ভারতের প্রেক্ষাগৃহে বাংলাদেশী চলচ্চিত্র “বৈষম্য”

boishommoবিনোদন প্রতিবেদকঃ এই প্রথমবারের মত বাংলাদেশী কোন পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র বাণিজ্যিকভাবে বড় পর্দায় মুক্তি দিয়েছে ভারত। নিঃসন্দেহে বাংলাদেশী চলচ্চিত্রের জন্য এটি বিরাট খুশীর সংবাদ। ছবিটির নাম “বৈষম্য”। পরিচালনা করেছেন অ্যাডাম দৌলা। ৭ই নভেম্বর, শুক্রবার পূর্ণদৈর্ঘ্য এই চলচ্চিত্রটি ভারতের মুম্বাইয়ের রত্নগিরি এলাকার “আনন্দ চিত্র মন্দির” প্রেক্ষাগৃহে প্রদর্শন শুরু হয়। “বৈষম্য”র ইংরেজী নাম “জার্নি অব দা হার্ট”।
এই বিষয়ে পরিচালক অ্যাডাম দৌলা অনুভুতি জানাতে গিয়ে বলেন, ‘”বৈষম্য” ভারতীয় প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে, এটি নিঃসন্দেহে একটি আনন্দের সংবাদ। কারন, দীর্ঘদিন ধরে ভারতে বাংলাদেশের ছবি মুক্তি দেয়া নিয়ে নানাচেষ্টা চললেও তা এতদিন সম্ভব হয়নি। এবার তার দ্বার উন্মোচন হলো। সবচেয়ে বড় ব্যাপার হচ্ছে এটি কোন যৌথ প্রযোজনার ছবি নয়। এর আগে ভারতীয় প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির জন্য যত ছবি পাঠানো হয়েছে প্রতিটি ছবির বিরুদ্ধে ভারতীয় সেন্সর বোর্ড অভিযোগ করেছে প্রতিটি ছবি তাদের কোন না কোন ছবির নকল। কিন্তু এবার “বৈষম্য”র বিষয়ে তারা সেটা বলতে পারেনি। বাংলাদেশের একটি ছবি ভারতীয় সেন্সর বোর্ড কর্তৃক অনুমোদন পেয়ে ভারতের প্রেক্ষাগৃহে প্রদর্শন হচ্ছে একটি সত্যি খুবই গর্বের বিষয়। এটি শুধু আমার একার নয় বাংলাদেশের সবার গর্ব।”
পরিচালক সূত্রে জানা যায়, ‘বৈষম্য’ চলচ্চিত্রটি ঢাকার স্টার সিনেপ্লেক্স এর শো-মোশন লিমিটেড এর মাধ্যমে ভারতের বিনিময় কার্যক্রমের অংশ হিসেবে প্রদর্শনের জন্য রপ্তানী করা হয়েছে। বিনিময়ে শো-মোশন লিমিটেড একটি আসাধারণ ভারতীয় পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র “ড়োর টাইগার অব দ্যা সুন্দরবরন” বাংলাদেশে প্রদর্শনের জন্য আমদানী করে। যেখানে ভারতীয় “ড়োর টাইগার অব দ্যা সুন্দরবরন” চলচ্চিত্রে আংশিকভাবে বাংলাদেশের সুন্দরবনকে তুলে ধরা হয়েছে।
গত ২১শে মার্চ, ২০১৪ তে মুক্তি পাওয়া “বৈষম্য” চলচ্চিত্রটি পরিচালক অ্যাডাম দৌলা বাংলাদেশের প্রথাগত চলচ্চিত্র থেকে বের হয়ে একটি ভিন্ন মাত্রার চলচ্চিত্র প্রদর্শন করেন। সাধারণত বাংলাদেশের গতানুগতীক অন্যান্য যেসব ধরণের চলচ্চিত্র নির্মিত হয়, তা থেকে বের হয়ে পরিচালক অ্যাডাম দৌলা “বৈষম্য” নির্মাণ করেছেন। চলচ্চিত্রটির অভিনয় থেকে শুরু করে চিত্রধারণ, ক্যামেরার কাজ, সঙ্গীত এবং সাউন্ড ইফেক্টস, সম্পাদনাসহ সবকিছুতেই একটি ভিন্ন মাত্রার রূপ দিয়েছেন পরিচালক।
“বৈষম্য” চলচ্চিত্রটির গণমাধ্যম যোগাযোগ, বাংলাদেশে প্রচার ও প্রদর্শনের দায়িত্ব পালন করছে “ইনসাইট এন্টারটেইনমেন্ট ইভেন্ট কমিউনিকেশন”।
পরিচালক অ্যাডাম দৌলা তার চলচ্চিত্রটির নির্মাণ প্রচেষ্টায় দর্শকদের প্রতিক্রিয়ায় সাফল্য অর্জিত হয়েছে বলে মনে করেন। বেশীরভাগ দর্শক চলচ্চিত্রটিকে বাংলাদেশের একটি ভিন্নমাত্রার চলচ্চিত্র হিসেবে খুবই চমৎকার হিসেবে মনে করলেও কেউ কেউ আবার এর সাথে দ্বিমত পোষণ করেছেন। তবে সর্বসম্মতিক্রমে চলচ্চিত্রটি বাংলাদেশে একটি ভিন্ন চলচ্চিত্র হিসেবে আখ্যা পেয়েছে।
পরিচালক অ্যাডাম দৌলা আরো জানান, খুব শীঘ্রই “বৈষম্য” চলচ্চিত্রটি ঢাকার কিছু প্রেক্ষাগৃহে পূণরায় প্রদর্শিত হবে।