ওসমানীনগরে পাকাকরণ কাজে দূর্নীতির অভিযোগ
শাহ মো. হেলাল, বালাগঞ্জঃ ওসমানীনগরে দরপত্র আহ্বান হওয়া একটি রাস্তায় ব্যাপক অনিয়ম দূর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঠিকাদারী প্রতিষ্টান এলাকার দালাল শ্রেণীর লোকদের হাত করে উক্ত রাস্তায় নামে মাত্র কাজ করে বড় অংকের টাকা আতœসাৎতের পায়তারা করছে। স্থানীয়দের অভিযোগ এলজিইডি’র মানচিত্র অনুযায়ী রাস্তাটি যে দিকে কাজ হওয়ার কথা সে দিকে না করে বড় অংকের টাকার বিনিময়ে অন্য দিকে কাজ করে চলছেন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান জেবি কন্ট্রাকশন। এ ব্যাপারে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে অভিযোগ পত্র দাখিল করার এক সপ্তাহ অতিবাহিত হলেও এখনও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি কর্তৃপক্ষ।
এলাকাবাসী ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের ১৮ জুলাই দরপত্র আহ্বান করা হয় বালাগঞ্জ উপজেলার হলিমপুর বাজার আরএইচডি-বুরুঙ্গা ইউপি-জামতলা-বোয়ালজুড় ইউপি রাস্তার পাকা করণের দরপত্র। যার আইডি নং (৬৯১০৮৩০১০)। টেন্ডার নোটিশ নং ০১/২০১৪-২০১৫। টেন্ডার প্যাকেজ নং ঝউজওওচ/ঝুষ/ড-১৯৯ ( এসডিআরআইআইপি/এস ওয়াই এল/ডব্লিউ-১৯৯)। টেন্ডার মেমো নং খএঊউ/ঢঊঘ/ঝণখ/৪-৬৩/২০১৪/১৮৮০ (এলজিইডি/এক্সইএন/এসওয়াইএল/৪-৬৩/২০১৪/১৮৮০। যার দৈর্ঘ হচ্ছে ১৫০০ মিটার। নির্মাণ ব্যয় হচ্ছে সাতাত্তর লাখ চুয়ান্ন হাজার তিনশত চল্লিশ টাকা। এলজিইডি’র অফিস ও অনলাইন ডাটাবেসের তথ্য অনুযায়ী উক্ত রাস্তার নাম হলিমপুর বাজার আরএইচডি-বুরুঙ্গা ইউপি-জামতলা-বোয়ালজুড় ইউপি রাস্তা। কিন্তু এক শ্রেণীর অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজেশে সাধারণ প্রিন্ট কাগজে একটি ব্র্যাকেটের ভেতর কলারাই বাজার লেখা হয়। যাহা মুল কাগজে এ নামে কোনো নাম নেই। চেইন শূন্যে কি:মি: থেকে শুরু করার আদেশ থাকলেও মানা হচ্ছে না। কাজের গুগত মান নিয়েও এলাকবাসীর মধ্যে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান জেবি কন্ট্রাকশনের মালিক আব্দুর রব প্রভাবশালী বিএনপি নেতা হওয়ায় তার বিরুদ্ধে কেউ কথা বলতে পারছে না। তার নিয়োগকৃত দালালদের ভয়ে এলাকাবাসী নিস্তব্ধ হতবাক। যেন দেখার কেউ নেই! ২৫ ভাগ কাজ সম্পন্ন না হলেও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের ব্রোকার ইন চীপ ইমরুল চৌধুরী এমু ওরফে ভাঙ্গা চধরী’র ভাষ্য অনুযায়ী ২৫% কাজ সম্পন্ন হয়েছে দাবি করে সংশ্লিষ্ট অফিস থেকে বড় অংকের বিল(টাকা) তোলার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
অভিযোগ উঠেছে এলজিইডির এক শ্রেণীর মাঠকর্মীকে হাত করে কাজ নির্দিধায় চালিয়ে যাচ্ছেন। ফলে যা দেখেও না দেখার বান সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
হলিমপুর গ্রামের একাধিক ব্যক্তিরা জানান, ইমরুল চৌধুরী এমু ওরফে ভাঙ্গা চধরী’র দালালী ও বিভিন্ন মিথ্যা মামলা দায়েরের কারণে গ্রামের অনেক বাড়ী ছাড়া। তার সন্ত্রাসী কার্যকলাপে গ্রামে কেউ নিরাপত্তায় চলতে পারছেন না। এছাড়া তৎকালীন বিএনপি সরকার আমলে সুবিধা হাসিল করতে জামায়াতের সক্রিয় সদস্যপদ ছেড়ে বিএনপিতে যোগদান করেন। সে সময় এলাকায় ব্যাপক নৈরাজ্য সৃষ্টি করে। এতে গ্রামের শান্তিপ্রিয় মানুষকে ৬/৭টি মামলা দিয়ে নাজেহাল শুরু করে। এ ঘটনায় কয়েক ডজন মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ ও বাড়ী ছাড়া হয়। বর্তমানে ইমরুল জেবি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের দালাল সেজে টেন্ডারকৃত রাস্তার কাজ না করে কলারাই বাজার-হলিমপুর রাস্তার গাভুরটিকি অংশে কাজ শুরু করছেন। যার আইডি নং (৬৯১০৮৫১৬৫)। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানসহ স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের কিছু অসাধু কর্মকর্তারা (৬৯১০৮৫১৬৫) এর আওতায় হলিমপুর গ্রামের কিছু সংখ্যক মানুষের নিকট থেকে বড় অংকের টাকা খেয়েছেন বলে মাঠ পর্যায়ে কোনো তদন্তে আসছেন না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
সচেতন মহল জানান বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ নজর দিয়ে সুষ্ঠু তদন্ত করা। অন্যতায় এলাকাবাসী এই রাস্তার উপর আইনি প্রক্রিয়ায় মামলা দায়ের করলে কাজটি স্টে (বন্ধ) হয়ে যেতে পারে। এতে সংশ্লিষ্ট দালাল প্রকৃতির লোকের কিছু না হলেও অসংখ্য লোকের দূর্ভোগ হবে এমন প্রশ্ন এলাকবাসীর।
বালাগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী আবু সালেহ মোহাম্মদ ওয়াহেদুল অভিযোগ প্রাপ্তীর সত্যতা স্বীকার করে বলেন ৬৯১০৮৫১৬৫ নং রাস্তায় কোনো টেন্ডার হয়নি টেন্ডার হয়েছে ৬৯১০৮৩০১০ নং রাস্তায় এবং এই আইডি দিয়েই কাজ হবে।