ইউপি নির্বাচন: জুড়ীতে আ.লীগ ও বিএনপির ৬ ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী
শামসুল ইসলাম জুড়ি থেকে :: দ্বিতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার ৫ টি ইউপির চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ৫ জন ও বিএনপির ৫ জন ‘বিদ্রোহী’ মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে ৪ জন আওয়ামী লীগের ও ১ জন বিএনপির। দলের মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেন তাঁরা। চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ-বিএনপির একাধিক নেতা তৃণমূলের নেতারা দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে স্থানীয় নেতাদের প্রতি ক্ষুব্ধ হয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন বলে জানা গেছে।
এদিকে বিদ্রোহী প্রার্থীদের ছড়াছড়িতে নেতাকর্মীরা বিভ্রান্তিতে পড়েছেন। ভোটের দিন তারা কাকে ভোট দেবেন এ নিয়েও পড়েছেন দুশ্চিন্তায়। আর বিদ্রোহী প্রার্থীদের নিয়ে বিপাকে পড়েছে দলের হাইকমান্ডও। মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের ৫ টি ইউপির ৫ টিতে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির ৫ জন ‘বিদ্রোহী’ মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে ৪ জন আওয়ামী লীগের ও ১ জন বিএনপির। দলের মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেন তাঁরা।
দ্বিতীয় ধাপে জুড়ীর ইউনিয়নগুলোতে ৩১ মার্চ ভোট হবে। গত বুধবার ছিল মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন। এতে ৫টি ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে ২২ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের ৯ জন, বিএনপির ৬ জন, জাতীয় পার্টির ১ জন, ও স্বতন্ত্র ৬ জন মনোনয়নপত্র জমা দেন। তবে যে ইউনিয়নে যে পক্ষ বঞ্চিত হয়েছে, সেখানে তাঁদের লোকজন স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। মনোনয়ন পত্র জমাদানকারী ২২ জন প্রার্থীর মধ্যে বড় দুই রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি’র বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) প্রার্থী রয়েছে ৫ জন। দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি’র বিদ্রোহী প্রার্থীরা মনোনয়ন পত্র জমা দেন। তবে বিএনপি’র চেয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগে বিদ্রোহী প্রার্থীর সংখ্যা বেশি। উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের মধ্যে আওয়ামী লীগের ৪ জন ও বিএনপি’র ১ জন বিদ্রোহী প্রার্থী মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন।
প্রার্থীরা হলেন, জায়ফরনগর ইউনিয়নের মো. মোসলেহ উদ্দিন (বিএনপি বিদ্রোহী), মো. জাকির হোসেন কালা (আ.লীগ বিদ্রোহী), রফিকুল ইসলাম অফিকুল (আ.লীগ বিদ্রোহী,) পশ্চিম জুড়ী ইউনিয়নে মো. আনফর আলী (আ.লীগ বিদ্রোহী)। পূর্ব জুড়ী ইউনিয়নে মইনুল ইসলাম মইন (আ.লীগ বিদ্রোহী)।