সিলেট ছাত্রদলের নতুন কমিটিতে ভাঙ্গন

khondokar muktadirনিজ্বস প্রতিবেদকঃ সিলেট ছাত্রদলের বিদ্রোহীদের আন্দোলনে ফাটল ধরাতে গিয়ে এবার উল্টো ছাত্রদলের নতুন কমিটির নিজেদের মধ্যে ফাটল দেখা দিয়েছে। তাই বেকায়দায় পড়ে গেছেন নতুন কমিটির নেতারা। জানা যায়, সিলেট ছাত্রদলের কমিটি ঘোষনা হয় ১৮ ই সেপ্টম্বর২০১৪ । কমিটির ঘোষনার পিছনের ২ জন প্রভাবশালী বিএনপি নেতার হাত রয়েছে বলে একটি সুত্রে জানা গেছে। এই দুই জন প্রভাবশালী নেতা হলেন সাবেক এমপি খন্দকার আব্দুল মালেকের পুত্র বিএনপি নেতা শিল্পপতি খন্দকার মুক্তাদির ও বেগম খালেদা জিয়া সাবেক প্রেস সচিব মুশফিকুল ফজল আনসারী। মুলত এই দু নেতা সমন্বয় করে ছাত্রদলের এই কমিটি নিয়ে আসেন। তবে সিলেটের স্থানীয় বিএনপি নেতারা ও সিলেট বিভাগের দায়িত্ব প্রাপ্ত নেতা কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মুবিন চৌধুরী সহ সিলেট বিএনপির প্রভাবশালী নেতারাও জানেন না এই কমিটির ব্যাপারে কোন কিছু। তাই কমিটি ব্যাপারে বড় একটি অংশ বিদ্রোহ ঘোষনা করলে তারা এ ব্যাপারে রয়েছেন নিরব। ছাত্রদলের বিদ্রোহী নেতারা অভিযোগ করেন নতুন কমিটিতে ত্যাগি,পরীক্ষীত নেতাদেরকে বাদ দিয়ে পেশাজীবি,নিস্ত্রীয় ও শিবির থেকে আগত নেতা দিয়ে কমিটি ঘোষনা করা হয়েছে। তাই তারা এই কমিটিকে প্রত্যাখান করে নতুন কমিটির নেতাদের কে নগরীতে অবাঞ্জিত ঘোষনা করেন। এরপর শুরু হয় নতুন কমিটি নেতাদের ওপর হামলা ও ধাওয়া । তাদের হামলায় প্রথমে ১৯ সেপ্টেম্বর শিকার হন জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সাঈদ আহমদ, তার কিছু দিন পর ২২ সেপ্টেম্বর মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি নুরুল আলম সিদ্দীকি খালেদকে নগরীরর জেল রোড এলাকায় ধাওয়া করেন বিদ্রোহীরা। সর্বশেষ ১৭ অক্টোবর মহানগর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আবু সালে লোকমান কে শহীদ মিনারের সামনে গণপিটুনি দেন বিদ্রোহীরা। মুলত এই ঘটনার পর থেকে তাদের ফাটলটির আকার ধারণ করে। একটি সুত্রে জানা যায়, আবু সালে লোকমান তিনি আশা করেছিলেন তার এই ঘটনার প্রতিশোধ নেবে নতুন কমটির নেতারা। কিন্তু তারা এর প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য পর দিন কর্মসূচি ঘোষনা করলেও বিদ্রোহীদের ভয়ে রাজপথে বের হননি বলে একটি সুত্রে জানা যায়। তখন লোকমান আরো বেশি ক্ষোব্ধ হয়ে উঠেন নতুন কমিটির নেতাদের ওপর। তবে নতুন কমিটির নেতাদের এই ঘটনায় বক্তব্য ছিল লোকমানের বিরুদ্ধে শিবির নিয়ে যে অভিযোগ উঠেছে তা তিনি যেন নিজেই এই বিষয়টি খন্ডন করেন। আর এটি সমঝোতা করার জন্য লোকমান অনুসারদেরকে নিয়ে নতুন কমিটির নেতা জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সাঈদ আহমদ ও এই কমিটি ঘোষনার পিছনে আরেক মুল হোতা সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহ সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান পাপলু নগরীরর ইলেকট্রিক সাপ্লাইতে এক যুবদল নেতার বাসায় দফায় দফায় গোপন বৈঠক করেন। এদিকে বিএনপি নেতা খন্দকার মুক্তাদির ও মুশফিকুল ফজল আনসারীর মধ্যে সম্পর্কে ফাটল দরা দিয়েছে বলে জানা যায় । একটি সুত্রে জানা যায় ছাত্রদলের এই পরিস্থিতিকে শান্তু করা জন্য খন্দকার মুক্তাদির চেয়েছিলেন মহানগর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আবু সালে লোকমানকে বাদ দিয়ে তার জায়গায় বিদ্রোহী কাউকে এনে অর্ন্তুভুক্ত করতে। কিন্তু এটি চাননি মুশফিকুল ফজল আনসারী। তিনি চান জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সাঈদ আহমদকে বাদ দিয়ে তার জায়গায় বিদ্রোহী কাউকে অর্ন্তুভুক্ত করতে। এই নিয়ে তাদের মধ্যে মনমান্য চলছে বলে নতুন কমিটির নাম প্রকাশে অনুচ্ছিক এক নেতা জানান। তাছাড়া শিবিরের নেতাদের কে অর্ন্তুভুক্ত করায় আনসারীর ওপর বিএনপি নেতা মুক্তাদির খুব বেশি ক্ষোব্ধ রয়েছেন বলে জানা যায়। তবে এই বিষয় নিয়ে বিএনপি নেতা মুক্তাদিরের সাথে ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।