বিশ্বনাথে যৌতুক মামলার আসামী গ্রেফতার

বিশ্বনাথ প্রতিনিধিঃ বিশ্বনাথে স্ত্রীর যৌতুক মামলায় স্বামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত শনিবার সকালে উপজেলার কাজিরগাঁও গ্রামের আবদুল ছালিকের মেয়ে ছাবিহা আক্তার হেলেনা বাদি হয়ে তার স্বামী এম.এ নুরউদ্দিন কে প্রধান আসামী রেখে আরোও দুইজনকে আসামী করে বিশ্বনাথ থানায় মামলা দায়ের করেন। যার নং ৯। মামলার অন্য আসামীরা হলেন-উপজেলার কাজিরগাঁও গ্রামের বাদির শ্বশুর সিরাজুল ইসলাম, একই গ্রামের মৃত ইছাক আলী ছেলে আবদুল রহিম। মামলা দায়ের পর শনিবার রাত সাড়ে ১০টায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে মামলার প্রধান আসামী এম.এ নুরউদ্দিন কে তার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন থানার অফিসার ইন-চার্জ মো. রফিকুল হোসেন।
মামলার এজাহার সুত্রে জানাযায়, ১৯৯০ সালে ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক ছাবিহা আক্তার হেলনার বিয়ে হয় উপজেলার কাজিরগাঁও গ্রামের এম.এ নুরউদ্দিন সাথে। বিয়ের কিছুদিন ভালভাবে সংসার চলে। তবে পরবর্তিতে আসামীরা যৌতুকের জন্য বিভিন্ন সময়ে শারীরিক ও মানুষিকভাবে অত্যাচার-নির্যাতন শুরু করে। এনিয়ে এলাকায় কয়েকবার শালিশ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু আসামীদের মনোভাবের কোন পরিবর্তন না হওয়ায় বাদীনীর পিতা তার মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে বিবাহের ৪/৫ বছর পরে এক লাখ টাকা দিয়ে এম এ নুরউদ্দিন কে প্রবাসে পাঠান। কিন্তু স্বামী বিদেশে থেকেও তার সন্তানদের প্রতি কোন প্রকার দায়িত্বশীলতার ভূমিকা নেয়নি। স্বামীর অনুপস্থিতিতে অন্য আসামীরা বিভিন্ন সময়ে অত্যাচার করে। সংসারের কথা চিন্তা করে তাদের সকল নির্যাতন সহ্য করে আসছে
এজাহারে আরোও উল্লেখ রয়েছে, স্বামী সম্প্রতি দেশে এসে পূনরায় বিভিন্ন সময়ে যৌতুকের টাকার জন্য চাপ সৃষ্টি করে। এতে অপারগতা প্রকাশ করলে আসামীরা তাকে মারফিট করে চিকিৎসা করতে দেয়নি। আসামীরা গত বুধবার রাত ৮টায় যৌতুক বাবদ দুই লাখ টাকা দাবি করে। এতে অপারগতা প্রকাশ করলে আসামীরা মারপিট করে তার ছয় সন্তান দিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেয় বলে এজাহারে উল্লে¬খ রয়েছে।
এব্যাপারে থানার অফিসার ইন-চার্জ মো. রফিকুল হোসেন মামলার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, মামলার প্রধান আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।