চারাগাঁও সীমান্তে ৫ মেট্রিক টন চোরাই কয়লা আটক

জয়ধরপুত্র অস্ত্র ব্যবসায়ী নজরুলের সহযোগী ফরিদ ডাকাতের বিরুদ্ধে বিজিবির মামলা

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জ-৮ বর্ডারগার্ড (বিজিবি) চারাগাঁও সীমান্তের ওপার থেকে বিনা শুল্কে চোরাই পথে নিয়ে আসা ৫ মেট্রিক টন কয়লা আটক করেছে। আটককৃত কয়লার মুল্য প্রায় ৪০ হাজার টাকা। এ ব্যাপারে তাহিরপুর উপজেলার শ্রীপুর উওর ইউনিয়নের চারাগাঁও গ্রামে মৃত খুরশেদ মিয়ার ছেলে ফরিদ ওরফে ফরিদ্যা ডাকাতের বিরুদ্ধে বিজিবির ক্যাম্প কমান্ডার বাদী হয়ে থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন। এলাকার লোকজন জানান, চারাগাঁও সীমান্তের ভুমিখেকো চোরাচালানীদের মুলহোতা পুলিশের নামে চোরাই কয়লা , বাংলা কয়লা ও মামলাবাজ থানার দালাল জয়ধর আলী ও তার ছেলে স্বরাষ্ট মন্ত্রনালয়ের তালিকাভুক্ত অস্ত্রচোরাকারবারী জালনোট ব্যবসায়ী নজরুল ওরফে পিস্তল নজরুলের প্রধান সহযোগী ও চোরাকারবারী ব্যবসার অন্যতম ব্যবসায়ীক পার্টনার ছিল ফরিদ । শুরুতে ছিচকে চুরির মাধ্যমে হাতে খরি হলেও এলাকায় একাধিক ডাকাতি ছিনতাই ও সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িত থাকায় ফরিদকে এলাকার সবাই এক নামে ফরিদ্যা ডাকাত বলেই চিনে।
ব্যাটালিয়ন হেডকোয়ার্টার ও স্থানীয় এলাকাবাসীর সুত্রে জানা যায়, চারাগাঁও বিওপির ক্যাম্প কমান্ডার নায়েব সুবেদার মহসিন মিল্কির নেতৃত্বে বিজিবির একটি টহল দল সীমান্তের ওপার থেকে ৫ (৯০ বস্তা) মেট্রিকটন চোরাই কয়লা নিয়ে আসার পথে মেইন পিলার ১১৯৫ এর ৫-টির ৯’শ গজ বাংলাদেশ অভ্যন্তরে একটি দোকান ঘর থেকে বৃহস্পতিবার ভোর রাতে আটক করে। এ সময় ফরিদ ও তার লোকজন দৌড়ে ওপারের দিকে পালিয়ে যায়। আটককৃত কয়লা জব্দ তালিকা শেষে রাতে বিজিবির ক্যাম্প কমান্ডার নায়েব সুবেদার মহসিন মিল্কি বাদী হয়ে ফরিদ সহ অজ্ঞাত নামা ৩ থেকে ৪ জনকে অভিযুক্ত করে থানায় একটি মামলা দাযের করেছেন। এর আগে একই চক্রের অপর একটি কয়লা চোরাচালানের ঘটনায় মামলা হলেও “জজ মিয়া নাঠক” সাজিয়ে নিরীহ বাড়ির মালিককে ফাঁসিয়ে জয়ধর তার পুত্র নজরুলকে হেফাজত করে তার ক্ষমতার জানান দিয়েছে।
উল্ল্যেখযে, লালঘাট, বাঁশতলা, চারাগাঁও ও কলাগাঁও সহ সাতটি পয়েন্ট দিয়ে জয়ধর ,তার ছেলে নজরুল বিগত বছরের মে মাস থেকে কয়লা আমদানি রফতানী কার্যক্রম বন্ধ থাকার সুবাধে পুলিশ, বিজিবি , কাষ্টমসকে ম্যানেজ করার কথা বলে প্রতিনিয়ত শতশত মেট্রিকটন চোরাই কয়লা ওপার থেকে নিয়ে এসে ভুয়া চালান পত্র ও মিনিপাসন দিয়ে বিক্রি করে কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। শুধু চোরাই কয়লার ব্যবসাই নয় এসব প্রতিবস্থা কয়লার জন্য পুলিশ, বিজিবি, ইউপি চেয়ারম্যান, কাষ্টমস’র নামে ১০ টাকা থেকে শুরু করে ৭০ টাকা এমনকি ১’শ টাকাও চাঁদা নিয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। একই চক্র গত টানা ৬ বছর ধরে পুলিশের নামে পাহাড়ি ছড়া ও নদী পথে হত দরিদ্র মহিলা পুরুষদের কুড়ানো বাংলা কয়লা থেকেও প্রতিটন ১ থেকে ২ ’শ টাকা করে চাঁদা তুলে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। সীমান্তের চোরাচালানীদের এক খাদেমের সহযোগীতায় জয়ধর খেদমতদার সেজে তার পুত্র নজরুল , ভাতিজি জামাই সহ ঘাটে ঘাটে লাঠিয়াল ও অস্ত্রবাজাদের রেখে চাঁদাবাজির আয়ের টাকায় এলাকায় ও শহরে একাধিক বাড়ি গাড়ি জমি ও দোকানকোটার মালিক হয়ে থানার দালাল থেকে কোটি পতির তালিকায় নাম লিখিয়েছে। অভিযোগ রয়েছে এখনো থানা পুলিশের অন্দর মহলে কিছু কিছু কর্তাব্যাক্তিদের মামলার দালালী করে পকেটভারীর করে দেয়ার সুবাধে থানায় আসা যাওয়া সখ্যতার বদৌলতে নিজ ভাতিজা শামীম গত ১৫ ডিস্মেবর সন্ধা রাতে অবৈধ পিস্তল দিয়ে প্রকাশ্যে মাইজহাটির মোড়ে প্রতিপক্ষের ওপর তিন রাউন্ড গুলি করলেও পুলিশ জয়ধরের ইশারায় ঐ ঘটনা ইতিমধ্যে ধামাচাঁপা দিয়েছে এমনকি আজো সেই অবৈধ পিস্তল ও অস্ত্রবাজ শামীমকে পুলিশ আইনের আওতায় আনতে জনসাধারণের কাছে ব্যার্থতার পরিচয় দিয়েছে। সীমান্তের সাত গ্রামের মানুষের পুলিশী সেবা, হয়রানী, গ্রেফতার, মামলা রেকর্ড করা না করা সব কিছুই এখনও নির্ভর করে জয়ধরের ইশারা ও মুঠোফোনের কলেও ওপর।