আবারও বোমার আঘাতে কেঁপে উঠল মসজিদ
ডেস্ক রিপোর্টঃ আবারও বোমার আঘাতে কেঁপে উঠল মুসলিম সম্প্রদায়ের পবিত্র স্থান মসজিদ। পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে সারা দেশে যখন বিভিন্ন অনুষ্ঠান-আয়োজন চলছে, ঠিক তখনই রাজশাহীর বাগমারার আহমদিয়া সম্প্রদায়ের (কাদিয়ানি) মসজিদে আত্মঘাতী বোমা হামলার ঘটনা ঘটলো। হামলাকারী ঘটনাস্থলে নিহত হয়েছে। এছাড়া গুরুতর আহত হয়েছে ৩ মুসল্লি।
শুক্রবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুরে জুমার নামাজের সময় বাগমারা উপজেলার সৈয়দপুর মচমৈল চকপাড়া কাদিয়ানি জামে মসজিদে আত্মঘাতী বোমা হামলার এ ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলেই ওই হামলাকারীর মৃত্যু হয়েছে।
আহতরা হলেন- ময়েজ তালুকদার (৪০), সাহেব আলী (৩৫), পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র নয়ন (১২)। আহতদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বাগমারা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মতিয়ার রহমান গণমাধ্যমকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘নামাজ পড়ার সময় এক ব্যক্তি আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে আত্মঘাতী হামলাকারী ঘটনাস্থলেই মারা যান। এ সময় তার পাশে থাকা তিন মুসল্লি গুরুতর আহত হন।’
খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে যায়। এরপর তারা মসজিদ এলাকা ঘিরে ফেলে। বর্তমানে মসজিদটি ও এর আশপাশের এলাকা ঘিরে রাখা হয়েছে।
গত শুক্রবার (১৮ ডিসেম্বর) চট্টগ্রামে নৌবাহিনীর সংরক্ষিত এলাকায় বোমা হামলা হয়। ওইদিন জুমার নামাজের সময় বিএনএস ঈশা খাঁ ঘাঁটি ও নৌবাহিনীর হাসপাতাল এলাকার দুটি মসজিদে বোমা হামলায় আহত হন ৬ মুসল্লি।
ঘটনাস্থল থেকেই মুসল্লিরা আটক করে নৌবাহিনীর দুই সদস্যকে। তারা হলেন, নৌবাহিনীর ব্যাটম্যান রমজান ও বলপিকার মান্নান। ঠিক এক সপ্তাহ পরই রাজশাহীর বাগমারার এই মসজিদে আত্মঘাতী বোমা হামলার ঘটনা ঘটল।
এর আগে গত ২৬ নভেম্বর সন্ধ্যার পর বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার হরিপুর-চককানু গ্রামে শিয়া সম্প্রদায়ের আল-মোস্তফা জামে মসজিদে নামাজরত অবস্থায় অজ্ঞাত বন্দুকধারীদের গুলিবর্ষণে মোয়াজ্জিন নিহত ও তিন মুসল্লি গুলিবিদ্ধ হন। ঘটনার পর র্যাব ও পুলিশের অভিযানে ৭ জন গ্রেপ্তার হয়।
এছাড়া মহররমে ঢাকার ইমামবাড়ায় তাজিয়া মিছিলের প্রস্তুতি সমাবেশে গভীর রাতে বোমা হামলায় একজন নিহত হয়।