প্রশাসন ও আওয়ামীলীগের আশ্রয় নিলেন ছাত্রদলের নতুন কমিটির নেতারা
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ একের পর এক কৌশল অবলম্বন করে ছাত্রদলের নতুন কমিটি প্রত্যাখানকারী বিদ্রোহী নেতাদেরকে যখন থামানো যাচ্ছিল না তখন প্রশাসন ও আওয়ামীলীগের আশ্রয় নিলেন নতুন কমিটির নেতারা। জানা যায়, গত ১৭ ই সেপ্টম্বর ঘোষনা করা হয় ১ যুগ পর সিলেট ছাত্রদলের নতুন কমিটি । ঘোষনার পর থেকে ছাত্রদলের বৃহত্তর একটি অংশ বিদ্রোহ ঘোষনা করে। তারা অবরুদ্ধ করে রাখেন নতুন কমিটির নেতাদের কে । তাদের ভয়ে দেড় মাসেও রাজপথে নামতে পারছে না নতুন কমিটির নেতারা। মাঠে নামতে না পারায় বিদ্রোহীদের মধ্যে ভাঙ্গন অথবা কর্মীদেরকে কাছে টানতে একের পর এক কৌশল অবলম্বন করলে তাদের সকল কৌশলি যেন ব্যার্থ যাচ্ছে। বিদ্রোহীদের মধ্যে ভাঙ্গন তৈরি করার জন্য বিদ্রোহী শীর্ষ নেতা রেজাউল করিম নাচন ও মাহবুবুল হক চৌধুরী কে নিয়ে নাটক তৈরি করলে তা ব্যার্থ যায় নতুন কমিটির নেতাদের।পরবর্তিতে বহিস্কার ও শোকজের হুমকি দিলেও বিদ্রোহীদের আন্দোলন থামাতে পারেননি নতুন কমিটির নেতারা। সর্বশেষ পূণার্ঙ্গ কমিটি গঠনের জন্য ফরম বিতরণ করে কর্মীদেরকে কাছে নেওয়ার জন্য কৌশল অবলম্বন করলে তাদের এই ফরম বিতরণে সাড়া না পাওয়া হতাশ হয়ে পড়েছেন নতুন কমিটির নেতারা। এবার তারা নতুন করে কৌশল হাতে নিয়েছেন বিদ্রোহী নেতাদেরকে গ্রেফ—ার করে আন্দোলন দুর্বল করার।কিন্তু এই কৌশল দিয়ে কতটুকু সফল হতে পারবেন তা এখনও বুঝা যাচ্ছে না । কমিটি ঘোষনার দেড় মাসে বিদ্রোহী ২৫-৩০ জন কর্মী গ্রেফ—ার হয়েছেন বলে জানা যায়। তাদের
মধ্যে আন্দোলনের শুরুতে বিদ্রোহী নেতা সাফেক মাহবুব গ্র“পের আলী আকবর রাজন সহ ৫ ছাত্রদল
কর্মী গ্রেফ—ার হন তার সাথে একই দিনে আরেক বিদ্রোহী শীর্ষ নেতা আহমদ চৌধুরী ফয়েজ গ্র“পের ৬ জন ছাত্রদল কর্মী গ্রেপ্তার হন।সর্বশেষ ছাত্রদলের বিদ্রোহী শীর্ষ নেতা রেজাউল করিম নাচন গ্র“পের সুবিদবাজর ইউনিটের নাবিন ও রুবেল সহ ১৬ জন ছাত্রদল কর্মীকে দফায় দফায় অভিযান চালিয়ে
গ্রেফ—ার করে পুলিশ। বর্তমানে তারা কারাগারের আছেন বলে জানান ঐ বিদ্রোহী নেতা। তাছাড়া বিদ্রোহী নেতাদেরকে গ্রেফ—ারের জন্য বিভিন্ন থানায় নতুন কমিটির নেতারা যোগাযোগ করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।বিদ্রোহী শীর্ষ নেতা মাহবুবুল হক চৌধুরী, ফয়েজ শাকিল ও নাচন কে গ্রেফ—ার করতে পারলে পুলিশকে ৫ থেকে ১০ লক্ষ টাকা দেওয়া হবে বলে একটি সুত্রে জানা যায়। আর তাদের গ্রেফ—ারের জন্য পুলিশকে সহযোগিতা করছেন জেলা ছাত্রদলের নতুন কমিটির সভাপতি সাঈদ আহমদের ভাই একটি কলেজের অধ্যাপক এবং আম্বরখানা পরিবহন শ্রমিক ও মহানগর বিএনপি এক নেতা। তবে নতুন কমিটির এই কৌশল কতটুকু সফল হবে তা দেখার জন্য অপেক্ষা করতে হবে আরো কিছু দিন।