অবশেষে বোধ উদোয়-শত নাটকীয়তার পর নাবালিকা ববিতাকে উদ্ধার করলো প্রশাসন
স্টাফ রিপোর্টার :: সংবাদ প্রকাশের পর অবশেষে জৈন্তাপুরে পাত্র সম্প্রদায়ের অসহায় পরিবারের নাবালিকা ববিতাকে উদ্ধার করলো উপজেলা প্রশাসন। শত নাটকীয়তার পর গতকাল বুধবার রাত ১০টায় ববিতাকে উদ্ধারে একদল পুলিশ নিয়ে উপজেলার চিকগনাগুল ইউনিয়নের ঠাকুরের মাটি গ্রামে মলিন পাত্রের বাড়িতে যান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. খালেদুর রহমান ।
গতকাল বুধবার ‘দৈনিক সবুজ সিলেট,সুরমা টাইমস , সিলেট ভিউজ, দূর্নীতির সন্ধানে’ পত্রিকায় ‘‘বড় বোন পালিয়ে যাওয়ার প্রতিশোধ-জৈন্তাপুরে পাত্র সম্প্রদায়ের কিশোরীকে জোর করে বিয়ে’’ শিরনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এ সংবাদের পরিপ্রেক্ষিতে উপজেলা প্রশাসন মেয়েটিকে উদ্ধারের প্রক্রিয়া চালায়। রাত ১১টায় মেয়েটিকে উদ্ধার করে তার মা-বাবার হাতে তুলে দেন। তবে বাল্য বিয়ের অপরাধে ও জোরপূর্বক অপহরণ করে বিয়ে করার পরও সেই মলিন পাত্রকে কোন ধরনের জরিমানা বা স্বাস্তিদেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা। এ নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে নানা গুনঞ্জণ শুরু হয়েছে।
জৈন্তাপুর উপজেলার ফতেহপুর গ্রামের জরেন পাত্রের ২য় কন্যা মমতা পাত্রের সঙ্গে গত সোমবার ঠাকুরেরমাটি গ্রামের ধনাই পাত্রের পুত্র মলিন পাত্রের মঙ্গলাচরণ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু গত ২১ ফেব্রুয়ারি রাতে মমতা পাত্র প্রেমিকের হাত ধরে অজানার উদ্দ্যেশ্যে পাড়ি জমান। এতে বর পক্ষ ক্ষুব্ধ হয়ে মমতার মা-বাবাকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দিতে চাপ সৃষ্টি করে। তারা বলেন, টাকা দিতে না পারলে ছোট মেয়ে ববিতাকে ঐ বরের সাথে বিয়ে দিতে হবে। এতে অসহায় মা-বাবা উপায়ন্তর না দেখে চিন্তায় অস্থির হয়ে পড়েন। সোমবার শেষরাতে মলিন পাত্র ববিতাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বক অপহরণ করে নগরীর বালুচরস্থ দুর্গামন্দিরে নিয়ে আসে। ছেলে পক্ষ প্রভাবশালী হওয়ায় তার বিরোদ্ধে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায়নি। রাতের আঁধারে মেয়ে নিয়ে বিবাহ করতে আসায় স্থানীয়দের মধ্যে নানা কৌতূহল দেখা দেয়। খবর পেয়ে শাহপরাণ থানাপুলিশ মলিন পাত্র ও ববিতাকে বাল্যবিয়ের অভিযোগে মন্দির এলাকা থেকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। কিন্তু শাহপরাণ থানাপুলিশ পরে দুজনকে চিকগনাগুল ইউনিয়নের সংরক্ষিত ওয়ার্ডের ইউপি সদস্যা অনীতা পাত্র ও ইউপি সদস্য আব্দুল মোছব্বিরের জিম্মায় তাদের ছেড়ে দেয়। গত মঙ্গলবার বিকেলে ঠাকুরেরমাটি গ্রামে মলিন পাত্রের বাড়িতে ইউপি সদস্যা অনীতা পাত্রের উপস্থিতিতে মলিন ও ববিতার বিবাহ সম্পন্ন হয়।