেয়। এই বিষয়টি আমি তাদেরকে বুঝাতে পারতেছি না। আমি তাদেরকে বলেছি প্রয়োজনে আমাদের শিক্ষকরা তাদের কাছ থেকে কম টাকা নিবেন। তারা পরও তারা শান্ত থাকুক। এছাড়া অনলাইন প্রসেসিং এ ৫০ টাকা ধার্য্যরে ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি প্রতিবেদককে অফিসে আসার আমন্ত্রণ জানান।”