কে হচ্ছেন সভাপতি, সালাউদ্দিন না পোটন?

bff-flag_111099 ডেস্ক রিপোর্ট: শনিবার বহুল আলোচিত বাফুফে(বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন)নির্বাচন। এতে দুটি প্যানেল-কিংবদন্তি ফুটবলার কাজী সালাউদ্দিনের সম্মিলিত পরিষদ ও সংসদ সদস্য কামরুল আশরাফ খান পোটেনের ‘ফুটবল বাঁচা্ও’ জোট অংশ নিচ্ছে।

সভাপতি, চারটি সহ-সভাপতি ও ১৫টি সদস্য পদের জন্য এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সালাউদ্দিন প্যানেল থেকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আগেই নির্বাচিত হয়ে গেছেন আব্দুস সালাম মুর্শিদী। এবার মোট ভোটারের সংখ্যা ১৩৪ জন। ভোট শুরু হবে দুপুর ২টায়, চলবে ৫টা পর্যন্ত। তার আগে বেলা ১১টা থেকে ২টা পর্যন্ত হবে এজিএম।

আগের নির্বাচনগুলো বাফুফে ভবনে হলেও এবার ভেন্যু পরিবর্তন করে তা নেওয়া হয়েছে রাজধানীর রেডিসন ব্লু হেটেলে। বাফুফে ভবনে বা ঐ এলাকায় নিরাপত্তা হুমকির আশঙ্কায় ভেন্যু সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে জানায় বাফুফে। তিন দিন আগে হোটেল পূর্বানীতে সালাউদ্দিন প্যানেলের একটি অনুষ্ঠান বাতিল করে দেওয়া হয় নিরাপত্তাজনিত কারণে।

তবে হোটেল রেডিসনের নির্বাচনী ভেন্যুতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে বলে ঢাকাটাইমসকে জানান নির্বাচন কমিশনার মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ।যদিও নির্বাচনে তিনি অপ্রীতিকর ঘটনার  তেমন সম্ভাবনরা দেখছেন না।

গত দুই মেয়াদে বাফুফের সভাপতি ছিলেন দেশের কিংবদন্তি ফুটবলার কাজী সালাউদ্দিন। এবং দু’বারই প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি সমর্থন ছিল তাঁর প্রতি। যে কারণে অতি সহজে নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে পেরেছিলেন সালাউদ্দিন ও তার প্যানেল। এর মধ্যে গত নির্বাচনে তার বিপক্ষে তো কোনও প্যানেলই ছিল না। কিন্তু বাফুফে নির্বাচন নিয়ে এবার বিন্দুমাত্র মাথা ঘামাচ্ছেন না প্রধানমন্ত্রী। এবার পুরোপুরি নিরপেক্ষ অবস্থানে তিনি।

তাই নির্বাচনের রাস্তাটা সালাউদ্দিন ও তার প্যানেলের জন্য আগের মতো কুসুমাস্তীর্ণ নাও হতে পারে।যদিও  জেলা ও বিভাগীয় সংগঠক ফোরামের সভাপতি ও চট্টগ্রাম সিটি মেয়র আ জ ম নাসির সালাউদ্দিন প্যানেলকে পূর্ণ সমর্থন দিয়েছেন। যেটা সালাউদ্দিন প্যানেলের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ ও স্বস্তির। এই ফোরাম নির্বাচনে বেশ প্রভাব রাখতে সক্ষম। মোট ১৩৪টির মধ্যে ফোরামের হাতে রয়েছে প্রায় ৭০ ভোট।

কথা হলো, চট্টগ্রাম সিটি মেয়রের কথায় তারা কী সবাই সালাউদ্দিন প্যানেলকে ভোট দিবেন? সালাউদ্দিনকে তাদের বেশিরভাগই নাকি ভোট দিবেন না-এমনটাই দাবি করছেন সালাউদ্দিন বিরোধী প্যানেলের লোকজন। সাবেক তারকা ফুটবলার ও ‘ফুটবল বাঁচাও’ জোট থেকে সদস্য প্রার্থী শেখ মোহাম্মদ আসলাম বলেন,‘ নাসির সাহেবের কথায় তারা ভোট কেন দিবেন? আমি মনে করি ফোরামের বেশিরভাগ ভোটই আমরা পাব।’

সালাউদ্দিন প্যানেল থেকে অভিযোগ, ভোট পেতে অঢেল টাকা খরচ করছে বিপক্ষ প্যানেল। যদিও শেখ মোহাম্মদ আসলাম টাকা খরচ করে ভোট কেনার অভিযোগ উড়িয়ে দেন। তার যুক্তি, পরিবর্তন দেখতে চায় বলেই সবাই তাদের ভোট দিবে এবার।

ফুটবল সংশ্লিষ্টরা অবশ্য টানা তৃতীয়বারের মতো কাজী সালাউদ্দিনের সভাপতি হওয়ারই সম্ভাবনা বেশি দেখছেন। তাদের হিসেবে জেলা ও বিভাগীয় ফোরামের বেশিরভাগ ভোট যাবে সম্মিলিত পরিষদে। ঢাকার বিভিন্ন বিভাগের ক্লাবের ভোটেও এগিয়ে থাকবে সালাউদ্দিন পানেল। যদিও নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী ‘ ফুটবল বাঁচাও’ জোট।