সরকারের সর্বোচ্চ ইউনিট (বিভাগ না জেলা)
স্থায়ী বিষয় নিয়ে মাথা না ঘামিয়ে সাময়িক বিষয় নিয়ে এত মাতামাতি করার কোনো মানে হয়না। আগে সর্বোচ্চ ইউনিট ও সর্বনিম্ন ইউনিট প্রতিষ্ঠা ও কার্যকর করতে হবে। স্থানীয় সরকারের সর্বোচ্চ ইউনিট (বিভাগ না জেলা) আজ অবধি আনুষ্ঠানিকভাবে নির্ধারিতই হয়নি; কার্যকর করার বিষয় তো অনেক দূরের ব্যাপার হিসেবে থাকছে। বিভাগ স্থানীয় সরকারের সর্বোচ্চ ইউনিট হলে জেলাও হয়ে যাবে মধ্যবর্তী ইউনিট; আর জেলা স্থানীয় সরকারের সর্বোচ্চ ইউনিট হলে বিভাগকে অবশ্যই বিলুপ্ত করতে হবে। এই কঠিন কাজটি করার দায়িত্ব কোনো সরকারই নিতে চায়না। কিন্তু সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন ইউনিটদ্বয় নির্ধারিত না হলে ক্ষমতা, দায়িত্ব ও পারস্পরিক সম্পর্ক ঠিক হবেই বা কেমন করে? আগে একদিকে সর্বোচ্চ ইউনিট এবং অপরদিকে সর্বনিম্ন ইউনিটের ক্ষমতা ও দায়িত্ব প্রদান করার পর মধ্যবর্তী ইউনিট তথা উপজেলায় ক্ষমতা ও দায়িত্ব দেয়ার মত কিছু থাকলেই তো দেয়া যাবে। স্থানীয় সরকারের এসব জটিল ও কঠিন বিষয়গুলির একটি সুনির্দিষ্ট সমন্বিত সমাধান “গণতান্ত্রিক স্থানীয় সরকারের রূপরেখা”য় সর্বপ্রথম ১৯৯৭ সালের ১৩ জানুয়ারী ঢাকায় জাতীয় জাদুঘরে অনুষ্ঠিত এক জাতীয় সেমিনারে হাজির করেছেন স্থানীয় সরকার ও গণতন্ত্রায়ন বিষয়ক গবেষক আবু তালেব। এই রূপরেখার অনেক জনপ্রিয় বিষয় চতুর নকলবাজরা নকল করার পরও এর সমন্বিত রূপের প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্ব একটুও খাটো করতে সক্ষম হয়নি। বরং এই রূপরেখার কালজয়ী উপযোগীতা বেড়েই চলেছে, চলতেই থাকবে। তাই, সরকারকে বলব, এই বাস্তবতা ও সত্যতা মেনে নিয়ে, নকলবাজদের খপ্পর থেকে বের হয়ে এসে আর কাল বিলম্ব না করে, এই রূপরেখার প্রতিটি বিষয় কার্যকর করার প্রকৃত উদ্যোগ আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহণ (নকল নয়) করুন। উপজেলা তথা মধ্যবর্তী ইউনিট নিয়ে অহেতুক মহড়া, মাতামাতি বন্ধ করুন। তা হলে গোটা জাতি বুদ্ধিবৃত্তিক ও কৌশলী ধাপ্পাবাজী থেকে রেহাই পাবে বলে বিশ্বাস করা যায়।
হাকিকুল ইসলাম খোকন
লেখক,সাংবাদিক,রাজনীতিক-মুখপাএ-ও সদস-সিডিএলজি