বিএনপিতে থাকছেন ইলিয়াস আলী!
ডেস্ক রিপোর্ট :: সিলেট বিএনপিতে একসময় একচ্ছত্র আধিপত্য ছিল এম ইলিয়াস আলীর। কেন্দ্রেও ছিল দাপুটে অবস্থান। সর্বসাম্প্রতিক অবস্থাদৃষ্টে প্রশ্ন উঠেছে তিনি কি বিএনপির রাজনীতিতে ‘নিখোঁজ’ হতে চলেছেন? ইলিয়াস ছিলেন কেন্দ্রের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং সিলেট জেলা সভাপতি। টিপাইমুখ বাঁধবিরোধী আন্দোলন, সীমান্তে ভারতের আগ্রাসনের প্রতিবাদে লংমার্চ ও আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে খালেদা জিয়ার জনসভায় লাখো জনতার জমায়েত করে সিলেটের রাজনীতিতে নিজেকে ঈর্ষণীয় অবস্থানে নিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। গত প্রায় চার বছর ধরে ইলিয়াস আলী ‘নিখোঁজ’ রয়েছেন। জনসম্মুখে না থাকলেও অদৃশ্য ইলিয়াসকে ঘিরেই এত দিন আবর্তিত হয়েছে সিলেট বিএনপির রাজনীতি। নিখোঁজের পর গত চার বছর কেন্দ্র ও স্থানীয় বিএনপি ইলিয়াসের পদটি অক্ষুণ্ন রাখে। তার পদে ভারপ্রাপ্ত হিসেবেও কাউকে দায়িত্ব দেওয়া হয়নি।
গত ৭ ফেব্রুয়ারি সিলেট জেলা ও ১৯ মার্চ বিএনপির কেন্দ্রীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। এ দুই কাউন্সিলের পর ইলিয়াস আলীর পদবিতে যুক্ত হয়েছে ‘সাবেক’ শব্দটি। সিলেট জেলা বিএনপির কাউন্সিলে ইলিয়াস আলীর স্থলাভিষিক্ত হন আবুল কাহের শামীম। সিলেট বিএনপির একাংশের ধারণা ছিল জেলা কাউন্সিলে ইলিয়াস আলীকে সভাপতি পদে বহাল রেখেই সিনিয়র সহসভাপতি নির্বাচিত করা হবে। নির্বাচিত সিনিয়র সহসভাপতিই ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করবেন। ইলিয়াস আলীকে স্বপদে বহাল রাখতে কেন্দ্র থেকে এমন নির্দেশনা আসার প্রত্যাশা করেছিলেন তারা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। কাউন্সিলের মাধ্যমে নতুন জেলা সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। এখন ইলিয়াস অনুসারী নেতা-কর্মীরা চেয়ে আছেন কেন্দ্রের দিকে। তাদের বিশ্বাস, কেন্দ্রের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে ইলিয়াস আলীকে মূল্যায়ন করা হবে। ইলিয়াস আলীকে স্বপদে অর্থাৎ সাংগঠনিক সম্পাদক পদে অথবা পদোন্নতি দিয়ে যুগ্ম মহাসচিব করা হবে। তারা মনে করছেন, ইলিয়াস রাজনৈতিক কারণে ‘নিখোঁজ’ হয়েছেন। দলের জন্য ত্যাগ ও অতীত কর্মকাণ্ড বিবেচনায় ইলিয়াসকে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটিতে মূল্যায়ন করা হবে। একই সঙ্গে ইলিয়াসকে নিয়ে তার অনুসারীদের মাঝে শঙ্কাও রয়েছে। যদি কোনো কারণে কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে ইলিয়াস বাদ পড়েন তবে রাজনীতিতেও তিনি ‘নিখোঁজ’ হয়ে যাবেন এমন ধারণা নেতা-কর্মীদের। আর এমনটা হলে রাজনীতি থেকে হারিয়ে যাবেন ইলিয়াস আলী।
এ ব্যাপারে সিলেট জেলা বিএনপির নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক আলী আহমদ বলেন, ইলিয়াস আলী ‘গুম’ হওয়ার আগ পর্যন্ত দলের জন্য কাজ করে গেছেন। তার নেতৃত্বে সিলেট বিএনপি অনেক শক্তিশালী হয়েছে। আমাদের বিশ্বাস, কেন্দ্রীয় কমিটিতে তাকে যুগ্ম মহাসচিব বা সাংগঠনিক সম্পাদক পদে রাখা হবে।