ভোলানন্দের শতভাগ শাফল্যে ১১ জন দিনমজুর
রাতের বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করে ১১ জনই পাস
তজম্মুল আলী রাজু, বিশ্বনাথঃ দরিদ্র,অসহায়। কোনভাবেই কিছু করা কঠিন। তাতে কি হল?। পড়ালেখা করতে হবে। দিনে কাজ রাতে পড়ালেখা। তারপরও তারা পড়ছে, শিখছে। বাগানের মালি, দিনমজুরসহ বিভিন্ন কাজ শেষে বই, খাতা নিয়ে রাতের বিদ্যালয়ে নিয়মিত ক্লাসে হাজির। এসব শিক্ষার্থীরা পড়ালেখা করে সিলেট ভোলানন্দ নৈশ্য উচ্চ বিদ্যালয়ে। সিটি কর্পোরেশনের তত্বাবধানে পরিচালিত চৌহাট্রা’র এ বিদ্যালয়টি গত বছর ১ জন অকৃতকার্য হলে এবার কিন্তু শতভাগ পাসের হার এসেছে বিদ্যালয়ে। ১১ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ১১ জনই পাস করেছে। এতে আনন্দের সীমানেই ছাত্র-শিক্ষক আর অভিভাবকের মধ্যে।
যুক্তরাজ্য প্রবাসী, শিক্ষানুরাগী শফিকুর রহমান জানান, রাতের বিদ্যালয়ে পড়ালেখা করে খেটে খাওয়া মানুষ। সারাদিন পরিশ্রম করে ভোলানন্দ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। পড়ালেখা কে আগ্রাধিকার দিয়ে এসব যুবকরা পড়ছে, শিখছে। এবার শতভাগ ফলাফলও এসেছে।
বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক মো. আসাদ মিয়া বলেন, এবার শতভাগ ফলাফল এসেছে। এতে আনন্দ পেয়েছি। আনন্দ পেয়েছেন সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা খুব মনযোগ দিয়ে পড়ালেখা করায় এ ফলাফল হয়েছে। তিনি ধারাবাহিকতা রক্ষায় সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন।