ইউপি নির্বাচন: গোলাপগঞ্জে ত্রিমুখী লড়াইয়ের সম্ভাবনা
নোমান মাহফুজ,গোলাপগঞ্জ:গোলাপগঞ্জে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই বাড়ছে প্রার্থীদের নির্বাচনী উত্তাপ। আগামী ৭ মে এ উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, মেম্বার ও সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার প্রার্থীদের জমজমাট প্রচারণায় মুখরিত হয়ে উঠছে প্রতিটি গ্রামীণ জনপদ। প্রার্থীরা সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত জমজমাট প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। উঠান বৈঠক, ঘরোয়া বৈঠক, মতবিনিময় সভা,গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ করছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলোতেও প্রার্থীদের প্রচারণা সরব চলছে । প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন ৭৪ জন চেয়ারম্যান, ৪৬৯জন মেম্বার ও সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার ৮৫জন। ১ নং বাঘা ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন ১০ জন প্রার্থী। রয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান কবির আহমদ (টেবিল ফ্যান),তবে এবারের নির্বাচনে তার কোন শুরগোল না থাকলেও এ ইউনিয়নে এখন পর্যন্ত ১ম স্থানে এগিয়ে রয়েছেন আনারস প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী আ.লীগ বিদ্রোহী ছানা মিয়া,২য় স্থানে রয়েছেন খেজুর গাছ প্রতীকে জমিয়তে উলামার নুরুল আমিন ও ৩য় স্থানে রয়েছেন অটোরিক্সা প্রতীকে জামায়াতের আবুল হাসনাত। এছাড়া এ ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন নৌকা প্রতীকে আ.লীগের দলীয় প্রার্থী সায়্যিদ আহমদ সুহেদ,ধানের শীষ প্রতীকে বিএনপির আহাদুর রহমান কামরুল, টেলিফোন প্রতীকে জয়নাল আহমদ,মটরসাইকেল প্রতীকে কামরান আহমদ, ঘোড়া প্রতীকে আব্দুল কাইয়ুম পাখি,চশমা প্রতীকে আতাউর রহমান।২ নং গোলাপগঞ্জ সদর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন ৬ প্রার্থী। এ ইউনিয়নে শক্ত অবস্থানে আছেন ধানের শীষ প্রতীকে বিএনপির আশফাক আহমদ চৌধুরী, ২য় স্থানে আছেন আ.লীগ বিদ্রোহী আনারস প্রতীকে আব্দুস সামাদ জিলু,৩য় স্থানে আছেন নৌকা প্রতীকে আ.লীগের আবুল কাশেম সেবুল,এছাড়া প্রতিদ্বন্ধিতায় রয়েছেন অটোরিক্সা প্রতীকে রেজওয়ান উদ্দীন রিজু, প্রতীকে খন্দকার নজরুল আশুক,মটর সাইকেল প্রতীকে হোসেন আহমদ,। ৩ নং ফুলবাড়ি ইউনিয়নে আ.লীগ বিএনপির হেভিওয়েট প্রার্থী সহ ৫ প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্ধীতা করছেন। নৌকা প্রতীকে আ.লীগের হানিফ আহমদ খান ও ধানের শীষ প্রতীকে বিএনপির মাহবুবুর রহমান ফয়ছলের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের সম্ভাবনা বেশী। এছাড়া রয়েছেন টেলিফোন প্রতীকে মুজিবুর রহমান, মটর সাইকেল প্রতীকে সুহেদুর রহমান,আনারস প্রতীকে আবুল কালাম আজাদ। ৪ নং লক্ষীপাশা ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকে বর্তমান চেয়ারম্যান মাহমুদ আহমদ সহ ৬ প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন। নৌকা প্রতীকে মাহমুদ আহমদ এগিয়ে থাকলেও বাকি ৫ প্রার্থীর কেউ থেকে কেউ পিছিয়ে নেই। ৫ প্রার্থীর মধ্যে,ঘোড়া প্রতীকে কবির আহমদ মুশন, টেবিল ফ্যান মার্কায় আবুল কালাম আজাদ,আনারস প্রতীকে আরিফ আহমদ মনজু,চশমা প্রতীকে আব্দুল মুমিন খান,অটোরিক্সা প্রতীকে কয়েছ আহমদ, মোটর সাইকেল প্রতীকে আব্দুর রহিম। ,৫ নং বুধবারী বাজার ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন ৮ জন প্রার্থী। এ ইউনিয়নে ধানের শীষ প্রতীকে হেলাল উদ্দীন,নৌকা প্রতীকে হাজী রফিক উদ্দীন ও চশমা প্রতীকে মস্তাব উদ্দীন কামালের মধ্যে ত্রীমুখি লড়াইয়ের সম্ভাবনা বেশী রয়েছে। এছাড়া এ ইউনিয়নে রয়েছেন আনারস প্রতীকে সাইদুল আলম সুহেদ,খেজুর গাছ প্রতীকে জমিয়তে উলামার ক্বারি মাওঃ খলিলুর রহমান, টেলিফোন প্রতীকে বিলাল উদ্দিন,ঘোড়া প্রতীকে দবিরুল হক চৌধুরী,মটর সাইকেল প্রতীকে শাহ সাইফুল ইসলাম। ৬ নং ঢাকাদক্ষিণ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন ৯ প্রার্থী। প্রচার প্রচারণায় শীর্ষতা অনেকের থাকলেও ভোটের দিক দিয়ে এ ইউনিয়নে শীর্ষে রয়েছেন চশমা প্রতীকে আব্দুল ছায়াদ,ঘোড়া প্রতীকে জামায়াতের মাওলানা আব্দুর রহিম ও আনারস প্রতীকে বর্তমান চেয়ারম্যান মজির উদ্দীন চাকলাদার। এছাড়া এ ইউনিয়নে প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন ধানের শীষ প্রতীকে মনিরুজ্জামান উজ্জল, নৌকা প্রতীকে জামিল আহমদ, টেলিফোন প্রতীকে আফজল হোসাইন রফি,লাঙ্গল প্রতীকে জাপার দেলওয়ার হোসাইন,অটোরিক্সা প্রতীকে আব্দুল হান্নান,মটর সাইকেল প্রতীকে রফিক আহমদ খান। ৭ নং লক্ষণাবন্দ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন ৭ প্রার্থী। ধানের শীষ প্রতীকে ৩ বারের নির্বাচিত বর্তমান চেয়ারম্যান নসিরুল হক শাহিনের এবার অগ্নিপরিক্ষা চলছে। অপর ৬ প্রার্থী নৌকা প্রতীকে দেলওয়ার হোসেন,লাঙ্গল প্রতীকে খলকুর রহমান খলকু,আনারস প্রতীকে খালেদুর রহমান,অটোরিক্সা প্রতীকে মুহিবুর রহমান,ঘোড়া প্রতীকে আশরাফ উজ্জামান আশু, মোটর সাইকেল প্রতীকে জামায়াতের কয়েছ আহমদ। কেউ কাউকে ছাড় দিতে নারাজ। ৮ নং ভাদেশ্বর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন ৫ প্রার্থী। নৌকা প্রতীকে বর্তমান চেয়ারম্যান এম এ ছালিকের অবস্থান থাকলেও ধানের শীষ প্রতীকে জিলাল উদ্দীন ও আ.লীগের বিদ্রোহী ২ প্রার্থী আনারস প্রতীকে রুমেল সিরাজের মধ্যে ত্রিমুখী লড়াইয়ের সম্ভাবনা বেশী। তবে পিছিয়ে নেই মটর সাইকেল প্রতীকে শহীদ আহমদ লালা। ৯ নং পশ্চিম আমুড়া ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন ৯ প্রার্থী। নৌকা প্রতীকে আ.লীগের মঈন উদ্দীন, ঘোড়া প্রতীকে বর্তমান চেয়ারম্যান আছদ্দর আলী জালালী,খেজুর গাছ প্রতীকে জমিয়তে উলামার ইমাদ উদ্দীন সালিম রয়েছেন শক্ত অবস্থানে। তাছাড়া প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন অটোরিক্সা প্রতীকে আং হামিদ বুলু,মটর সাইকেল প্রতীকে কামাল উদ্দীন,টেলিফোন প্রতীকে জাবেদ হুসেন,ধানের শীষ প্রতীকে ফখর উদ্দীন সফই,টেবিল ফ্যান প্রতীকে হারুনুর রশীদ,আনারস প্রতীকে রুহেল আহমদ। ১০ নং বাদেপাশা ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন ৩ জন। নৌকা প্রতীকে আ.লীগের মোস্তাক আহমদ,আনারস প্রতীকে উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান মুহিবুর রহমান, মশাল প্রতীকে কয়েছ আহমদ। ৩ প্রার্থীর মধ্যে কেউ পিছিয়ে নেই। ১১ নং শরীফগঞ্জ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন ৬ প্রার্থী। নৌকা প্রতীকে আ.লীগের এম এ মুমিত হীরা ও মোটর সাইকেল প্রতীকে জামায়াতের আতিকুর রহমান এগিয়ে রয়েছেন। এছাড়া চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন ধানের শীষ প্রতীকে সুরাব আলী,অটোরিক্সা প্রতীকে আমিনুল রাজা শামিম,ঘোড়া প্রতীকে এম কবির উদ্দীন,আনারস প্রতীকে দুলাল আহমদ।