কানাইঘাটে শেষের দিকে ব্যাপক সংঘর্ষ জাল ভোট ও ব্যালট বাক্স ছিনতাই

Picকানাইঘাট (সিলেট) প্রতিনিধিঃ কানাইঘাট উপজেলায় সকালের দিকে শান্তিপূর্ণ ভোট গ্রহন হলেও শেষের দিকে জাল ভোটের ছড়াছড়ি, সংঘর্ষ, ব্যালট বাক্স ও ব্যালট পেপার ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। এতে সাংবাদিকসহ ১৫-২০জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। বিকেল সোয়া ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, উপজেলা প্রশাসনের চত্ত্বর সংলগ্ন কেন্দ্র রায়গড় সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিকেল সোয়া ৩টার দিকে আ’লীগ সমর্থিত প্রার্থী নিজাম উদ্দিন আল মিজান (ঘোড়া) এর লোকজন ১৯দল সমর্থিত প্রার্থী আশিক চৌধুরী (মোটর সাইকেল) এর এজেন্টদেরকে কেন্দ্রের ভেতর থেকে জোরপূর্বক বের করার চেষ্টা করলে সংঘর্ষ বাধে। এ সময় নিজাম উদ্দিনের লোকজন আশিক চৌধুরীর এজেন্টদেরকে বেদম মারপিঠ করে কেন্দ্র থেকে বের করে দেয় এবং কর্তব্যরত মোহনা টিভির ক্যামেরাম্যান ফেরদৌস আহমদ এর ক্যামেরা ছিনিয়ে নিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। এতে নির্বাচনী এজেন্ট মোহাম্মদ আলী, আব্দুন নুর, শামীম, কুদরত, শরীফসহ ১০-১২জন আহত হন। আহতের উদ্ধার করে নিকটস্থ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। অবস্থা বেগতিক দেখে প্রিজাইডিং অফিসার ইসমাইল হোসেন সব বুথের ব্যালট বাক্স ও ব্যালট পেপার তার কক্ষে তালাবদ্ধ করে পালিয়ে যান। প্রায় ঘন্টা খানেক পরে প্রশাসনের সহযোগীতায় তিনি কেন্দ্রে ফিরে এসে সাড়ে ৪টার দিকে পুনরায় ভোট গ্রহণ শুরু করেন। একই সময়ে শিবনগর কেন্দ্র থেকে ছাত্রলীগের কর্মীরা ২টি ব্যালট বাক্স ছিনতাই করে নেয়। চতুল ইউনিয়নের রতনপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট গণনা করতে ছাত্রলীগ কর্মীরা বাধা দিচ্ছে বলে জানা যায়। এ ব্যাপারে উপজেলা রিটানিং অফিসার, ইউ.এন.ও তারেক মোহাম্মদ জাকারিয়া ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, শিবনগর কেন্দ্র থেকে ১টি ব্যলট বাক্স হারিয়ে গেছে। রায়গড় কেন্দ্র স্বাভাবিক হয়েছে এবং পুণরায় ভোট গ্রহণ চলছে। মোটর সাইকেল প্রতীকের প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট মামুন রশিদ মামুন বলেন, উপজেলার বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে সরকার দলের লোকজন ১৯ দলের প্রার্থী আশিক চৌধুরীর এজেন্টদেরকে রায়গড় ও শিবনগর কেন্দ্র থেকে বের করে দেয় এবং শিবনগর কেন্দ্র থেকে ২টি ব্যলট বাক্স ছিনিয়ে নেয়। এছাড়া উপজেলার প্রত্যেকটি কেন্দ্রে পেশি শক্তি প্রয়োগ করে জাল ভোট দিয়েছে।