ম্যাচের আগেই মনস্তাত্ত্বিক খেলায় পাক-ভারত
সুরমা টাইমস স্পোর্টসঃ টেস্ট কিংবা ওয়ানডে- যে কোনো ফরম্যাটে পাকিস্তান আর ভারতের ক্রিকেট লড়াই মানেই রুদ্ধশ্বাস উত্তেজনা। আর সেটি টি-টোয়েন্টি হলে তো কথাই নেই। শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় মিরপুরে শেরে-বাংলা স্টেডিয়ামে পাক-ভারত লড়াইয়ে শুরু হচ্ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মূল আসর ‘সুপার টেন’।- চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী এই দুই দেশের ক্রিকেট মানে ভারতের ব্যাটিং বনাম পাকিস্তানের বোলিং। তবে টি-টোয়েন্টি হওয়ায় ব্যাটে-বলে কেউ কারো চেয়ে পিছিয়ে নেই। ভারতের প্রিমিয়ার লিগ-আইপিএলে বিশ্বসেরা ক্রিকেটারদের সঙ্গে খেলে ভারত দলের খেলোয়াড়রা এখন অনেক পরিপক্ব। তবে পাকিস্তানের টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ধারাবাহিকতাও ঈর্ষণীয়।
উত্তেজনায় ভরপুর টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ১০ বছরে ভারত-পাকিস্তান লড়াই দেখা গেছে মাত্র পাঁচবার। এতে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের ওপর ভারতের প্রতাপ একচেটিয়া। পাঁচ লড়াইয়ে একবার হারের বিপরীতে ভারত জয় পেয়েছে তিনবার। পাক-ভারত অন্য ম্যাচটি টাই। তবে সর্বশেষ মোকাবেলায় জয় নিয়ে নিজেদের বাড়তি আত্মবিশ্বাস দেখাচ্ছেন হাফিজ-আফ্রিদিরা। এশিয়া কাপে শেষ ওভারে আফ্রিদির পরপর দুই ছক্কায় রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে ভারতকে ১ উইকেটে হারায় পাকিস্তান। টি-টোয়েন্টির প্রথম আসর ২০০৭ সালে শিরোপা জেতার পর তিন আসরে ভারত মাত্র দুই জয়ে পার করেছিল প্রথম রাউন্ড। তবে এবারের ফরমেট আলাদা। সেমিফাইনালের টিকিট পেতে রাউন্ড রবিন পর্বে লড়াই জমবে ভারত, আস্ট্রেলিয়া, পাকিস্তান, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও স্বাগতিক বাংলাদেশ দলের।
প্রথম আসরের পর সেমিতে দেখা যায়নি ভারতকে। চার বিশ্বকাপেই কমপক্ষে সেমিফাইনাল খেলার কৃতিত্ব পাকিস্তানের। ভারতের কাছে ফাইনালে ৫ রানে হেরে প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে রানার্সআপ হয় পাকিস্তান। পরের বার ফাইনালে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে শিরোপা জেতে ২০০৯ সালের ইংল্যান্ড আসরে।