সিলেটের ১৩টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে কে কত ভোট পেলেন
ডেস্ক রিপোর্ট :: দ্বিতীয় ধাপে সিলেট জেলার গোয়াইনঘাট ও কোম্পানীগঞ্জের উপজেলার ১৩টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন বৃহস্পতিবার সম্পন্ন হয়েছে। ইউনিয়ন গুলোর মধ্যে পাঁচটিতে আওয়ামী লীগ, দু’টিতে বিএনপি ও ছয়টিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। এর মধ্যে গোয়াইনঘাট উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের মধ্যে চারটিতে আ.লীগ, দু’টিতে বিএনপি এবং একটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী (আ. লীগ বিদ্রোহী) প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। এছাড়া কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের মধ্যে চারটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী (আ. লীগ বিদ্রোহী), একটিতে আ.লীগ ও একটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী (বিএনপির বিদ্রোহী) প্রার্থী জয়ী হয়েছেন।
কোম্পানীগঞ্জ: উপজেলার পশ্চিম ইসলামপুর ইউনিয়নে ১০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ৫ হাজার ৮২৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ও বিআরডিবি’র চেয়ারম্যান শাহ জামাল উদ্দিন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মজনু মিয়া আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ২৭৬৬ ভোট। অন্য প্রার্থীদের প্রাপ্ত ভোট সংখ্যা হচ্ছে-আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী গেদা মিয়া (দুটি পাতা) ২৭৩৪ ভোট, ধানের শীষ নিয়ে বিএনপি’র নজরুল ইসলাম ২২১০, জাফরুল ইসলাম বাবুল (অটোরিক্সা) ১৯৩৩, বিএনপি’র বিদ্রোহী প্রার্থী এখলাছুর রহমান (মোটর সাইকেল) ১৬৮৫, আফজল হোসেন বতুল্লা (ঘোড়া) ৬৬০, মহিউদ্দিন (হাতপাখা) ৩৯০, আবুল হোসেন (চশমা) ২৯০ এবং লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে বর্তমান চেয়ারম্যান শামসু মিয়া চৌধুরী জল্লাদ পেয়েছেন ২৬৯ ভোট।
পূর্ব ইসলামপুর ইউনিয়নে এ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী বাবুল মিয়া। তার প্রাপ্ত ভোট ৬,২৫৯। আওয়ামী লীগ সভাপতি আলী আমজদ নৌকা প্রতীক নিয়ে ৪,৩৪০ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় হয়েছেন। অন্য প্রার্থীদের মধ্যে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ইলিয়াছুর রহমান ৪০৭৫, ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে তাজ উদ্দিন ৪৭৯ এবং অটোরিক্সা প্রতীক নিয়ে মো: মনির উদ্দিন ১২৯ ভোট পেয়েছেন।
তেলিখাল ইউনিয়নে তেলিখাল ইউনিয়নে কারাবন্দী কাজী আব্দুল ওদুদ আলফু পুন:নির্বাচিত হয়েছেন। অটোরিক্সা প্রতীকে তিনি পেয়েছেন-৩৭২৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ প্রার্থী ও দলের সাধারণ সম্পাদক আফতাব আলী কালা মিয়া নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ২,৯৪৬ ভোট। এ ইউনিয়নে ঘোড়া প্রতীক নিয়ে রিয়াজ উদ্দিন ২,৯০৯ ভোট এবং আনারস প্রতীক নিয়ে আব্দুল হক পেয়েছেন ৭৮৩ ভোট। এর আগের নির্বাচনেও কাজী আলফু এ ইউনিয়নে প্রথমবারের মতো চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
দক্ষিণ রণিখাই ইউনিয়নে সিদ্দিকুর রহমান রোকন উদ্দিন ৩,১৬৭ ভোট পেয়ে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসাবে বিজয়ী হয়েছেন। এখানে ধানের শীষের প্রার্থী আব্দুস সোবহান ২২৭৯ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় হয়েছেন। এছাড়া, আওয়ামী লীগের প্রার্থী আব্দুল হাসিম নৌকা প্রতীকে ১৭৪৫ ভোট, বর্তমান চেয়ারম্যান এম এ হান্নান(ঘোড়া প্রতীকে) ১০৭৬ ভোট এবং আব্দুল মজিদ (মোটর সাইকেল) পেয়েছেন-২৯ ভোট।
উত্তর রণিখাই ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী বর্তমান চেয়ারম্যান ফরিদ উদ্দিন আনারস প্রতীকে ৩৯০৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী। নৌকা প্রতীক নিয়ে জালাল মিয়া পেয়েছেন ৩,০৭২ ভোট। এছাড়া, স্বতন্ত্র প্রার্থী আতাউর রহমান (ঘোড়া) ১৬৬৬ এবং আব্দুল মালিক ধানের শীষ প্রতীকে ১,০৪৪, ভোট পেয়েছেন।
ইছাকলস ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী কুটি মিয়া ঘোড়া প্রতীকে ৫,০৩৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকা প্রতীকের এখলাছুর রহমান ৩২০৮ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় হয়েছেন।
গোয়াইনঘাট: উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের মধ্যে ৭টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামীলীগের প্রার্থীরা ৪, আওয়ামীলীগ বিদ্রোহী ১ ও বিএনপি’র ২ জন প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন।
রিটার্ণিং অফিসারের তথ্য অনুযায়ী ১নং রস্তমপুর ইউনিয়নে বিজয়ী হয়েছেন বিএনপি মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী মোহাম্মদ শাহাব উদ্দিন শিহাব। ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে ৮ হাজার ৭শ ৬৮ ভোট পেয়ে তিনি বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি’র বিদ্রোহী প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান আনারস প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৬ হাজার ৮শ ৭৭ভোট।
২নং পশ্চিম জাফলং ইউনিয়নে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী আব্দুস সালাম নৌকা প্রতীক নিয়ে ৫ হাজার ৫শত ৪৫ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী হোসেন আহমদ মোটর সাইকেল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৫ হাজার ২ শত ৯০ ভোট।
৩নং পূর্ব জাফলং ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী লুৎফর রহমান লেবু ঘোড়া প্রতীক নিয়ে ১০ হাজার ৬৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি মনোনীত প্রার্থী রফিকুল ইসলাম শাহপরান ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৫ হাজার ৫৮ ভোট।
৫নং আলীরগাঁও ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মোঃ গোলাম কিবরিয়া হেলাল নৌকা প্রতীক নিয়ে ৯ হাজার ৭ শত ৩৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি মনোনীত প্রার্থী খলিক আহমদ ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৫ হাজার ৫শত ৪৮ ভোট।
৬নং ফতেহপুর ইউনিয়নে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী মোঃ আমিনুর রহমান চৌধুরী নৌকা প্রতীক নিয়ে ৪ হাজার ৭শ ১২ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মিনহাজ উদ্দিন চশমা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩হাজার ৫শত ২০ভোট।
৭নং নন্দিরগাঁও ইউনিয়নে নৌকা প্রতীক নিয়ে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এস কামরুল হাসান (আমিরুল) নৌকা প্রতীক নিয়ে ৫ হাজার ৮শ ১৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি মনোনীত প্রার্থী জামাল উদ্দিন আহমদ ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৫ হাজার ২শ ৪৬ভোট।
৮নং তোয়াকুল ইউনিয়নে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী খালেদ আহমেদ ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে ৪ হাজার ৩শ ৩২ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী মো. লোকমান আহমেদ নৌকা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩ হাজার ৭শ ৯৪ভোট।