খালেদা জিয়াকে ‘মুক্তিযোদ্ধা’র সংবর্ধনা দেয়া হচ্ছে
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সংবর্ধনা পাচ্ছেন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে তাকে এ সংবর্ধনা দেওয়ার আয়োজন করেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত বলেন, ক্যান্টনমেন্ট থেকে জিয়াউর রহমান যখন যুদ্ধে যান, তখন তিনি তার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যাননি। তাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি উত্তর দিয়েছিলেন, ‘আমি ইচ্ছে করলেই ক্যান্টনমেন্টে আমার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে পারব। কিন্তু আমার সঙ্গে থাকা এত মানুষ কীভাবে তাদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করবেন। এর পর থেকে যুদ্ধ চলাকালীন প্রায় নয় মাস খালেদা জিয়া তার পরিবার নিয়ে এক প্রকার “অবরুদ্ধ জীবনযাপন” করেছেন, যা একজন মুক্তিযোদ্ধার চেয়ে কোনো অংশে কম নয়। এজন্য আমরা তাকে সংবর্ধনা দেওয়ার জন্য নির্বাচিত করেছি। এটা ম্যাডামও জানেন।’
একই অনুষ্ঠানে তার সঙ্গে আরো ছয়জনকে সংবর্ধনা দেবে সংগঠনটি। ২৭ মার্চ রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এ সংবর্ধনা দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে সংগঠনটি। এতে প্রধান অতিথিও থাকবেন খালেদা জিয়া।
সংবর্ধনার জন্য নির্বাচিত অন্য ছয়জন মুক্তিযোদ্ধার মধ্যে রয়েছেন বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান (মরণোত্তর), ল্যান্স নায়েক আবুল হাসেম (বীর বিক্রম), ক্যাপ্টেন আবদুল হাই (বীর বিক্রম), মুক্তিযুদ্ধের সময়ে বিবিসিতে (ব্রিটিশ ব্রডকাস্টিং করপোরেশন) কর্মরত সাংবাদিক সিরাজুর রহমান, মুক্তিযুদ্ধে ৯ নম্বর সেক্টরে যুদ্ধে অংশ নেওয়া নারী মুক্তিযোদ্ধা আলম তাজ বেগম ছবি এবং মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম (বর্তমানে রিকশাচালক)।
সংবর্ধনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তাজ বেগম ছবি ও নুরুল ইসলামকে ক্রেস্ট দেওয়ার পাশাপাশি আর্থিকভাবে সহায়তাও করা হবে।
উলফাত আরো জানান, মুক্তিযোদ্ধাদের এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানটি আরো বড় করে করার পরিকল্পনা ছিল। মুক্তিযুদ্ধকালীন যেসব বিদেশি ও প্রবাসী মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে কাজ করেছেন, তাদেরও সংবর্ধনা দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু সময় ও সুযোগের স্বল্পতার কারণে তা করা সম্ভব হয়নি। ভবিষ্যতে আরো ব্যাপকভাবে এ অনুষ্ঠান করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।
উল্লেখ্য, ২০ মার্চ বৃহস্পতিবার সংবর্ধনা দেওয়া জন্য তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছিল। কিন্তু পরে তা আরো এক সপ্তাহ পিছিয়ে ২৭ মার্চ বৃহস্পতিবার নির্ধারণ করা হয়েছে। ওই দিন বিকেল ৩টায় সংবর্ধনা দেওয়া হবে।