সাত খুনের দায় আওয়ামী লীগ নেবে না : সুরঞ্জিত
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে নতুন মন্তব্য করলেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য এবং আইন বিচার ও সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত।
অপরাধীরা যে যাই হোক নারায়ণগঞ্জে সাত জনকে অপহরণের পর হত্যার ঘটনার দায় আওয়ামী লীগ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নেবেন না বলে মন্তব্য করেছেন সুরঞ্জিত। একইসঙ্গে চাঞ্চল্যকর মামলা হিসেবে এ মামলাটিকে দ্রুত বিচার আইনের আওতায় এনে বিচারেরও দাবি জানিয়েছেন তিনি।
শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে ‘নৌকা সমর্থক গোষ্ঠী’ আয়োজিত চলমান রাজনীতি বিষয়ক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ দাবি করেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আগেও বলেছি, এখনও বলছি। এই চাঞ্চল্যকর ঘটনার দোষীদের গ্রেপ্তার করে দ্রুত বিচারের আওতায় আনা হোক।’
‘শেখ হাসিনা বিশ্বজিৎ হত্যা মামলায় ছাত্রলীগের ৮ নেতাকে ফাঁসির দড়িতে ঝোলাতে দ্বিধা বোধ করেননি’ উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের প্রবীন এই রাজনীতিবিদ বলেন, ‘তিনি (শেখ হাসিনা) আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছেন। তিনি নারায়ণগঞ্জের এই চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলারও বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করবেন।’
‘গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় এরকম ঘটনা ঘটে থাকে’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যে বা যারা এ ঘটনা ঘটিয়ে থাকুক, এর দায় আওয়ামী লীগ নেবে না। নিরপেক্ষ তদন্ত করে এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার করতে হবে।’
অনেক বড় রুই কাতলা ধরা পড়ে গেছে দাবি করে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘রুই কাতলারা পড়ে গেছে। তাই নূর হোসেনও গ্রেপ্তার হবে। তবে ন্যায় বিচারের স্বার্থে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত করতে হবে।’
‘আমি আশা করি দলীয় স্বার্থ ত্যাগ করে সুষ্ঠু বিচারের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রমাণ করবেন আইনের শাসন কায়েম আছে,’ বলেন তিনি।
‘আপনার মাথা ব্যাথা হলে মাথা কেটে ফেলে সমাধান করা যাবে না’ উল্লেখ করে সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত বলেন, ‘বিএনপি বলেছে র্যাব রাখার প্রয়োজন নেই। অথচ তারাই র্যাব তৈরি করেছে, তাদের স্বাধীনতা পুরষ্কারও দিয়েছেন। এখন বলছে এই র্যাব রাখার প্রয়োজন নেই। তাদের বিলুপ্ত করা হোক।’
তিনি বলেন, ‘আপনাদের সুবিধা হলে এক কথা আর অসুবিধা হলে আরেক কথা। আপনারাই র্যাব তৈরি করেছেন। যখন আপনারা এই বাহিনী তৈরি করেছিলেন তখন আমরা প্রশ্ন করেছিলাম কেন আপনারা র্যাব তৈরি করেছেন? আমারা র্যাব উত্তরাধীকার সূত্রে পেয়েছি। আমারা বন্ধ করলে পরে আপনারাই বলবেন কেন তাদের বিলুপ্ত করা হল। র্যাবের জবাবদিহিতার বিষয়টি আরো বৃদ্ধি করা উচিৎ। একই সঙ্গে র্যাব আইনেরও সংশোধন করা উচিৎ।’
বিএনপির সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘আপনারা নারায়ণগঞ্জে সভা করতে চেয়েছেন। এখন সভা করার সময় না। এখন এর সুষ্ঠু তদন্ত করে বিচার করা প্রয়োজন।’
সংগঠনের উপদেষ্টা হাজী মো. সেলিমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বাবু সতীশ চন্দ্র রায়, সাম্যবাদী দলের নেতা হারুণ চৌধুরী, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্যপরিষদের সভাপতি চিত্তরঞ্জন দাস, হুমায়ুন কবির মিজি প্রমুখ।