কাউন্সিলরসহ সাত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আটক ১২ : মাইক্রোবাস জব্দ
সুরমা টাইমস রিপোর্টঃ নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম এবং আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাতজনকে অপহরণের পর খুনের ঘটনায় মোট ১২ জনকে আটক করা হয়েছে। কাউন্সিলর নজরুলসহ সাতজন হত্যা মামলার প্রধান আসামি নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের আরেক কাউন্সিলর নূর হোসেনের সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইলের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে শনিবার দুপুরে তাদের আটক করা হয়।
নারায়ণগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) খন্দকার মহিদ উদ্দিন নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, বেলা সাড়ে ১১টা থেকে নূর হোসেনের বাড়িতে যৌথ অভিযান শুরু করে র্যাব ও পুলিশ। এ সময় ওই বাড়ি থেকে জব্দ করা হয় একটি মাইক্রোবাস। এ ছাড়া, আইনজীবী চন্দন সরকারের ব্যবহৃত সিম ছাড়া মোবাইল সেটটিও উদ্ধার করা হয় বলে জানান এসপি। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া জানিয়েছেন, ১২ জনকে নূর হোসেনের বাড়ি এবং আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আটক করা হয়।
তিনি আরো জানান, যাদের আটক করা হয়েছে তাদেরকে কিছুক্ষণের মধ্যে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এ ছাড়া অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এদিকে, সিদ্ধিরগঞ্জের ব্যবসায়ী সৈয়দ সাইফুল ইসলাম অপহরণের ঘটনায় ইউনুস আলী দুলাল ও তার স্ত্রী নুরুন্নাহার আক্তার ওরফে নূরজাহানকে আটক করা হয়েছে বলে জানানে এসপি মহিদ উদ্দিন। তাদেরকে যাত্রাবাড়ি এলাকা থেকে গত রাতে আটক করা হয়।
গত ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলামসহ সাতজন অপহৃত হন। এর পরদিন নারায়ণগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন নজরুল ইসলামের স্ত্রী। কাউন্সিলর নূর হোসেনকে প্রধান করে মামলায় আসামি করা হয় মোট ১২ জনকে। মামলার অন্য পাঁচ আসামি হলেন : একই থানার সাধারণ সম্পাদক হাজি ইয়াছিন মিয়া, নূর হোসেনের ঘনিষ্ঠ ও বিএনপির অনুসারী হাসমত আলী হাসু, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম রাজু, একই থানার শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন আশিক এবং ভূমি ব্যবসায়ী ও নূর হোসেনের ঘনিষ্ঠ ইকবাল হোসেন।