স্বামীকে বেধে রেখে স্ত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণ
ডেস্ক রিপোর্টঃ শাহজাদপুর উপজেলার করতোয়া নদীর পূর্ব পাড়ে দরগাড়চর নতুনপাড়া গ্রামের ফরিদ সরকার নামে দোকান কর্মচারীকে বেধে রেখে তার স্ত্রী নাজমা খাতুন (২৫) কে পালাক্রমে ধর্ষণ করেছে দুর্বৃত্তরা। ঘটনাটি ঘটেছে গত শুক্রবার রাত ১১টার দিকে।
এলাকাবাসীর সহযোগীতায় এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ৬ জনকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃতরা হলো- দ্বারিয়াপুর গ্রামের লালচানের ছেলে আলহাজ (২৫), মৃত আজিম উদ্দিনের ছেলে আলমগীর (২৮), মৃত আইয়ুব আলীর ছেলে রতন (২০), দরগাড়চর গ্রামের এমান আলীর ছেলে তোতা (২৪), পুকুরপাড় গ্রামের হোসেন আলীর ছেলে জুয়েল (১৯) ও নলুয়া গ্রামের মৃত আবদুর রহমানের ছেলে বুলবুল (২০)। মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য ওই গৃহবধুকে গতকাল শনিবার সকালে সিরাজগঞ্জ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার দরগাড়চর নতুনপাড়া গ্রামের দোকান কর্মচারী ফরিদ সরকারের স্ত্রী নাজমা খাতুন পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সাথে শুক্রবার সন্ধায় পৌর এলাকার দরগাপাড়া মহল্লার বাবু মিয়া পীরসাহেবের বাড়িতে বাৎসরিক ওরশ শরীফে আসে। রাত সাড়ে ১০টার দিকে ফরিদ উদ্দিন তার স্ত্রী নাজমা খাতুনকে নিয়ে নিজ বাড়িতে যাওয়ার পথে করতোয়া নদীর পূর্বপাড়ে পৌছালে দুর্বৃত্তরা তাদের ঘিরে ফেলে। এক পর্যায়ে দুর্বৃত্তরা ফরিদ সরকারকে মারধর করে হাত-পা বেধে রেখে তার স্ত্রীকে ছিনিয়ে নিয়ে নিকটবর্তী মাঠে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এ সময় কৌশলে ফরিদ সরকার তার হাত-পায়ের বাধন খুলে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে গিয়ে বিষয়টি গ্রামবাসীকে জানায়। পরে শতাধিক গ্রামবাসী লাঠি-শোটা নিয়ে ঘটনাস্থল ঘিরে ফেলে গৃহবধু নাজমা খাতুনকে উদ্ধার করে এবং ২ ধর্ষককে হাতে-নাতে পাকড়াও করে।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে গ্রামবাসীর সহযোগীতায় অপর ৪জনকে আটক করে। এ ব্যাপারে থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মনিরুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা শিকার করে জানান, গৃহবধু নাজমা খাতুন বাদি হয়ে ৬জনকে আসামী থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছে। গৃহবধুকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য সিরাজগঞ্জ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও জানান, অধিকতর তদন্তের স্বার্থে আটক ৬জনকে থানা হাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।