সংখ্যালঘুর মন্দির ও বাড়ি ঘরে হামলা অভ্যাসে পরিনত হয়েছে : মিঠুন চৌধুরী

বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্টান আদিবাসী পার্টির আহবায়ক ও মুখপাত্র মিঠুন চৌধুরী এক বিবৃতিতে বলেছেন “ হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দিরে কিংবা বাড়িঘরে হামলা চালানো অভ্যাসে পরিনত হয়েছে। “গত ২০ মার্চ বৃহস্পতিবার বাগের হাটের ফকিরহাটে জমিদার বাড়ির দূর্গা মন্দিরের প্রতিমা ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে দুর্বৃত্তরা। একই সময়ে পাশের চামারিয়া মহাশ্মশানের ঘরের দরজা ভেঙ্গে নিয়ে গেছে তারা। বাগের হাটের ফকিরহাট জমিদার বাড়িতে ১০০ বছর ধরে এ মন্দিরে শান্তিপূর্ণ ভাবে পূজা অর্চনা হয়ে আসছে। জমিদার মহেন্দ্র ঘোষের রেখে যাওয়া সম্পতির আয় থেকে মন্দির পরিচালনার খরচ নির্বাহ হতো। সংঘটিত নাশকতাকে কেন্দ্র করে হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে নিরাপত্তাহীনতা দেখা দিয়েছে। বাংলাদেশের মানুষ অসম্প্রদায়িক চেতনার জন্য গর্ব করে। এ ভূখন্ডে শত শত বছর ধরে হিন্দু,মুসলিম, বৌদ্ধ,খৃস্টান আদিবাসী জনগোষ্টিরা সহাবস্থানে। মুক্তিযুদ্ধে সব সম্প্রদায়ের মানুষ কাধেঁ কাধঁ লাগিয়ে দখলদার পাকিস্তানী হানাদারদের বিরুদ্ধে লড়েছে। সে দিন কে হিন্দু , কে মুসলিম, কে বৌদ্ধ, কে খৃস্টান ভেদাভেদ ছিল না। এক অসম্প্রদায়িক সমাজ প্রতিষ্টাই ছিল মুল লক্ষ্য উদ্দেশ্য । কিন্তু স্বাধীনতার ৪৩ বছর পরও কেন এ নিরীহ সম্প্রদায়ের উপর নিলজ্জভাবে হামলা চালানো হচ্ছে। এ অন্যায় মেনে নেওয়া যায় না। তাই অনতি বিলম্বে বিশেষ ট্রাইবুনাল গঠন করে অপরাধীদের খুজেঁ বের করে সর্বোচ্চ শান্তির বিধান করতে হবে। তবেই হয়তো এ অশুভ শক্তির অশুভ কর্ম কিছুটা হ্রাস পাবে। বিজ্ঞপ্তি