ছক্কা মেরে টাইগারদের দুই উইকেটে হারালো দুর্বল হংকং
সুরমা টাইমস স্পোর্টসঃ টাইগারদের বিরুদ্ধে ২ উইকেটে জয় পেল দুর্বল হংকং৷ জয়ের জন্য শেষ ওভারে দরকার ছিল ছয় রান। কিন্তু শেষ দুই বল বাকি থাকতেই ছক্কা হাকিয়ে জয় ছিনিয়ে নেয় হংকং।বাংলাদেশের বিপক্ষে ১০৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৯.৪ ওভারে হংকং ৮ উইকেট ১১৪ রান করে।
সাকিব আল হাসান ৪ ওভারে ৯ রানের বিনিময় ৩ উইকেট শিকার করেন।
ওয়ার্ল্ড টুয়েন্টি ২০ বাছাই পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে মোটেই সুবিধা করতে পারেনি বাংলাদেশ।হংকংয়ের সাদামাটা বোলিংয়ের সামনে ২১ বল আগেই মাত্র ১০৮ রানে গুটিয়ে গেছে স্বাগতিকদের ইনিংস।তামিম,সাকিব,মুশফিক,ফরহাদরেজা সবাই উইকেট বিলিয়ে দিয়ে এসেছেন।
ইনিংসের প্রথম ওভারের দ্বিতীয় বলেই শূন্য রানে সাজঘরে ফেরেন ড্যাশিং ওপেনার তামিম ইকবাল। ওভারের শেষ বলে তার পথ ধরেন ওয়ান ডাউনে নামা সাব্বির আহমেদ। এ দু’জনের উইকেট ঝুলিতে ভরেন তানভীর।
তামিম-সাব্বিরের বিদায়ের পর সাকিবকে নিয়ে পরিস্থিতি সামলাবার চেষ্টা করেন ওপেনার এনামুল হক বিজয়। কিন্তু দলীয় অর্ধশতক পূরণ করে ষষ্ঠ ওভারের শেষ বলেই নাদিমের বলে বোল্ড হয়ে যান বিজয়। এরপর ক্রিজে নামেন দলপতি মুশফিকুর। তাদের দু’জনের ব্যাটে ভর করে বড় সংগ্রহের দিকেই এগোচ্ছিল বাংলাদেশ। কিন্তু দলীয় ৮৫ রানের মাথায় ইরফান আহমেদের বলে নিজাকাত খানের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাকিব সাজঘরে ফিরলে খেই হারিয়ে ফেলেন মুশফিকও। মাত্র ৪ রান যোগ করতেই নিজাকাতের বলে মুনিরকে ক্যাচ দিয়ে আউট হন টাইগার কাপ্তান।
এরপর সাজঘরে ফেরার মিছিলে নামেন বাংলাদেশ দলের লোয়ার অর্ডার ব্যাটসম্যানরা। ৯৬ রানে নাদিমের বলে মাহমুদুল্লাহ বোল্ড, ১০১ রানের মাথায় পরপর ফরহাদ রেজা ও আবদুর রাজ্জাক নিজাকাতের বলে উইকেটকিপার আতকিনসনের হাতে ক্যাচ, ১ রান যোগ হতেই নাদিমের বলে রুবেল হোসেন বোল্ড এবং সর্বশেষ নাদিমেরই বলে বাবর হায়াতের হাতে আল আমিন হোসেন ক্যাচ তুলে দিলে টাইগার ইনিংসের সমাপ্তি ঘটে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ: ১৬.৩ ওভারে ১০৮ (তামিম ০, এনামুল ২৬, সাব্বির ২, সাকিব ৩৪, মুশফিক ২৩, নাসির ১৪*, ফরহাদ ০, রাজ্জাক ০, রুবেল ০, আল-আমিন ১; নাদিম ৪/২১, নিজাকাত ৩/১৯, তানভীর ২/২৪, ইরফান ১/১৭)
হংকং: ১৯.৪ ওভারে ১১৪/৮ (ওয়াকাস ০, ইরফান ৩৪, অ্যাটকিনসন ৭, চ্যাপম্যান ৫, বাবর ১, নিজাকাত ১২, মুনির ৩৬, তানভীর ০, আমজাদ ১২*, নাদিম ২*; সাকিব ৩/৯, মাহমুদুল্লাহ ২/১৩, সাব্বির ১/৩, আল-আমিন ১/২৬, রাজ্জাক ১/৩১)