কলেজ শিক্ষার্থীদের ঝুঁকিপূর্ণ যৌনসম্পর্ক এবং…
ডেস্ক রিপোর্টঃ কিশোর বয়সেই ব্যাপক শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তন আসে। এই সময় তাদের বাইরের জগতের সাথে পরিচয় ঘটে বেশি। তাছাড়া, এই বয়সে নতুন এবং নিষিদ্ধ জিনিসের প্রতি আগ্রহ তৈরি হয় বেশি। ফলে যৌক্তিক কোনো কারণ না খুঁজে ভুল পথেই চলতে তাদের ভাল লাগে। অনেক কিশোর-কিশোরীরা নিজদের অদম্য কৌতূহল মেটাতে ভুল কাজ করে বসে। এমনকি অনেকে ঝুঁকিপূর্ণ যৌন আচরণেও অভ্যস্ত হয়ে যায়। সাম্প্রতিক সময়ে মার্কিন এক গবেষণায় কিশোর-কিশোরীদের ঝুঁকিপূর্ণ শারীরিক সম্পর্কের বিষয়টি উঠে এসেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ইলিয়নস বিশ্ববিদ্যালয় গবেষকরা বলেছেন, কলেজগামী শিক্ষার্থীদের অস্থির জীবনযাপনের সাথে ঝুঁকিপূর্ণ যৌন সম্পর্কের একটি উল্লেখযোগ্য যোগসূত্র রয়েছে।
মানব উন্নয়ন ও পারিবারিক শিক্ষা বিষয়ক গবেষক জিল বোয়ারস বলেন, কিশোর-কিশোরীরা ব্যাপক অস্থিরতায় ভোগার কারণে এ সময় তাদের জীবনে ঘন ঘন পরিবর্তন আসে। এ সময় তারা বাবা-মা থেকে দূরে থাকে। নতুন বাসা, রুমমেট, বন্ধুবান্ধব, রোমান্টিক সঙ্গী, কলেজ ইত্যাদি বিষয়গুলো তাদের মধ্যে বিশাল একটা পরিবর্তন নিয়ে আসে।
জিল বোয়ারস আরও বলেন, অনেকে এই সময় কলেজ থেকে ঝড়ে পড়ে, পুনরায় ভর্তি হয় বা অন্য কোনো কলেজে চলে যায়। কিছু কিছু শিক্ষার্থী অন্যদের চেয়ে বেশি অস্থির জীবনযাপন করে।
গবেষকরা ৩৯৮ জন কিশোর-কিশোরীদের ওপর গবেষণা চালান। গবেষণায় ঝুঁকিপূর্ণ যৌন সম্পর্ক বলতে বুঝানো হয়েছে- সম্পর্ক নেই এমন কারো সাথে শারীরিক সম্পর্ক, বন্ধু বা বান্ধবীদের সাথে অপ্রত্যাশিত বা অপরিকল্পিত যৌন সম্পর্ক, অপরিচিত কারো সাথে আবেগতাড়িত হয়ে যৌন সম্পর্ক।
গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের ঝুঁকিপূর্ণ যৌন আচরণের পুনরাবৃত্তি, সঙ্গীর বিষয়ে ভাবনা, মানসিক সুস্থতা এবং মদ পান নিয়ে প্রশ্ন করা হয়।
জিল বোয়ার বলেন, গবেষণায় দেখা যায়, যেসব কলেজ শিক্ষার্থী অস্থির প্রকৃতির তারাই শারীরিক সম্পর্কের ব্যাপারে ঝুঁকি নেয় বেশি। কলেজ শিক্ষার্থীরা মা-বাবার তরফ থেকে স্বাধীনতা পায় বেশি। হঠাৎ করে পাওয়া এই স্বাধীনতার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করে তারা। তখনই তারা রোমান্টিক কোনো সম্পর্কে ঝড়ায়।
তিনি আরও বলেন, অনেক সময় চাপ পড়ে কিশোর-কিশোরীরা মানসিক ও শারীরিকভাবে ভেঙে পড়তে পারে। যা তাদের ঝুঁকিপূর্ণ আচরণের দিকে ঠেলে দেয়। এই সময় তারা যৌক্তিক চিন্তা করতে পারে না। ফলে ঝুঁকিপূর্ণ যৌন আচরণ দিকে ধাবিত হয়।
সবশেষে জিল বোয়ার বলেন, গবেষণায় কিশোর-কিশোরীরা মাতাল থাকে এটি বলা হয়নি। যখনই তারা বিষণ্ণ হয় বা চাপে পড়ে তখনই তারা মদ পান করে এবং ঝুঁকিপূর্ণ যৌন সম্পর্কের দিকে ঝোঁকে। – See more at: http://www.dhakatimes24.com/2015/12/13/94545#sthash.ewVWc7zR.dpuf