ফুটবল বিশ্বকাপে জার্মানির চতুর্থ শিরোপা
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ মারিও গোৎজের একমাত্র গোলে ব্রাজিল বিশ্বকাপ জয় করে নিলো ইউরোপীয় ফুটবলের মেশিন জার্মানি। গোলশূন্য নির্ধারিত সময়ের খেলার পর অতিরিক্ত সময়ের খেলার ১১৩ মিনিটে গোল করেন গোৎজে। আর এ গোলের মাধ্যমে লিওনেল মেসির বিশ্বকাপ শিরোপার স্বপ্ন চূর্ণ হয়ে যায়। সূর্য ডুবে যাওয়ার পর ফ্লাডলাইটে আলোকিত মারাকানায় ফিরলো রোমের অলিম্পিক স্টেডিয়ামে সেই রাত। ২৪ বছর পর আবার সেই আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে বিশ্বকাপের শিরোপা জিতলো জার্মানি।
চতুর্থবারের মতো বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হলো জার্মানি। দক্ষিণ আমেরিকায় থেকে প্রথমবারের মতো শিরোপা জিতলো ইউরোপের কোনো দেশ।অতিরিক্ত সময়ে জার্মানিকে এগিয়ে দেন মারিও গোটসে। মারাকানার ফাইনালে ৯০ মিনিটে গোল পায়নি আর্জেন্টিনা বা জার্মানির কেউই। খেলা তাই গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে।
প্রথমার্ধে দুই দলই নষ্ট করেছে একটি করে নিশ্চিত গোলের সুযোগ। নবম মিনিটে প্রথমবারের মতো ঝলক দেখান লিওনেল মেসি। ডান দিক থেকে বল পান তিনি। সঙ্গে লেগে থাকা ডিফেন্ডারকে গতিতে পরাস্ত করে ডি বক্সে ঢুকে গোললাইন থেকে ক্রস করেন কিন্তু তা ফিরিয়ে দেন বাস্টিয়ান শোয়াইনস্টাইগার।পরের মিনিটে আবার আক্রমণে যায় আর্জেন্টিনা। এবার পাবলো সাবলেতার সেই ক্রস বিপজ্জনক জায়গায় পৌঁছলেও টিতে পা ছোঁয়াতে পারেননি এনসো পেরেস ও গনসালো হিগুয়াইন।
কিছুক্ষণ পর ফিলিপ লামের ক্রসে মাথা লাগাতে পারেনি মিরোস্লাভ ক্লোসা।
২১তম মিনিটে জার্মানির টনি ক্রুস দারুণ একটি ‘উপহার’ দেন হিগুয়াইনকে। হেড করে সতীর্থকে দিতে গিয়ে হিগুয়াইনকে বল তুলে দেন তিনি। নাপোলি স্ট্রাইকারের কাছাকাছি জার্মানির কোনো খেলোয়াড় ছিলেন না। মানুয়েল নয়ারকে একা পেয়েও বাইরে মেরে দলকে এগিয়ে নেয়ার সুবর্ণ সুযোগটি হাতছাড়া করেন তিনি।
৩০তম মিনিটে প্রতি আক্রমণ থেকে ভালো একটি সুযোগ তৈরি করে আর্জেন্টিনা। মেসি ডান দিকে বাড়ান এসেকিয়েল লাভিস্সিকে। তার ক্রস থেকে নয়ারকে পরাস্ত করে জালে জড়ান হিগুয়াইন। কিন্তু সহকারী রেফারি উচিয়ে রেখেছিলেন অফসাইডের পতাকা।
দশ মিনিট পর মেসি ডান দিক থেকে ঢুকে পড়েন। কিন্তু জেরোম বোয়াটেংকে ফাঁকি দিতে পারেননি তিনি।
৪৩তম মিনিটে মাসচেরানোর ভুল পাস থেকে ভালো একটা সুযোগ পান ক্রুস। তবে তার শট ফেরাতে কোনো সমস্যা হয়নি সের্হিও রোমেরোর।
যোগ করা সময়ে প্রায় এগিয়েই যাচ্ছিল জার্মানি। ক্রুসের কর্নার থেকে বেনেডিক্ট হুভেডেসের হেড ফেরানোর কোনো সুযোগই ছিল না রোমেরোর। দুর্ভাগ্য তিনবারের চ্যাম্পিয়নদের। বল বারে লেগে ফিরে। কাছেই টমাস মুলার ছিলেন, কিন্তু তিনি হয়ে যান অফসাইড। আর বল আয়ত্বে নেন রোমেরো।
৪৭তম দারুণ একটি সুযোগ পান মেসি। ডি বক্স থেকে তার শট ফেরানোর কোনো সুযোগ ছিল না নয়ারের। কিন্তু অল্পের জন্য লক্ষ্যে রাখতে পারেননি চারবারের বর্ষসেরা ফুটবলার।
৭১তম মিনিটে একটি সুযোগ নষ্ট করেন শুরলে। ডি বক্সে সুবিধাজনক জায়গায় পেয়েও বলের নিয়ন্ত্রণ নিতে পারেননি তিনি।
৯০ মিনিট গোলশূন্য থাকায় খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। এ নিয়ে টানা তিনটি ফাইনাল অতিরিক্ত সময়ে গড়ালো।
অতিরিক্ত সময়ের প্রথম মিনিটেই আর্জেন্টিনার ত্রাতা রোমেরো। বাম দিক থেকে ডি বক্সে বল পাওয়া শুরলের হাফভলি ঠেকিয়ে দেন তিনি।
ছয় মিনিট পর সুযোগ আসে রদ্রিগো পালাসিওর সামনে। মার্কোস রোহোর ক্রস ডি বক্সে বুক দিয়ে নামিয়ে এগিয়ে আসা নয়ারের মাথার ওপর দিয়ে পাঠাতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু লক্ষ্যে রাখতে পারেননি। অল্পের জন্য বল বাইরে চলে যায়।