প্রশাসনের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ মেয়র আরিফের

Arif2সুরমা টাইমস রিপোর্টঃ প্রশানের কিছু কর্মকর্তা ও সিটি করপোরেশনের কিছু জণপ্রতিনিধি অসহযোগিতা করছেন বলে অভিযোগ করেছেন সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তাকে ‘রহস্যজনক’ কারণে এড়িয়ে চলছেন বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে সিটি করপোরেশন মিলনায়তনে জরুরি সংবাদ সম্মেলন করে মেয়র আরিফ এমন অভিযোগ করেন বলেন, নির্বাচনী ওয়াদা অনুযায়ী তিনি মেয়রের দায়িত্ব নিয়েই নগরীর ফুটপাত থেকে হকার উচ্ছেদ করেছেন। যানজট নিরসনে রিকশার জন্য আলাদা লেন করে দিয়েছেন। কিন্তু কিছু দিন পরপর হকাররা ফুটপাত দখল করে বসার চেষ্টা করে আসছে। ফুটপাত থেকে হকার উচ্ছেদে পুলিশের সহযোগিতা চাওয়া হলেও তারা তা করছেন না বলে অভিযোগ করে মেয়র আরিফ বলেন, তাই বাধ্য হয়ে তিনি ও তার কাউন্সিলররা হকার উচ্ছেদে মাঠে নামতে হচ্ছে।
মেয়র অভিযোগ করে বলেন, প্রশাসনের কিছু উর্ধ্বতন কর্মকর্তা সিটি করপোরেশন ও করপোরেশনের জনপ্রতিনিধিদের এড়িয়ে চলার চেষ্টা করছেন। তাদের অসহযোগিতার কারণে নগরীর উন্নয়নে সমন্বিত কোন উদ্যোগ নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। সিটি করপোরেশনে কোন সমন্বয় সভা আহ্বান করলে প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা না এসে তাদের অধীনস্থদের পাঠান বলে অনুযোগ করে মেয়র বলেন, এতে সভায় বসে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব হয় না। স্থানীয় এমপি হিসেবে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত সিলেটের উন্নয়নের ব্যাপারে আন্তরিক উল্লেখ করে মেয়র বলেন, অর্থমন্ত্রী সিলেট আসলে প্রশাসনের কাছ থেকে ঠিকই সহযোগিতা পাওয়া যায়। কিন্তু অর্থমন্ত্রী সিলেট থেকে চলে গেলে রহস্যজনক কারণে পাল্টে যান কর্মকর্তারা। প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের এমন আচরণ উন্নয়নের অন্তরায় বলেও দাবি করেন মেয়র।
সরকারী বিভিন্ন অনুষ্ঠানে উপেক্ষা করার অভিযোগ তুলে মেয়র আরিফ বলেন, নগরীতে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত বৃক্ষমেলায় সিটি করপোরেশন সহযোগী প্রতিষ্ঠান ছিল। কিন্তু অতিথি হিসেবে তাকে মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রাখা হয়নি। একইভাবে বিভিন্ন সরকারী অনুষ্ঠানে তাকে প্রশাসনের কিছু উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এড়িয়ে চলার চেষ্টা করছেন।
সংবাদ সম্মেলনে মেয়র বলেন, ‘ফুটপাত মুক্ত রাখতে আমি সুযোগ পেলেই ট্রাফিকগিরি করি। কিন্তু পেছনের দরোজা দিয়ে কে যেন ফুটপাতে অবৈধ দখলকারীদের সংগঠিত করে রাখে। সুযোগ পেলেই তাঁরা দখলে নামে।’ এ অবস্থায় তিনি পূজা ও ঈদের পরপরই ফুটপাত দখল মুক্ত রাখতে সাঁড়াশি অভিযান চালাবেন জানিয়ে নগরবাসীর সহায়তা কামনা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে মেয়র ছাড়াও কাউন্সিলর ছালেহ আহমদ চৌধুরী, রোকশানা বেগম শাহনাজ, মখলিছুর রহমানসহ অন্যান্য কাউন্সিলররাও উপস্থিত ছিলেন।