কাঙ্খিত বৃষ্টির দেখা পেয়ে বালাগঞ্জের কৃষকরা বাম্পার ফলনের স্বপ্নে বিভোর
এসএম হেলাল, বালাগঞ্জ: র্দীঘ অপেক্ষার পর কাঙ্খিত বৃষ্টির দেখা পেয়ে বোরো মৌসুমে বাম্পার ফলনের হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন বালাগঞ্জের কৃষকরা। গেলো ২/৪ দিন আগে বৃষ্টির জন্য যে কৃষকের মুখে ছিলো হাহাকার এবং ফসল ঘরে তুলতে না পারার অজানা আশংকা। সেই কৃষকের মুখেই সম্ভাবনার হাসি। বাম্পার ফলনের স্বপ্নে বিভোর কৃষকরা আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেছেন প্রত্যাশার অনুযায়ী এবারও ফলন ভাল হবে।
বিগত কয়েক মাস পর বুধবার রাত প্রায় ১০টা থেকে মধ্যরাত্র পর্যন্ত কয়েক দফার বৃষ্টিতে চলতি বোরো মৌসুমের প্রয়োজনীয় বৃষ্টির চাহিদা অনেকটা কমে গেছে। ডিসেম্বর, জানুয়ারী ও ফেব্র“য়ারী টানা খরার কারণে ফলন নিয়ে কিছুটা দু.চিন্তায় থাকলেও জমিতে এখন যে পরিমান পানি বিদ্যমান সেই পানি চলতি বোরো মৌসুমের ফসলের জন্য যথেষ্ট না হলেও অনেকটাই চাহিদা পূরণ হয়েছে বলে জানান কৃষকরা।
সরেজমিন পরিদর্শনকালে ও উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি বছর উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নের ২৯টি কৃষি ব্লকে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৫হাজার ৬শ ৭৮হেক্টর। আবাদ হয়েছে তারচেয়েও বেশি ১৬হাজার ৯শ হেক্টর।
সরেজমিনে উপজেলার হাউনিয়া, ধলী কাঁন্দি, হালডর, মাইজআইল, নলুয়া, রুউয়া, ঘুরে দেখা যায়, সবুজ ধানে সমাহার, কিছু কিছু জমি খরায় নষ্ট হলেও বৃষ্টি বদৌলতে এখনো ভাল ফলনের স্বপ্ন দেখছেন কৃষকরা। হাউনিয়া হাওরের শিওর খাল গ্রামের কৃষক হাফিজ উস্তার আলী, ধলী কাঁন্দি বিলের সফুর আলী, হালডর বিলের শ্রীনাথপুর গ্রামের কৃষক মো. তৈমুছ আলী, হাড়মারা বিলের কৃষক তফুর আলীসহ কয়েকজন বলেন, বৃষ্টি হওয়ায় সেচের চাহিদা এখন অনেকই লাঘব হয়েছে আল্লাহর অশেষ রহমতে এবারও বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। ২/৪ দিন আগেও ফসলের চিন্তায় চোখে ঘুম আসেনি। বৃষ্টি হওয়াতে শান্তিতে ধম নিতে পারছি।
এ ব্যাপারে বালাগঞ্জ উপজেলার উপ সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা মো. মশিউর রহমান বলেন, বৃষ্টি হওয়ায় আশানুরোপ ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। বর্তমান মাঠের অবস্থাও তা বলে দিচ্ছে ইনশাহ আল্লাহ্ ফলন বাল হবে।