জাতিসংঘে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা : নারীদের জন্য বাসযোগ্য পৃথিবী গড়তে হবে

ANA PIC-6
জাতিসংঘে ভাষণ দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি-এনা।

নিউইয়র্ক থেকে এনা: বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবক্ষেত্রে নারীর সমতা প্রতিষ্ঠায় সবাইকে সরব হওয়ার মাধ্যমে নারীর জন্য উন্নত একটি বিশ্ব গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন।
গত ২৭ সেপ্টেম্বর সকালে জাতিসংঘে ‘জেন্ডার ইকুয়ালিটি এন্ড ওমেন এম্পাওয়ারমেন্ট’ তথা লিঙ্গ সমতা ও নারীর ক্ষমতায়ন শীর্ষক এক সেমিনারে বিশ্বনেতাদের সাথে অংশ নিয়ে নারী অধিকার ও তা বাস্তবায়ন নিয়ে কথা বলেন তিনি। এসময়ে তিনি বিশ্ব নেতাদের উদ্দেশ্যে আহ্বান জানান, জাতিসংঘের গৃহিত নতুন উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রায় নারী ও মেয়েদের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তনকে কাজে লাগাতে হবে। নারীর ক্ষমতায়নে এই উদ্যোগ অত্যন্ত সাহস জুগিয়েছে বলে মনে করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী দাবি করেন, নারীদের সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক মুক্তি এবং বৈষম্য দূরীকরণে আমার সরকারের যে সদিচ্ছা এবং প্রতশ্রিুতি তা আবারো তুলে ধরলাম। বাংলাদেশ নারীদের জন্য উচ্চশিক্ষা ও কর্মক্ষেত্রে সমান সুযোগ সৃষ্টি করেছে।
নারী নির্যাতন বন্ধে এবং নারীদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ সৃষ্টি এবং নারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতার অবসান ঘটাতে বিশ্বনেতাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। মানবপাচার এবং নারী ও শিশু পাচারের বিরুদ্ধে তাঁর সরকার ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি গ্রহণ করেছে বলেও বক্তব্যে তুলে ধরেন শেখ হাসিনা। সে লক্ষ্যে আগামী ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশে বাল্য বিবাহ বন্ধ, দক্ষ গাইনী/ধাত্রী তৈরী এবং মাতৃস্বাস্থ্য ও পুষ্টির বিষয়ে নানা কর্মসূচি নিয়েছে সরকার এমন দাবিও করেন তিনি।
এছাড়াও শিক্ষা ক্ষেত্রে মেয়েদের জন্য বিনামূল্যে শিক্ষা, বইবিতরণ, উপবৃত্তি’সহ নানা কর্মসূচির কথাও উঠে আসে তাঁর বক্তব্যে। তিনি বলেন, উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়া নারীদে আতœকর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি তার জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। তাই সকল ক্ষেত্রে লিঙ্গ সমতা অর্জনে ঐক্যবদ্ধ আওয়াজ তুলে নারী ও মেয়েদের জন্য একটি বাসযোগ্য পৃথিবী গড়ে তুলতে বিশ্বনেতাদের প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ইউএন এনটিটি ফর জেন্ডার ইকুয়ালিটি ও এম্পাওয়ারমেন্ট অফ উইমেন (ইএন-উইমেন) এবং চীন যৌথভাবে জেন্ডার সমতা ও নারীর ক্ষমতায়ন বিষয়ক এই সেমিনারের আয়োজন করে। চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে জাতিসংঘের মহাসচিব বান কী মুন মেক্সিকো ও কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট, ডেনমার্ক ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী’সহ ১৭টি দেশের সরকার ও রাষ্ট্র প্রধানগণ আলোচনায় অংশ নেন।