সাঈদ হত্যা: রায়ে খুশি বাবা, আপিল করবে আসামিপক্ষ
ডেস্ক রিপোর্ট : সিলেটে স্কুলছাত্র আবু সাঈদকে অপহরণ ও হত্যা মামলায় এক পুলিশ সদস্যসহ ৩ জনকে ‘ডাবল মৃত্যুদন্ড’ প্রদান করেছেন আদালত। চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলার রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন সাঈদের বাবা আবদুল মতিন। অন্যদিকে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে মন্তব্য আসামিপক্ষের আইনজীবীর। রায়ের পর এক প্রতিক্রিয়ায় সাঈদের বাবা আবদুল মতিন বলেন, দ্রুততম সময়ে আমার ছেলে হত্যার বিচার হয়েছে। এজন্য আমি আদালত, সাংবাদিকসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমি সকলের কাছে কৃতজ্ঞ। এদিকে নিহত আবু সাঈদের মামা জয়নাল আবেদীন জেলা ওলামালীগের প্রচার সম্পাদক মাহিব হোসেন মাসুম বেকসুর খালাস পাওয়ায় বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, আদালতে অপর তিন আসামির জবানবন্দিতেই মাসুমের নাম এসেছিল। কিন্তু কি কারণে তাকে খালাস দেয়া হলো, তা বোধগম্য হচ্ছে না। এদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী আশরাফুল ইসলাম রায় পরবর্তী প্রতিক্রিয়ায় বলেন, আমরা রায়ের পূর্ণাঙ্গ কপি পাওয়ার পর তা বিশ্লেষণ করে উচ্চ আদালতে আপিল করবো। প্রসঙ্গত, সিলেট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবদুর রশিদ সোমবার বিকেল পৌনে ৪টায় সাঈদ হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায়ে ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্তরা হচ্ছেন নগরীর বিমানবন্দর থানার কনস্টেবল (বরখাস্তকৃত) এবাদুর রহমান পুতুল, র্যাবের কথিত সোর্স আতাউর রহমান গেদা ও সিলেট জেলা ওলামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম রাকিব। উপরোক্ত আসামিদের প্রথমে অপহরণ ও মুক্তিপণ দাবির জন্য দন্ডবিধির ৭ ও ৮ ধারায় মৃত্যুদন্ড প্রদান করা হয়। একইসাথে এক লাখ টাকা করে জরিমানাও করা হয়েছে। অন্যদিকে সাঈদকে অপহরণ করে হত্যার জন্য দন্ডবিধির ৩০২/৩৪ ধারায়ও তাদেরকে মৃত্যুদন্ড প্রদান করা হয়েছে। একইসাথে আরো এক লাখ টাকা করে জরিমানাও করা হয়েছে।