মৌলভীবাজারে শিক্ষক অর্দ্ধেন্দু কুমার দাশকে অপসারন ও দৃষ্টান্তমৃলক শাস্তির দাবীতে ফুসে উঠছে এলাকাবাসী
জেলা প্রশাসক বরাবর স্বারকলিপি প্রদান
আব্দুল হাকিম রাজ, মৌলভীবাজার ঃ মৌলভীবাজার কামালপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অর্দ্ধেন্দু কুমার দাশ কতৃক জাতির জনক বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছবি‘র প্রতি চরম অবমাননা করায় প্রধান শিক্ষক অর্দ্ধেন্দু কুমার দাশকে দৃষ্টান্তমৃলক শাস্তি দেয়ার দাবী জানিয়ে শিক্ষার্থী অভিভাবকসহ এলাকাবাসী গত ৫ নভেম্বর মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক বরাবর স্বারকলিপি প্রদান করেছে। গত ৩ নভেম্বর একই দাবীতে স্কুল প্রাঙ্গন ঘেরাও করে ঢাকা সিলেট মহাসড়কে মানববদ্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করা হয়। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির বিদ্যৎসাহী সদস্য আছিদ মিয়ার ভাই আজিজুর রহমান (আজিবুর) এর পরিচালনায় প্রায় ১ঘন্টা ব্যাপি চলা মানববদ্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- হারুন মিয়া, আশিক মিয়া, শাহবুদ্দিন মিয়া, ফখরুল ইসলাম, অপু, নিতুল দত্ত, ইসরাইল, মিন্টু মিয়া, আশিক আহমদ, রেবা শেখ প্রমুখ। বক্তরা তাদের বক্তব্য বলেন- দুর্নীতিবাজ প্রধান শিক্ষক অর্দ্ধেন্দু কুমার দাশ সুনাম ধন্য শিক্ষা প্রতিষ্টান কামালপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যোগদানের পর থেকেই বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতে জড়িয়ে পড়েন। ইুতপৃর্বেও তার বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের টাকা আন্তসাৎ করার অভিযোগ উটেছিল। এ নিয়ে এলাকাবাসী কর্তক লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেও প্রভাব বিস্থার করে সহকারী শিক্ষা অফিসার (কামালপুর ক্লাষ্টার) মাসুদুর রহমান দায়সাড়া তদন্ত করেন । বক্তারা আগামী বৃহস্পতিবার’র মধ্যে প্রধান শিক্ষক অর্দ্ধেন্দু কুমার দাশকে অপশারন ও প্রশাসনের মাধ্যমে দৃষ্টান্তমৃলক শাস্তির আওতায় আনা না হলে ঐদিন আরো কঠোর কর্মসুচি ঘোষনা করার কতা ব্যক্ত করে ছিলেন। এ ব্যাপরে জানতে চাইলে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি রহমত মিয়া জানান- জাতির জনক বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছবি প্রধান শিক্ষক‘র কক্ষের নিছে এসে দেখতে পান। প্রধান শিক্ষক অর্দ্ধেন্দু কুমার দাশ তার প্রতি সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন- আমি বিদ্যালয়ে যোগদানের পর থেকেই একটি মহল আমার বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার চালিয়ে আসছে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা শিক্ষা অফিসার মারুফ আহমদ জানান- কামালপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অর্দ্ধেন্দু কুমার দাশ‘র বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ শুনেছি এবং আজ এলাকাবাসী কতৃক মানববদ্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ এর সংবাদ শুনেছি। আমি ঘটনাস্থলে সহকারী শিক্ষা অফিসার (কামালপুর ক্লাষ্টার) মাসুদুর রহমানকে ঐ শিক্ষা প্রতিষ্টানে পাটিয়েছি। পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।