বড়লেখায় বরাদ্দের আগেই প্রতীকসহ নির্বাচনী প্রচারণা
ডেস্ক রিপোর্টঃ দ্বিতীয় দফায় মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন নির্বাচনের ভোট গ্রহণ হবে ৩১মার্চ। দশ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও সতন্ত্রসহ ৩৭জন প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ হয়েছে। তফসিল অনুযায়ী ১৪ মার্চ প্রতীক বরাদ্দ দেওয়ার কথা থাকলেও আচরণ বিধির তোয়াক্কা না করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রতীকসহ নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগ, বিএনপি, স্বতন্ত্র প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ঘেঁটে দেখা গেছে, দশ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও তাদের সমর্থকদের দম ফেলার সুযোগ নেই। চলছে তুমুল প্রচার-প্রচারণা। নির্বাচনকে সামনে রেখে পাল্লা দিয়ে চলছে ফেসবুকে সকল প্রার্থীর প্রতীকসহ ভোট চাওয়ার হিড়িক। যদিও নির্বাচন কমিশনের তফসিল অনুয়ায়ি প্রতীক বরাদ্দ হবে ১৪ মার্চ।
নির্বাচন কমিশনের বিধিতে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের প্রজ্ঞাপনে কোন প্রার্থী বা তার পক্ষে কোন রাজনৈতিক দল, অন্য কোন ব্যক্তি, সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান প্রতীক বরাদ্দের আগে কোন প্রকার নির্বাচনী প্রচারণা করতে পারবে না বলা থাকলেও প্রার্থীরা তার তোয়াক্কা না করেই চালিয়ে যাচ্ছেন প্রচারণা। ফেসবুকে নিজেদের প্রতীকসহ পোস্টারের ছবি পোস্ট করে ভোট চাচ্ছেন।
এছাড়া সরেজমিনে উপজেলা ঘুরে সড়কে অনেক প্রার্থীর নির্মাণ করা তোরণ ও ফেস্টুন দেখা গেছে। সরকারি ভূমি ও অফিসে নির্বাচনী কার্যালয় ব্যবহার করে রং-বেরঙের পোষ্টার দিয়ে সাজানোরও অভিযোগ উঠছে প্রার্থীদের বিরুদ্ধে। অনেক ইউনিয়নে প্রার্থীরা ইতিমধ্যে একাধিকবার মোটরসাইকেলে শোভাযাত্রা বের করেছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম আবদুল্লাহ আল মামুন রাত ৯টায় গণমাধ্যমকে বলেন, ‘নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়টি প্রশাসনের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। প্রার্থীদের মৌখিকভাবে সতর্ক করা হচ্ছে। ১৪ মার্চ প্রতীক বরাদ্দের পর সকল প্রার্থীকে নিয়ে আচরণ বিধির বিষয়ে সচেতনতামূলক সভা করা হবে। ১৬ মার্চ থেকে আচরণ বিধি লঙ্ঘন করলে প্রার্থীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’